Wednesday, May 27, 2015

দিনের শেষে ক্লান্তি আর শুন্যতার ভিড়ে এককাপ ধোয়া উঠা চা। তরুণীর হাতের কাচের চুড়ি রিনিঝিনি ছন্দে হেসে উঠে। তরুণী এলোচুল ছড়িয়ে উঠে দাঁড়ায় হাত বাড়িয়ে দেয় -ঠিক ওখানটায় যেখানে আংগুলের ফাকে যুবকের আংগুল জড়িয়ে থাকার কথা ছিলো -
সেখানে আজ অসীম শুন্যতা।
আংগুলের ফাকের শুন্যতা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়, তরুণী লম্বা লম্বা চুল আংগুলে জড়িয়ে বারান্দায় মানুষের আনাগোনা আর ব্যাস্ত ট্রাফিকের হৈ হুল্লুড়ে হারাতে থাকে। দিনগুলো সব হুটহাট কেটে যাক, যুবকের মতই হঠাত একদিন হারিয়ে যায় অসীম অন্ধকারে । ফিরে না আসুক কোন দিনের ছায়া।
বহুদিন আগের যুবকের কন্ঠে সমুদ্র – এসো আমরা পালিয়ে যাই সব ছেড়ে দুরে কোথাও। চারপাশে দিনের আলোয় জোছনার নরম রোদ ছুইয়ে ছুইয়ে পড়ে। যুবকের পাগলামীতে তরুণীর খিলখিল হাসি বাস্তবতায় থমকে থাকে। তরুনীর চোখের কোনে শুকনো জলের দাগ।
ক্লান্তি নিভিয়ে সব অচেনা হয়ে উঠুক – যুবক মেঘ হয়ে ভেসে যাক। পায়ের দাগ বালিতে ফেলে রেখে তরুণী সমুদ্রের গভীরে ডুবতে থাকে – ওই এক ফোটা মুখে ভালোবাসার চুমুক। যুবকের অচেনা দুটো চোখ নাহয় আজ ক্ষনিকের জন্য তরুণীর হোক।
বৃষ্টি ডাকে করুণাধারায়। আজ সব, উত্থাল পাতাল ঝড় আজ ভাসিয়ে নিক তরুণীর গান ।
<<<ইচ্ছে খাতা>>>
টুপুর টাপুর বৃষ্টি হবো
রিনিঝিনি নুপুর হবো
সাধ্য ছুড়ে আকাশ ছুবো
ইচ্ছে খাতার বুলি হবো
নদীর জলে ঢেউ উঠাবো
স্বপ্ন ছিলো বেশ।
পড়ন্ত এক বিকেল হবো,
তুলসি পাতায় নকশে হবো,
একলা সাঝের ছন্দ হবো,
মিথ্যে কথার রানী হবো
হবো কিরণমালার কেশ।
অলীক সুখে গা ভাসাবো,
নীল সাগরে ঠোট ভেজাবো,
নানান রঙের স্বপ্ন হবো,
ইচ্ছে পাহাড় পাড়ি দেবো
ভেবেছিলাম বেশ।
স্বপ্নগুলো মিলিয়ে গেলো,
ইচ্ছে গুলো শুন্য হলো,
বুকের মাঝে ময়না পাখি
দুঃখের গানে সুখকে ডাকি,
গল্প হলো শেষ।।।।।
ইদানিং প্রায়ই রাত জাগছি
নষ্ট হবার কষ্টে তোমায় ভেবে কাব্য আকছি
মিথ্যে মিথ্যে ভালো আছি - ভালো থেকো রচনা গাইছি ।
ফেসবুক ইনবক্স মেসেঞ্জারে বারবার তোমায় খুজছি
ইদানিং সত্যিই তোমায় খুব বেশী বেশী ভাবছি
আকাশ ভরা তারা আর জোনাক পাড়ার নেশায় মিছেমিছি আলোর ছবি বাধছি।
ইদানিং আমার সময় কাটেনা,
বিষন্নতা আগেরমতো কুড়ে কুড়ে খায়না
সব কিছুতেই ভুল, সব কিছুতেই ছল -
খেই হারিয়ে খেয়াল করি আমি আবারো তোমায় ভাবছি।

Wednesday, May 20, 2015

পাহাড়ের কোল ঘেষে ধুসর কুয়াশা.....
কুয়াশা কি ধুসর হয়? মেঘগুলো লাল নীল হয়ে উঠেনা কেন!
রঙ ছিটানোর খেলায় যে এখনো আমি ভীষণ আনাড়ি...
দুর থেকে দুরতর হয় তন্দ্রা নদীর ঢেউ....
শিশিরের বাধ ঘেঁষে বাঁচে সবুজ ঘাসফুল,
অচেনা কেউ হেটে যায় পথের পর পথ।
হঠাৎ হারিয়ে যায় পাহাড় থেকে ঝুলে থাকা শুভ্র সব মেঘে।
বাদল দিনের প্রতিক্ষায় থেকেও মেঘগুলো বদলায় না.... আকাশটা যে আমার মেঘগুলো তাই শুভ্র...
কাছে থেকেও অস্পৃশ্য -
জানোতো খুব বেশী কাছে যেতে নেই, যতটা,কাছে গেলে জোছনাগুলো বাষ্প হয়ে উড়ে যায়....
আমার আকাশ
কেমন থাকছ তুমি ? হাহাকারগুলো এখনো কি ছুয়ে এলোমেলো করে যায় তোমায় ?
বিশ্বাস করো আমি কক্ষনো চাইনি তোমায় ব্যাথা দিতে, তোমার কষ্টগুলো নিজের করতে প্রতিনিয়ত প্রার্থনায় মগ্ন থেকেছি । তবুও আবারো নিজের আত্মভিমানে সব ভুলে হারিয়েছি বারবার দৃষ্টির আড়ালে । জানতো ওইটুকু ছাড়া আমার যে নিজের বলে আর কিছুই নেই ।
আমি ভালো আছি । পদ্মপাতায় একফোটা শিশির যেমন থাকে আমি ঠিক তেমন করেই ভালো আছি । নিভে যাওয়ার আগে প্রদীপের সলতে একবার জ্বলে উঠে যেমন তারমতই ভালো আছি । বিশ্বাস করো আমি সত্যিই ভালো আছি – হয়তো আগের মতই পাগলীই আছি তবে এখন নিঃশ্বাসের কষ্টগুলো বাতাসে মিলিয়ে দিয়ে হাহাকার খুজে বেড়াই না আর ।
বারবার চিৎকার করে নিজের অস্তিত্বে সাড়া জাগাই "আমি ভালো আছি আকাশ- আমি ঠিক আমার মতো করেই ভালো আছি । মাঝরাতে তন্দ্রাচ্ছন্ন অর্ধমৃত আমি আর তোমাকে খুজি না - জানি ভীষণ ভয়ে কাতর আমায় শান্ত করতে তুমি আর কক্ষনো হাত বাড়িয়ে দেবেনা ।
বারবার ভালোবাসিনা বলে আবারো প্রেমে পড়ি আমি তোমার অথচ বিশ্বাসের মাতাল বৃত্তে আমারই স্পন্দিত হাহাকার । তুমি রয়ে যাও অস্পৃশ্য – দূর থেকে আমি খুজে বেড়াই তোমার মিথ্যে ঘরে অন্ধকার ভালোবাসা । ভালোবাসতে হয়তো আমি শিখিনি তবুও তোমায় ভীষণ করে চেয়েছিলাম আকাশ । এখনো দীর্ঘশ্বাসগুলো চিৎকার করে বলে আমার তোমাকে চাই , তোমাকে চাই ।
আর চাইবোনা আকাশ বিশ্বাস করো আর একদম চাইবোনা, আমি ভীষণ করে ভালো থাকবো । তুমি শুধু এমন করে নিষ্ঠুর হয়ো, ভালোবাসার চাঁদরে ঢেকে পিছু ডেকো না কক্ষনো । তবেই আমি ভালো থাকতে শিখবো, ভালো থাকবো জেনে তোমার বৃষ্টি মেঘ জোছনা আমি কখনোই হতে জানিনি ।
শুধু তুমি এমন নিষ্ঠুরের মতো আমায় আঘাত করে যেও , আমিও ভালো থাকতে জানবো ।
ইতি
আমার আমি

Monday, May 11, 2015

একদিন দুদিন, ভুলে থাকার তিনদিন।
অতঃপর ভালোবাসা হোক বোধহীন.......
আমার সব খাপছাড়া কথা আর এলোমেলো চুল তোমার কাছে চিরকালই পাগলামী ছিলো জানি ।
তবে ভুলে যেওনা ছেলে -
ভালোবাসা একদিন সত্যিই এসেছিলো।
হ্রদয়ের ঠিক ওখানটায় হাটু গেড়ে বসে নম্রত শুধু আমাকেই কামনা ছিলো।
দামাল ঘোড়ার মতো আবেগ- রাশ টেনে তুমিও থামাতে পারো নি।
ছুটে এসেছিলে এক আজলা জলের আশায়। সেদিন তোমায় আমি ফিরিয়ে দেইনি -
সে অধিকারে নাহয় আজ তোমার কাছে আবার কিছু চাইবো।
মুক্ত হওয়ার আমৃত্যু অহংকার টুকুই নাহয় চাইবো।
যেদিন জানলে তোমায় ঠিক ঠিক সুখ দেয়ার ক্ষমতা আমার নেই,
সেদিনই পালিয়ে বাচলে!
তোমায় দোষ দেইনা ছেলে-
বুকের মাঝে আসন পেতে বসা ভালোবাসাটা ওইটুকুতেই উরাল দিলে তোমার অপরাধ কোথায়!
ভালো বাসতে যে আমিও শিখেছিলাম।
তাইতো সুখ পালক ধরার অধিকার হারাতেই- তোমাকে পাওয়ার লোভটুকুও খুইয়ে দিয়েছি সে কবে।
এত ভয় পেলে কি আমার চলে!
তাই আমিও স্বার্থপর হবো আজ ছেলে;
দুহাত পেতে তোমার কাছে নিঃশর্ত মুক্তি চাইবো ।
এইটুকু স্বার্থপর হওয়াতে কি দোষ হয় বলো!
অনেকদিন আগে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে বিশাল সবুজ বনে একলা এক ছেলে থাকতো। নিঃসঙ্গ ছেলেটা যখন তখন পাতার বাশীতে সুর তুলতো।
ঠিক বনের বাইরেই ছোট্ট কুড়েতে থাকতো পাগলী একটা মেয়ে। লম্বা লম্বা চুল পিঠের ছড়িয়ে দিয়ে মেয়েটা প্রায়ই গুনগুন করে গান করতো। বুনো ফুল আর কৌতুহলি হরিণের সাথে রোজকার গল্প করতো।
তাদের দুজনেরই অদ্ভুত দুটো স্বপ্ন ছিলো। ছেলেটা বিশাল মাঠ হতে চাইতো, আর মেয়েটা হতে চাইতো বর্ষার রিমঝিম বৃষ্টি । স্বপ্নটা আরেকটু গভীর ছিলো ছেলেটা মাঠ হয়ে বুকের মাঝে বৃষ্টি বন্দী করতে চাইতো, আর মেয়েটা চাইতো বৃষ্টি হয়ে বিশাল ওই মাঠটাতেই ঝরে পড়তে ।
তাদের হঠাৎ হঠাৎ দেখা হতো। মেয়েটা যখন সপ্তাহশেষে ফল কুড়াতে বনে যেত অথবা নীল জোস্নায় উত্থাল পাতাল আবেগে ছেলেটা যখন বাশীতে সুর তুলতো - মেয়েটা তার গুনগুন গান বন্ধ করে ঘরের দাওয়ায় এসে গলা ছেড়ে গান ধরতো। ছেলেটার বাশি আর মেয়েটার স্নিগ্ধ গান মিলে পুরো বন জুড়ে অদ্ভুত সুরের ঝংকার সৃষ্টি করতো। বনের সব প্রাণীরা জড় হতো অদ্ভুত এই ভালোবাসার কাপন শুনতে।
প্রাণিদের সাথে বন দেবীও লুকিয়ে শুনতেন এ দুজনের মোহময়ী যুগল সঙ্গীত। গান শুনতে শুনতে একরাতে হঠাত বন দেবীর মনে হলো আমি এদের একটা পুরষ্কার দিতে চাই। তখন বনদেবী ছেলেটা আর মেয়েটা কে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন "আমি তোমাদের একটি ইচ্ছে পূর্ণ করবো - বলো কি চাও?
দুজনেই তাদের স্বপ্নের কথা খুলে বললো। বন দেবী ভীষণ বুদ্ধিমতি ছিলেন। ওরা কেন বৃষ্টি আর মাঠ হতে চায় তিনি এক নিমিষেই বুঝে নিলেন। এবং বৃষ্টি আর মাঠ না বানিয়ে তিনি তাদের দুজনের বিয়ে দিয়ে দিলেন।
অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে বাস করতে লাগলো। বৃষ্টি হলেই তারা হাত ধরাধরি করে ভিজতো আর জোছনা কাটাতো পাশাপাশি থেকে সারারাত। কিছুদিন পর ওদের খুব কিউট একটা বাবু হলো। বাবুটার নাম? আমি না ওরাই বলবে wink emoticon
গল্পটা এই পর্যন্তই।

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...