সময়টা বোধহয় বেশ আগের। হলদেটে ডাইরীর আধভাঙা পৃষ্টাগুলোও হারিয়ে ফেলছে স্মৃতি। আমিও একটু একটু করে ভুলতে বসেছি সব।
ফেলছির মতো সহজ বানানগুলোও আজকাল আর মাথায় আসেনা আগেরমতো। সব মুছে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
ওর চেহারাটা ঠিক মনে করতে পারিনা আর। কি ভালো লাগতো? কি জানি! তখনও চোখ বন্ধ করে ওর চেহারাটা ঠিক আকতে পারতাম না মনের ভিতর। শুধু এইটুকু মনে পড়ে ওর হাসি, ওর চুল সব আমার বুকের ভিতর কোথাও যেন খুব গভীরে ক্ষত তৈরী করে দিতো। খুব করে চাইতাম ওই মাথাটা শক্ত করে বুকের ভিতর চেপে ধরে ওর সব শূন্যতা দূর করে দিতে?নাকি নিজের শূন্যতা পুরণ করতে!! ওকে কখনো বলা হয়নি , বলতে পারিনি এইসব অদ্ভুত আবেগের কথা। তাই বোধহয় এতোটা ফাকা লাগে নিজের ভিতরটা। কি যেন নেই। কোথাও বিশাল এক ব্ল্যাক হোল। ওর দিকে আমি ঠিক করে কখনো তাকাতে পারতাম না। দু চোখ ভিজে উঠতো আমার অকারণেই। বিকেলের কমলা রোদ গাছের পাতা ছুয়ে ওর চুলে নেমে আসতো। আমার শুধু অকারণেই ভীষণ কান্না পেতো। রোদ কেন ছোঁবে ওকে আমার আগে!!
আজ এতোগুলো সময় পেরিয়ে এখনো আমার যত একাকীত্ব,বিষন্নতা সবটা জুড়েই কোথাও যেন ও থেকেই যায় । আমি যত দুরেই পালাই, আমার মুক্তি নেই।
No comments:
Post a Comment