অনেকদিন আগে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে বিশাল সবুজ বনে একলা এক ছেলে থাকতো। নিঃসঙ্গ ছেলেটা যখন তখন পাতার বাশীতে সুর তুলতো।
ঠিক বনের বাইরেই ছোট্ট কুড়েতে থাকতো পাগলী একটা মেয়ে। লম্বা লম্বা চুল পিঠের ছড়িয়ে দিয়ে মেয়েটা প্রায়ই গুনগুন করে গান করতো। বুনো ফুল আর কৌতুহলি হরিণের সাথে রোজকার গল্প করতো।
তাদের দুজনেরই অদ্ভুত দুটো স্বপ্ন ছিলো। ছেলেটা বিশাল মাঠ হতে চাইতো, আর মেয়েটা হতে চাইতো বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টি । স্বপ্নটা আরেকটু গভীর ছিলো ছেলেটা মাঠ হয়ে বুকের মাঝে বৃষ্টি বন্দী করতে চাইতো, আর মেয়েটা চাইতো বৃষ্টি হয়ে বিশাল ওই মাঠটাতেই ঝরে পড়তে ।
তাদের হঠাৎ হঠাৎ দেখা হতো। মেয়েটা যখন সপ্তাহশেষে ফল কুড়াতে বনে যেত অথবা নীল জোস্নায় উত্থাল পাতাল আবেগে ছেলেটা যখন বাশীতে সুর তুলতো - মেয়েটা তার গুনগুন গান বন্ধ করে ঘরের দাওয়ায় এসে গলা ছেড়ে গান ধরতো। ছেলেটার বাশি আর মেয়েটার স্নিগ্ধ গান মিলে পুরো বন জুড়ে অদ্ভুত সুরের ঝংকার সৃষ্টি করতো। বনের সব প্রাণীরা জড় হতো অদ্ভুত এই ভালোবাসার কাপন শুনতে।
প্রাণিদের সাথে বন দেবীও লুকিয়ে শুনতেন এ দুজনের মোহময়ী যুগল সঙ্গীত। গান শুনতে শুনতে একরাতে হঠাত বন দেবীর মনে হলো আমি এদের একটা পুরষ্কার দিতে চাই। তখন বনদেবী ছেলেটা আর মেয়েটা কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন "আমি তোমাদের একটি ইচ্ছে পূর্ণ করবো - বলো কি চাও?
দুজনেই তাদের স্বপ্নের কথা খুলে বললো। বন দেবী ভীষণ বুদ্ধিমতি ছিলেন। ওরা কেন বৃষ্টি আর মাঠ হতে চায় তিনি এক নিমিষেই বুঝে নিলেন। এবং বৃষ্টি আর মাঠ না বানিয়ে তিনি তাদের দুজনের বিয়ে দিয়ে দিলেন।
অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগলো। বৃষ্টি হলেই তারা হাত ধরাধরি করে ভিজতো আর জোছনা কাটাতো পাশাপাশি থেকে সারারাত। কিছুদিন পর ওদের খুব কিউট একটা বাবু হলো। বাবুটার নাম? আমি না ওরাই বলবে wink emoticon
গল্পটা এই পর্যন্তই।
গল্পটা এই পর্যন্তই।
No comments:
Post a Comment