Sunday, June 30, 2013

আমার আব্বু কখনো নিজের অনুভুতি গুলো বলে বুঝাতে পারেন না , একমাত্র অনুভুতি যেটা আব্বু বুঝাতে পারেন তা হচ্ছে রাগ । আমি যখন আব্বুর কাছ থেকে দূরে থাকতাম , আব্বুর কোন অনুভূতিই বুঝতে পারতাম না , খালি রাগ হতো আব্বুর উপর , মনে হতো আব্বু আমাকে একদম ভালোবাসেন না । তারপর যখন আব্বুর সাথে থাকতে এলাম , আস্তে আস্তে আব্বুর আবেগ অনুভুতি গুলো বুঝতে লাগলাম । আব্বু যখন প্রতিবার দেশে আসতেন আমাদের জন্য খুব উদ্ভট উদ্ভট জামাকাপড় জুতা ব্যাগ নিয়ে আসতেন , আমার একদম পছন্দ হতোনা , তাও আব্বুকে খুশি করার জন্য দুএকদিন কষ্ট করে পরতাম , তারপর আর কখনো ধরতাম না । সবসময় মনে হতো আব্বু কেয়ার করেননা দেখেই এমন জিনিস নিয়ে আসেন , আব্বুর সাথে যখন থাকা শুরু করলাম তখন একটু একটু করে বুঝতে লাগলাম ,এই উদ্ভট জিনিসগুলাই আব্বুর কাছে সুন্দর লাগে তাই আমাদের জন্য কিনতেন , কোন জামা যদি কড়কড়ে গোলাপি বা হলুদ না হয় আব্বুর সুন্দর লাগেনা  এখন বুঝি আমি যদি কখনো রাগ করে থাকি আব্বুর ও মন খারাপ হয়ে থাকে , আগে মনে হত আমার কষ্টে আব্বুর কিছু এসে যায়না । যখন রাগ করে ভাত খেতাম না , আব্বু জোর করে ভাত খাওয়াতেন , আমি কান্না করতে করতে ভাত খেতাম আর ভাবতাম আব্বু বুঝি রাগ উড়াচ্ছেন  এখন বুঝতে পারি আমি না খেলে আব্বুর খারাপ লাগে দেখেই জোর করে খাওয়াতেন। আমার আব্বু খুব সহজ সরল একজন মানুষ - সেম দোকানদার আব্বুকে তিনবার পচা কমলা বিক্রি করে তারপরও আব্বু কিছু বলেন না , একটু ভালো ব্যবহার দেখালেই আব্বু আবার তার দোকানের পচা কমলা নিয়ে চলে আসেন । আমার আব্বুকে কেউ একটু হেসে সুন্দর করে কথা বললেই আব্বু সব কিছু ভুলে তার কাছে বাচ্চাদের মতো হয়ে যান । আমার যখন মাঝে মাঝে রাতে ঘুম আসেনা , রুম থেকে বের হলে তাহাজ্জুদের আগে আব্বুকে দেখি ঘুম থেকে উঠে দেয়াল ধরে ধরে হাটছেন , চোখে দেখতে পাচ্ছেন না , সোজা হয়ে হাটতে পারছেন না এর পর ও আমাদের কস্টের কথা ভেবে ডিউটি করতে যাচ্ছেন , এই ৬০ বছর বয়সে সারারাত না ঘুমাতে পারলেও দিন ধরে আমাদের জন্য জেগে থাকছেন । আমার যখন মন খুব অস্থির থাকে তখন আব্বুর আজানের শব্দ শুনলে মন নিজে থেকেই শান্ত হয়ে যায় । যত কষ্টই হউক আমার আব্বু যতটুকু সাধ্যে আছে আমাদের জন্য তার বেশী করার চেস্টা করেন , সবাই আমদের অবিশ্বাস করলেও আব্বু সবসময় আমাদের বিশ্বাস করেন । আমার আব্বু অসম্ভব ভালো মানুষ ,পৃথিবীর সেরা বাবা আর শ্রেষ্ঠ মানুষদের একজন ।
I was Walking alone , On White sand 
I was walking alone , in a long beach 
I was walking alone , in a dark lonely night
I was walking alone , drifting away from all the light 
suddenly I met him on my way , Standing in the Sunlight
Innocence in eyes , bringing all the bright light 
like a full moon in my sight ....
ভালবাসা যেন কদমফুল 
মিষ্টি সব গন্ধহীন।
ভালবাসা যেন শুকনো গোলাপ
পুরনো স্মৃতি মলিন ।
ভালবাসা যেন তোমার দুচোখ
অথই কোন সাগর 
ভালবাসা যেন বর্ণহীন
স্বপ্ন ভাঙ্গা আদর ।
How I wish I could turn Back Time and reach the past again , just to see you smiling Happily and Roaming Freely once again . Just To sit with you together once again On the top of that Mountain , watching the Sunset together at the End of the Day ...How I wish I could Turn back my time Just to Kill those each and every soul who is Hurting you now and Crushing your Dreams Everyday .. And Just to tell you - you are still so very close to me and you are Still one of the most Brightest Star inside my Heart .. I love you Soo much ...
~মেঘবালিকা
 — at মেঘের রাজ্য
আমি স্বপ্নে দেখি উড়ন্ত প্রজাপতি , আমি স্বপ্নে দেখি তারা 
আমার স্বপ্নগুলো বিশাল আকাশ আর অথৈ সাগরে ভরা ।
আমার স্বপ্নে দেখি উদাস দুচোখ , মোটা ফ্রেমে ঢাকা 
ঐযে দূরে সে বসে থাকে ভীষণ একা একা ।
আমার স্বপ্নগুলো রঙ বদলায় , তবে সুর থাকে একি
ভরাট গলায় সে ভালবাসা গায় , আমি মুগ্ধ চোখে আকি ।
আমার স্বপ্নে সে হঠাৎ আসে, আবার চলে যায় 
বসন্তের সব রঙগুলো মেশায় শিউলি ফুলের মালায় । 

Wednesday, June 19, 2013

মায়বী এক আলো ঘিরে ধরেছে তাকে, আকাশের স্ফটিক ধারার সাথে তার চোখের অশ্রুধারার কি অসামান্য অলৌকিক মিল । আকাশের সব তারাগুলো ঝিকিমিকি করে নেমে এসেছে তার চারপাশে। অচেনা এক আলো ঝরে পড়ছে ক্ষনিকের পরিচিত অতি চেনা সেই ছেলেটির অশ্রুভরা চোখ থেকে। পৃথিবী থমকে গেছে, স্তব্ধ হয়ে গেছে মহাকালের সময়। মুগ্ধ বিস্ময় নিয়ে আমি তাকিয়ে আছি তার গাল বেয়ে পড়া ছোট ছোট হীরক খন্ডের দিকে। হাত বাড়িয়ে দিলাম তার চোখের অশ্রুর ফুলগুলো একবার ছুয়ে দেখতে। ছেলেটিও হাত বাড়ালো, অতি পবিত্র সেই ভালবাসার হাত। আমার সমস্ত অতীত আর দুঃখ, মেঘের মত ভেসে যাচ্ছে দূর কোন অজানায়।
প্রচন্ড ভালবাসায় আমিও ছুঁয়ে দিলাম সেই হাত। আমিও ভাসছি মেঘের মত রঙধনুর সাতটি রাজ্যে।
বাইরে ঝাঝালো রোদ , নিস্তব্দ দুপুরে শুধু কয়েকটা ঘুঘুর ডাক ।
চোখে কাজল পরেছি , কানে শাড়ির সাথে মিলিয়ে লম্বা দুল ।
ঠোটে নিভিয়ার একটু চেরি ফ্লেবার ,
একটু পর পর আয়নায় তাকিয়ে নিজেই মুগ্ধ হচ্ছি ,
আজ আমি সাজতে বসেছি আমার স্বপ্নের অচেনা কোন শুভ্রের প্রতিক্ষায়.
হঠাৎ হাতের লাল ছুড়ি গুলো রিনঝিন শব্দে বেজে উঠলো
মনের মাঝে কেমন যেন ভায়োলিনের মিষ্টি সুর
মনে হলো ও বুঝি এসেছে !
...........................................................................
মৃদু বাতাসে খোলা চুলগুলো উড়ছে ,জানালার পাশে আমি একা দাঁড়িয়ে -কোথাও কেউ নেই ।

Tuesday, June 18, 2013

আমি মাঝে মাঝেই ভাবি এত অন্যায় অত্যাচারের মাঝে পৃথিবীটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে কেমন করে , মানুষ মানুষকে অকারণে আঘাত করতে ভালবাসে ।তারপরো পৃথিবীটা টিকে আছে কি করে ! ?
এই প্রশ্নের উত্তর একটাই এখনো পৃথিবীতে ভালো কিছু মানুষ টিকে আছেন তাই , দুদিন আগে আমি তেমনি কেউ একজনের দেখা পেয়েছিলাম – ডানাকাটা এক এঞ্জেল , আমার মানুষটাকে মনে হয়েছে অন্য ভুবনের কেউ – 

আব্বুর সাথে সেদিন সিটিতে যাচ্ছি , হঠাৎ করে একদম হাইওয়েতে আব্বুর গাড়ির চাকা নষ্ট হয়ে গেলো । কোন ভাবে রোড ডিভাইডার গুলোতে গাড়ি থামিয়ে আমরা অনেক্ষন দাঁড়িয়ে আছি , আব্বু খুব চেষ্টা করছেন কোন একটা গাড়ি দাড় করাতে কিন্তু কেউ দাড়ায়নি । এরপর আব্বু আমাকে বললেন একটা ক্যব নিয়ে চলে যেতে , উনি গাড়ির কোন ব্যবস্থা করে আসবেন । আমি রাজি হলামনা আব্বুকে এমন ভয়ংকর অবস্থায় একা রেখে যেতে , আমার আব্বু অনেক বুড়ো হয়ে গেছেন কিচ্ছু খেয়াল করতে পারেন না , এই অবস্থায় আব্বুকে রাস্তায় এমনভাবে রেখে আসতে কিছুতেই মন সায় দিচ্ছিল না । 

দুপাশে গাড়ি শা শা করে ছুটছে আমার নিজেরি মনে হচ্ছে গাড়ি আমাকে উড়িয়ে নিয়ে মাঝ রাস্তায় ফেলবে , আর আব্বুতো আব্বু । আমি বলছি আমি যাবোনা আর আব্বু সবসময়ের মত বকাবকি শুরু করেছেন, বুঝতে পারছিলাম শেষ পর্যন্ত আব্বুর কাছে আমাকে হার মানতেই হবে । দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছি আর চোখ মুচছি , এই সময় দেখি একটা কার আমাদের পাশে এসেই দাড়ালো । 

গাড়ি থেকে একটা ছেলে নেমে এসে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে , আব্বু বললেন – উনি আব্বুকে জিজ্ঞেস করলেন স্পেয়ার চাকা আছে কিনা আব্বু যখন বললেন আছে তখন উনি গাড়ি থেকে চাকা নিয়ে চেঞ্জ করে দিলেন । পুরো ব্যপারটাই ১৫/২০ মিনিটের মাঝে স্বপ্নের মত ঘটে গেলো ।


রোদের প্রখর তাপে ছেলেটার লাল হয়ে যাওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে- পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে ছেলেটার মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই তখন আমার মাথায় আসেনি । কতইবা বয়স হবে ২৬/২৭ , যেখানে মরুভুমির ঝাঝালো রোদের মাঝে একটা গাড়িও দাড়াতে রাজি হয়নি সেখানে উনি এসে আমাদের সাহায্য করে ধন্যবাদটুকু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেলেন । সে মুহূর্তে সত্যি আমার ছেলেটাকে আমার দেখতে পুরোপুরি এঞ্জেলের মত লেগেছে ,এটা রোদের বিভ্রম কিনা জানিনা তবে আমার সারাজীবন মনে থাকবে জীবনে একবার এঞ্জেল মিট করার কথা ।

Saturday, June 15, 2013

হাই
  কেমন আছো তুমি ? গতানুগতিক সময়ের নিয়মে এখনকার সবচেয়ে কমন সম্বোধনটা দিয়েই তোমায় লিখা শুরু করলাম । অনেকদিন আগের সেই প্রিয় নামে তোমায় আর ডাকতে মোটেই ইচ্ছে করলোনা ।
        এখন এই প্রিয় নাম ভাবলেই আমার মনে অন্য কারো ছবি ভেসে উঠে,অসম্ভব শুদ্ধ পবিত্র একান্তই আমার শুভ্র কে ভাবি তখন । যে আমাকে দ্বিতীয়বার আবার বাচতে শিখিয়েছে ,আমার ভেঙ্গে যাওয়া মনটাকে নিজ হাতে প্রতিটি টুকরো খুজে জোড়া দিয়েছে । তোমার দেয়া লজ্জার ভারে নুয়ে পড়া আমার মাথাটাকে আবার উচু করে , পৃথিবীর সামনে বলেছে আমিই তার অহংকার । তার পৃথিবীতে আর কেউ নেই কিছু নেই শুধু আমি আছি ,তার সবকিছুই আমাকে ঘিরে ।
      আমারো কিন্তু পৃথিবীটা এখন শুধু তাকে ঘিরে জানো , আমিও আর কিছুই দেখতে পাইনা তাকে ছাড়া । আমার দেহের প্রতিটি সত্তা এখন শুধু তার প্রতিক্ষাই করে , তার আশায় প্রতিটি মুহূর্ত অস্থির হয়ে থাকে । এখনো আমার পাশে তার ঘুমন্ত মুখটা দেখে আমার মনের ভিতর কাল বৈশাখীর ঝড় উঠছে , তার নিস্পাপ মুখটাতে হাত রেখে প্রতিটি মুহূর্ত বলতে ইচ্ছে করছে ভালবাসী ভালবাসী শুধু তোমাকেই ভালবাসি ,আমি তোমাকে ছেড়ে কক্ষনো যেতে চাইনা । পৃথিবীর সবকিছুর বিনিময়ে আমি শুধু তোমার পাশে থাকতে চাই ।
       কিন্তু না তোমাকে একবার আপন ভাবার অভিশাপ আমাকে এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে , তোমার কালো ছায়া আমার পিছু কবে ছাড়বে ? আজ রাতে আমি আমার প্রানের পুরো অস্তিত্বই ছেড়ে যাচ্ছি । অনেক দূরে , আবার কোন নতুন ঠিকানার খোজে । আমার শরীরের প্রতিটি রক্তকণা চীৎকার করে তাকে বলছে – আমি যাবোনা , আমি যাবোনা তোমায় ছেড়ে । একবার উঠো দেখো তোমার পরী আজ সব ছেড়ে চলে যাচ্ছে ,আমি জানি তোমার ঘুম ভাঙলে আমায় তুমি আমায় কোথাও যেতে দিবেনা , তোমার সাদা মেঘের মত হাতদুটো দিয়ে আমায় ধরে আমায় ধরে বলবে তোমাকে ছাড়া আমিও যে বাচবোনা ,তুমি চলে গেলে আমার জীবনটা যে মাঝপথেই থেমে যাবে।
     আজ আমি আমার সব কিছু ছেড়ে যাচ্ছি শুধু ওকে তোমার কালো হাতের অভিশাপ থেকে বাচাতে । ভুলে যেওনা তুমি কথা দিয়েছো আমি চলে গেলেই তুমি ওকে ওর মত বাচতে দিবে , ওর ছোট্ট পৃথিবীটাতে তুমি আর অন্ধকারের গাঢ় কালি ঢেলে দিবেনা । তাইতো আমি যাচ্ছি আমার স্বপ্নের পৃথিবীটা ছেড়ে গভীর কোন অন্ধকার জগতে , সেখান থেকেই হয়তো স্বপ্ন দেখবো মাঝে মাঝে আমার রংধনু পৃথিবীটার আর আমার শুভ্রের । হয়তো আবার কখনো কোন একদিন দেখা হবে আমার ওর সাথে অন্যকোন মেঘের রাজ্যে , সাদা সাদা বড় বড় মেঘগুলো দিয়ে তখন আমি আবার বুনবো তার সাথে আমার ভালবাসার ঘর ।

                                                       -অন্ধকারের রাজকন্যা 

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...