Tuesday, September 26, 2017

আকাশের আয়নায় মুখ

কারণে অকারণে তার ঘরে উকি দেয়ার অভ্যাস,  অযথাই বারবার তার বইগুলো হাতড়ানো সবই ঠিক ছিল। তখনো জানিনি আমি, ওই অদ্ভুত হাসির ছেলেটার জন্যই সর্বনাশের ঘন্টা একদিন বেজে উঠবে আমার....

তার দুঃখগুলো কিছু জানা ছিল, ছিল অনেক অজানাও - তার দুঃখ ছুয়ে দেখার ওই বেয়াড়া  কৌতুহলটাই পায়ে পায়ে এগিয়ে সব ফেরার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল আমার। কে জানতো, ওই নিঃস্ব মানুষটার কাছ থেকেই একদিন ফিরতে হবে আমার রিক্ত হাতে।

সারাক্ষণ কথা বলি আমি, এ নিয়ে তার হাসির অন্ত ছিলনা। আমার ঠিক উলটো সে, আমি সারাক্ষণ কথা বললেও তার মুখে মৃদু হাসি আর মাথা ঝাকানো ছাড়া উত্তর আসতো খুব কম। অথচ এই চুপচাপ মানুষটাই একটু একটু করে দখল করে নিয়েছিল আমার হ্রিদয়ের সবটুকু। হুট করে সামনে এসে যেদিন আমায় অপমান হতে বাঁচালো, আমি সেদিনই জানলাম তার জালে আটকা পড়ছি আমি একটু একটু করে।

সেদিনের পর থেকেই কেন যেন, সব বিপদেই ফিসফিস করে তাকে ডাকার অভ্যাসটা হয়ে গেল আমার। সবাই বলতো স্লানের পর অপূর্ব সুন্দর দেখায় আমাকে- তাই স্লানের পর লম্বা চুলগুলো ছড়িয়ে দিয়ে নানা এক্সিউজে হাজির হতাম তার সামনে। তার একটু মুগ্ধ দৃষ্টি দেখবো বলে,কিন্তু কোথায় কি তার মুগ্ধ দৃষ্টি আটকে থাকতো মোটা মোটা বইয়ের পাতায়। এত রাগ হতো আমার, প্রায়ই ভাবতাম বইগুলো ছিড়ে কুটি কুটি করে নালায় ফেলে দিয়ে আসবো।

একবার কি নিয়ে রাগ করে কেঁদে ফেলেছিলাম তার সামনে। সে বই ফেলে খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল অনেক্ষণ। আমি ছুটে বেরিয়ে এলাম। পুরো শরীর জ্বলছিল আমার। সারারাত প্রচন্ড অস্থিরতায় ছটফট করেছি। পরের দিন দেখা হতেই বুঝলাম তার মনে নেই আমার গতদিনের কান্নার কথা।

নিজেকে ভীষণ ছোট মনে হতে থাকলো আমার- তার সাথে দেখা হলেই রেগে যাই। তারপর নিজের উপর রাগ হয়। এমন কেন আমি? তারপর এক মেঘলা দুপুরে কেমন যেন কি ঘটে গেল আমার মাঝে। কি ভেবে চোখে কাজল পরলাম, ঠোটেও রঙ লাগিয়ে ছিলাম বোধকরি। চুলে বিশাল সাদা মালতীর থোকা, দু হাতে রূপালী চুড়ি। অপটু হাতে শাড়িও পরেছিলাম কি ভেবে, তারপর ছুটে গেলাম তার কাছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার সে ভয় পেয়ে গেল আমায় দেখেই। কেমন যেন কাপা গলায় আমায় ফিরে যেতে অনুরোধ করলো। আমি তীব্র গলায় বললাম" না আমি ফিরবো না"।

সে আর কিচ্ছু বলেনি, বাইরে ঝমঝম বৃষ্টি। হাটুতে মাথা রেখে পুরো সময়টা চুপচাপ বসে ছিলাম আমি। এতোটা ঝড় বুকে নিয়েও উচ্চারণ করতে পারিনি একটি শব্দও । সে হয়তো বুঝতে পেরেছিল, আচ করতে পেরেছিল কিছু তাইতো একটু একটু করে দূরে সরিয়ে নিয়েছিল নিজেকে।

বাবার কাছে কি বলেছে জানিনা, পরদিন বাবা আমাকে ডেকে অনেক্ষণ তার মানসম্মান নিয়ে জ্ঞান দিলেন। বললেন এমন যখন তখন কারো ঘরে যেতে হয়না। তারা খারাপ ভাবে।

নিজের মাত্রাহীন অভিমানের কাছে হেরে গিয়েছিলাম অনেকটা- আর ফিরে যাইনি মোটা মোটা বইয়ের ছোট্ট ঘরটায়। 

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...