একটা মেয়ের মাঝে লুকিয়ে থাকে অনেকগুলো মানুষ , সময় সময় বের হয়ে আসে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ... আর প্রতিটি মানুষই একজন থেকে অন্যজন এতো অন্যরকম মাঝে মাঝেই দ্বিধায় পড়তে হয় আসলে এই মেয়েটা কি সেই একি মেয়ে নাকি অন্য কেউ ...

"তোমার ঘরে বাস করে কারা
ও মন জানোনা
তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা
মন জানোনা
তোমার ঘরে বসত করে কয়জনা! " 

হঠাৎ হঠাৎই যেন আমার চোখে ছবি আকে অন্য কেউ, কিছুতেই নিজের মনটা আমি বুঝতে পারিনা- এত চেনা তবু কেন লাগে অচেনা...।।
(এটা শুধু আমার নিজেকে দেখেই ধারণা, অন্য মেয়েদের বেলায় প্রযোজ্য কিনা জানিনা আমি) 

ভয়ংকর এই পৃথিবীতে আমার শুধুই পালাতে ইচ্ছে করে, সবকিছু থেকে দূরে সবকিছু ছেড়ে সবার কাছ থেকে, নিজের কাছ থেকে...।
মানুষ এতো বদলায় কেন! ক্ষনিকে মানুষ বলে যায় কেন ! আমি এতো বদলাই কেন! আমার চারপাশ এতো বদলে যায় কেন !

কোথায় আছে সেই ভালবাসার শুভ্র নিরাপদ শহর! কোথায় গেলে দেখা যায় শান্তির শ্বেত পায়রার ঝাক আর মমতা মাখা হাসি !! ... 

কাউকে ভালবেসে তাকে প্রতিটি রক্ত কণিকায় অনুভব করা...

কেমন হয় সে অনুভুতি ? ! 

ইদানিং কেন যেন মনে হয় মানুষ না হয়ে রোবট হওয়াটাই বেটার ছিল, তাহলে কোন অনুভুতি থাকতো না , খুব সহজেই কিছু মানুষকে ছুড়ে ফেলে দিতে আমার জীবনের বাইরে। অনুভুতি ছাড়া কি কোন কষ্ট থাকে ! থাকেনা , তাই হয়তো রোবট হলে কষ্ট হতোনা । মানুষ এত অসহায় কেন ! মানুষের জিবনে কোন ডিলিট বাটন নেই কেন ! সব কেনর উত্তর জানতে ইচ্ছে করে... 

আমার ছোট ভাই মাঝে মাঝেই এই ছোট্ট হলুদ ফুলটায় একরাশ ভাললাগা মেখে আমার জন্য নিয়ে আসে

খুব সাধারণ একটা ফুল, ঝিঙে ফুল

কিন্তু এই সাধারণ ফুলের গন্ধটা এত্ত মিষ্টি

আমার প্রায় মনে হয় কোন ভাবে যদি এই ঘ্রাণটা আমি আটকে রাখতে পারতাম, নিজের মাঝে। নেশা ধরানো এই গন্ধে প্রায় নিজেকে হারিয়ে ফেলি...

এই ফুল নাকি শুধু রাতেই ফোটে ...

মাঝে মাঝে চারপাশটা ভীষণ একা হয়ে যায়, যে মুহূর্তে আমরা কাউকে চাই পাশে, ঠিক তখনি কেউ থাকেনা মনের কাছটা ঘেঁষে। নিজের কষ্টগুলো নিয়ে নিজে একাই স্তব্ধ হয়ে যাই ...
ঠিক সেই মুহূর্তে একি প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আবারো মনে আসে, কাউকে ভীষণ ভালবাসলে কি এই একাকীত্ব দূর হয় !! নাকি তারপরও থাকে ঠিক এমন করেই বুকের ভিতরটা জুড়ে ! 

কিছু কিছু শুন্যতা এতো অসীম হয়, কিছুতেই পূর্ণ করা যায়না । এই মুহূর্তে কেন যেন আমার তেমন শুন্যতা ফিল হচ্ছে - চারদিকে নিঃসীম একাকীত্ব , ভীষণ অন্ধকার দুরের ওই আকাশটা হাতের একদম কাছে... সেই আকাশে শুধু আমার আধার প্রতিচ্ছবির প্রতিফলন... 

প্রিয় নেশা

আর কত অত্যাচার করবে আমার উপর বলো। আমাকে আর কত বেশী কষ্ট দিলে তুমি ক্ষমা করবে আমায় !! আর কত পথ পেরোলে আমি আবার তোমার দেখা পাবো বলো । তোমার জন্য আমার সব কষ্টগুলো জমাট বেধে বুকে আটকে থাকে, চোখের কোন বেয়ে আর গড়িয়ে পড়েনা কোন জল।
তারপরও এই বুদ্ধিহীন হৃদয়টা শুধু তোমার কথাই বলে।
আমি কেমন করে বাচবো বলো !!

ইতি
তোমার আচ্ছন্না 

আমার কাছে কেন যেন মনে হয় বিশ্বাসটায় ভালবাসার প্রথম শর্ত, কেউ যদি বিশ্বাস ভঙ্গ করে তাকে অবশ্যই ভালবাসা যায়না ।

প্রিয় আকাশ

জানো ইদানিং আমার মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছে মিথ্যে বলতে না পারাটা আসলে এক ধরনের বোকামী। কিছু সময় মিথ্যে বলা জরুরি তাই না ? তোমার জগতে কি কেউ মিথ্যে বলে ?
তুমি কি আমার সাথে মিথ্যে বলো ?
তুমি কি কখনো মিথ্যে বলো ? নাহ তুমি মিথ্যে বলতে পারোনা । মিথ্যে বললে কি এমনভাবে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতে ? ছড়াতে পারতে মুঠো মুঠো স্বপ্ন সবার মাঝে ...!

ইতি
দুরের ঘাসফুল 

প্রিয় নেশা 

তুমি কি জানো কেমন করে যেন তুমি আমার হৃদয়ে জায়গা নিয়ে তারপর শরীরের প্রতিটি রক্ত কণিকায় ছড়িয়ে পড়েছ ! তোমাকে ভাবলেই আমার শরীর জুড়ে অসহ্য ব্যাথা কি যেন এক যন্ত্রনায় মনে হয় চামড়াটা কেটে বুঝি সব রক্ত ঢেলে নিজেকে শুভ্র করে তুলি ।

তুমিইতো আমার মাঝে বিষ হয়ে ছড়িয়েছ, তুমি হয়তো জানোনা কতটা মসৃণ হয়ে তুমি আমার দেহের সব রগে রগে মিশে আছ। তোমার বিরহ আমাকে এতোটা কাতর করে তুলে যে আমি পাগল হয়েও হতে পারিনা। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে সব ধ্বংস করে ফেলি, পৃথিবীতে থাকবো শুধু আমি আর তুমি। এতোটা ভালবাসি কেন বলতে পারো ! ড্রাগ এডিক্টের মত আমি তোমাতে এডিক্ট হয়েছি, এই নেশা যেন কিছুতেই বদলানোর নয়।

বার বার তোমার হাতটা ছুঁতে ইচ্ছে করে, সারাটা সময় তোমার নেশায় বিভ্রান্ত আমি সূর্যের আলো খুজি। তুমি বিশাল আকাশ আর আমি এই মাটিতে ফোটা ছোট্ট ঘাসফুল, তোমাকে ছোয়ার অধিকার কি আমি কখনো পাবো বলো? মাঝে মাঝেই তুমি ভুল বৃষ্টি ঝরাও আমার মাথায় আর সেই বৃষ্টি বুকে ধরে তিল তিল করে বেচে থাকার স্বপ্ন দেখি, দূর থেকে তোমার কষ্টগুলো দেখি আর আমার ভিতরটা যেন কষ্টে চুরমার হয়ে সবটুকু ভেঙ্গে ভেঙ্গে পায়ের নিচের মাটিতে মিশে যায়।

কতটা ভালবাসলে তোমাকে কাছে পাওয়া যায় বলতে পারো কি? আমার সব ইচ্ছেগুলো জড়ো করেও কেন আমি তোমাকে ছুঁতে পারিনা বল, আর কতবার আমি ধ্বংস হয়ে আবারো জন্ম নিলে তোমাকে খুজে পাবো বলতে পারোকি !

তোমাকে ভালবাসি, তোমাকে খুব করে ভালবাসি তাইতো তুমি মিশে থাকো, মিশে আছ আমার সব কিছুতেই...

ইতি 

তোমার আচ্ছন্না 

তোমাকে ভালবাসে এমন মানুষের অভাব কখনোই ছিলনা, কখনো থাকবেও না আমি জানি তাইতো ছেড়ে এসেছি সেই একটা মানুষকে খুজতে যার আমাকে ছাড়া একদমি চলবেনা । যার পাশে নেই কোন ভালবাসার ভীড় আমি থাকবো সেই মানুষটার মাঝেই নিজের মত করে ।

এমন কাউকে পাওয়ার আশায় এসেছি যার কাছে আমার শুন্যতা সবকিছু অন্ধকার করে দিতে বাধ্য, এমন কারো হৃদয় হয়ে বাচতে এসেছি ... 

আমি আছি কোথাও তোমার চারপাশেই ভিড়ের মাঝেই ...
তোমার চারপাশের হাজারো কন্ঠের মাঝে তুমি আমায় কখনো খুজে পাবেনা কিন্তু জানো এখনো জড়িয়ে আছি আমি তোমায় পরম মমতায় নিজের আবেগগুলোর মাঝে, হয়তো আবারো দেখা হবে তোমার আমার খুব অপরিচিত কারো মত, ফিরে তাকাবেনা তুমি না দেখার ভান করবো আমিও ...
তারপরও ঘিরে রাখবো আমি তোমায় সমুদ্র হয়ে অথবা রাতের তারা হয়ে তোমার একাকী কোন মাঝরাতে...

আচ্ছা তুমি কেমন আছ ?

খুব অদ্ভুত ব্যাপার কি জানো আমি যতক্ষন জেগে থাকি তোমার শূন্যতা ততটা অনুভব করিনা, যতটা অনুভব করি ঘুমাতে গেলেই, ঘুমের মাঝেই তোমাকে লম্বা লম্বা চিঠি লিখি । স্বপ্নগুলো শেষ হয়ে যায় কিন্তু চিঠি শেষ হয় না । কোথায় আছ তুমি এখন ? কতদুরে আমার কাছ থেকে ? জানিনা কিন্তু জানো ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে। আমি সব ছেড়ে সবাইকে ছেড়ে চলে এসেছি - কিন্তু খুব অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে তুমি ছাড়া আর কারো শুন্যতাই ভাবাচ্ছেনা স্বার্থপর এই আমাকে ।

এখনো আমার বারান্দার গাছগুলো আগের মতই আছে এখনো বিড়ালগুলো আগের মতই আমার চারপাশে ঘুরঘুর করে শুধু তুমি নেই , কোথাও নেই তুমি । আমি যত দেরি করেই আসি তুমি আর বলোনা আগের মত ভীষণ মিস করেছি তোমাকে। তোমাকে আমি দেখতে পাই অন্যদের সাথে দুষ্টামিতে সবকিছুতেই কিন্তু আমার কিছুতেই তোমার ছোয়া আর নেই তাই চলে এলাম নিজের নিঃসঙ্গ মনটাকে সান্তনা দিতে- আমি ভাল আছি এখন বিশ্বাস করো খুব ভাল আছি , মাঝে মাঝে হয়তো তোমার শূন্যতা আমাকে আমার সময়গুলোকে একটু নাড়িয়ে দেয় একটু খানি ফাকা করে দেয় বুকের ঠিক মাঝখানটায় এছাড়া আর কিছুই না ।

আমি জানি তুমি ভাল আছ, আমি না থাকলেও তুমি ভীষণ ভাল থাকো তাই আমিও থাকবো অনেক ভাল তুমি দেখে নিও । 

যতদিন পড়াশুনা থাকে আমরা সবাই খুব আশার মাঝে থাকি, মনে হয় পড়া শেষ করেই একটা জবে ঢুকে যাবো । বেশী কষ্ট হবেনা কিন্তু পড়াশুনা শেষ করার পর বুঝা যায় আসলে জব পাওয়াটা যে কত্ত কঠিন । 

খুব অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে ইদানিং ঘুমের মাঝেও আমার কেমন যেন ফাকা ফিলিংস হচ্ছে । ওকে ভীষণ মিস করছি হয়তো :(  ওকেই ভাবছি সারাক্ষন ।
ঘুমালেও ওর লিখা খোলা চিঠিগুলো চোখে ভাসছে, আর স্বপ্নের মাঝেই রিপ্লাই দিচ্ছি ।

কেন এত্তো বেশী লাগছে ওর শূন্যতা ! পাগল হয়ে যাচ্ছি মেবি । 

আমি খুব খেয়ালী আর স্বার্থপর টাইপের নিজের যা ভাল লাগে করি, অন্য কারো ফিলিংস নিয়ে কক্ষনো মাথা ঘামাইনা >_<
নিজেকে শোধরাতে হবে , কিন্তু কেমন করে তাই বুঝতে পারছিনা । 

মানুষ খুবি আজব প্রানী একজনের প্রসংশা করতে গিয়ে অন্যজনকে পচানো শুরু করে >_< কি সমস্যা ওদের ! আরেকজনকে না পচিয়ে কারো প্রসংশা করা যায়না বুঝি >_< না পারলে আমাকে জিজ্ঞেস করলেই হয় :/ আমি শিখিয়ে দিবো কেম্মে তুলনা না করে অন্যদের প্রশংসা করতে হয় হুহ :/ 

কি আশ্চর্য !আমি যেখানে বড় হিসেবে ট্রিট হতে চাই সেখানে আমাকে ছোট হিসেবে ট্রিট করা হয় >_< আর যেখানে ছোট হিসেবে ট্রিট হতে চাই সেখানে বড় >_< যন্ত্রনায় আর বাচা গেলো না >_< 

আমার মাঝে মাঝেই মনে হয় , আসলে এমন কেউ একজন থাকলে মন্দ হতোনা ।

কোন এক হেমন্তের বিকেলে প্রতিদিনের মতই যখন লাল কমলা আকাশটা ছুয়ে দেখার চেষ্টা করছি ঠিক সেই মুহূর্তেই তোমার দেখা পেলাম আমি, আমার মতই একা একা আকাশটাকে ছোয়ার চেষ্টা করছো ! পড়ন্ত বিকেলের আলোয় তোমার সোনারাঙ্গা মুখ কোন জাদুতে যেন আমার হৃদয়ের ঠিক মাঝখানটায় গেথে গেলো ! মুগ্ধ হলাম আমি জীবনে প্রথমবারের মত। 

সন্ধাটা নামার পর পরই ফিরে এলাম আমি কিন্তু আমার আকাশটা ঠিক সেই মুহূর্তের লাল কমলাই থাকলো, কিছুতেই সন্ধার সেই হালকা আধার দেখতে পাইনা। সকাল সন্ধ্যা মাঝরাত সবসময়ই আমি লাল কমলা আকাশ দেখি । আর সেই সাথে তুমি... 

তোমার সাথে আমার আর দেখা হয়নি, কিন্তু আমি সারাক্ষণই তোমাকে দেখতে পাই- বিকেলের সূর্যের আলোতে তোমার আকাশ ছোয়ার চেষ্টায় ব্যাস্ত তুমি । কিন্তু জানো এখন আমার আর আকাশ ছুঁতে ইচ্ছে করেনা, আমি গাছ ছুয়ে নদীর জল ছুয়ে তোমাকে ছোয়ার চেষ্টা করি। আমি ঠিক জানি আমার মতই এই বিশাল আকাশটার নিচে কোথাও তুমি আছ, হয়তো কখনো মনের ভুলে ছুয়ে দেখেছো এই নদীর জল- তাইতো সেই জল ছুয়ে তোমায় অনুভব করার চেষ্টা করি।  

গত দুদিন ধরে প্রতি রাতে শুধু এই গানই শুনছি । এর মাঝে কয়েকশো বার মে বি শুনে ফেলেছি , টেনশান লাগছে আমি কি পাগল হয়ে যাচ্ছি ! শুনেছি পাগলরা সেম জিনিস বারবার করে >_<
http://hindisongs.audio.pk/download/A/Agent_Vinod_(2012)/Raabta_(Night_In_Motel)_(www.Audio.PK).mp3

মাঝে মাঝে কারো একটা কথা বুকের ভিতরটা এতো ফাকা করে দেয়, কষ্টগুলো অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয় । ওর ছোট্ট একটা কথা যখন আমাকে এতোটা কষ্ট দেয় , তখন চোখে পানি নিয়েও আমি অবাক হয়ে ভাবি সত্যি কি প্রেমে পড়েছি আমি ? ভালবেসেছি এই ছেলেটাকে !!
তারপর আবার সাথে সাথে নিজেকে বলি না এটা অসম্ভব , আমি ভালবাসবো না । কিছুতেই না । তাই আবারো পালালাম << আবারো পালিয়ে থাকবো আমি কিছু সময় নিজেকে গোছাতে >> 

তোমার জন্য আবেগটা আমার কখনোই কম ছিল না। বরং একটু বাড়াবাড়ি রকমের বেশিই ছিল, সেই তুমি যখন আমাকে সন্দেহ করলে আমার মনে হচ্ছিল একটু একটু করে বুঝি চারদিক থেকে পৃথিবীটা সংকুচিত হয়ে আমাকে চেপে ধরতে আসছে। বিশ্বাস করো এতোটা অন্ধকার এর আগে আমি কখনো দেখিনি । নিজেকে জাস্টিফাই করার শক্তিটুকুও ছিলনা আমার, শুধু সেই অন্ধকারে পথ হাতড়ে হাতড়ে পালিয়েছি আমি।

           আমার সবসময়েই একটু অহংকার ছিল তোমাকে নিয়ে তুমি আমাকে যতটুকু জানো তারচেয়ে বেশী আমাকে আর কেউ জানেনা। তাই তুমি যতটুকু বুঝবে আর কেউ হয়তো কখনোই ততটুকু বুঝবেনা এই সাধারণ আমিটাকে। কিন্তু বিশ্বাস করো তোমার চোখে যখন আমাকে অপরাধী হয়ে থাকতে দেখলাম, বাচার শক্তিটাও বুঝি হারিয়ে ফেলেছিলাম আমি- শুধু পালিয়েছি সব কিছু ছেড়ে সবকিছু ভুলতে পালানোর চেষ্টা করেছি ।

     কিন্তু সেখানেও ব্যারথ হলাম এই আমি। যেখানেই যত দুরেই যাই চোখ বন্ধ করলেই তোমাকে দেখতে পাচ্ছিলাম, তোমার প্রশ্নভরা দুচোখ যেন তারার মত জ্বলে থাকলো সারাক্ষন আমার সামনে। আর আমি তাড়া খাওয়া কুকুকের মত ছুটছি সব কিছু থেকে দূরে, পালাচ্ছি নিজের কাছ থেকে নিজে...

     হঠাৎ করেই ওয়াসিমটা ফোন করে জানালো তুমি চলে যাচ্ছো সব ছেড়ে অনেক দূরে, আমার সব পালানোকে ব্যারথ করে আমার স্পর্শের বাইরে অনেক অনেক দূরে কোথাও ।

     ছুটতে ছুটতে ফিরে এলাম আমি শুধু তোমাকে একবার বলতে বিশ্বাস করো তোমার সাথে বিশ্বাসভঙ্গ আমি কখনোই করিনি, করতে পারিনা। সারাপথেই শুধু ভেবেছি কি করে বুঝাবো তোমাকে আমি আমি এখনো সেই আগেরমতই আছি তোমার পাশে। কিন্তু তোমার সামনে দাড়াতেই কে যেন দুহাতে আমার গলাটা টিপে ধরলো বলে মনে হলো আমার। একটি শব্দও মুখ থেকে উচ্চারন করতে পারলাম না- শুধু মাথা নিচু করে অপরাধীর মত দাঁড়িয়ে আছি আর পায়ের নিচের সবুজ কার্পেটটা ভিজে যেতে লাগলো বড় বড় চোখের ফোটায় ।

সেই জল দেখে তুমি কি ভাবলে  আমার ঠিক জানা নেই শুধু শান্ত মুখে বুকের ভিতরটা চৌচির করে দিয়ে বললে "তুমি চলে যাও, আর কখনো এসোনা আমার সামনে" - বুকের সব কষ্টগুলো জড় করে কোনমতে ভাল থেকো বলে চলে এলাম আমি ।

সেই থেকেই আমার সঙ্গী শুধু কুৎসিত এই অন্ধকারটা, আমাদের দুজনকে খুব মানায় জানো। অন্ধকারটাকে ভালবেসে বেচে আছি এখন আধারের এই আমি, আলোটাতো তুমি সাথে করেই নিয়ে গেছো তাই হয়তো দেখতে পাইনা কোথাও কোন আলোর ছোট্ট প্রদীপ আর, থাক লাগবেনা আমার কোন আলো অন্ধকারটাই আমার বেশ লাগে এখন । 

জ্যোৎস্না প্রেম আমার শুরু আইয়ুব বাচ্চুর "জানালারই পাশে রাত জাগি আমি আর ওই পাশে রূপালী চাঁদ" গানটা শুনে শুনে । তারপর সেই প্রেমে আরো আবেগ মাখিয়ে দিলেন শ্রদ্ধেয় হুমায়ূন আহমেদ স্যার । সব মিলিয়েই জ্যোৎস্না যেন আমার কাছে অলৌকিক কোন মুহূর্ত হয়ে দাড়ালো । ভীষণ ভাল লাগে জ্যোৎস্না পূর্ণিমা সবি । জ্যোৎস্নার আলোতে বেরুলেই আমার মনে হয় অচেনা কোন স্বপ্নপূরীতে ঘুরছি , বিষণ্ণতা ভাল লাগা সব মিলিয়েই যেন কিসের মোহে আটকে যাই ।

তবে জ্যোৎস্না দেখলেই এখনো প্রথমেই আমার "জানালার পাশে " গানটা মনে পড়ে । কতরাত যে জেগেছি এমন একা একা জানালার পাশটায় আমি নিজেও জানিনা - বসে গুন গুন করে গেয়েছি " নীরব নিথর এই শহরে নেইকো জোনাক দীপাবলি, একাকী ক্ষত ছুঁয়ে চাদের কাছে কান্নার গল্প আমি বলি " ...

আমার ভিতর ভাঙ্গন ধরেছে সেই ভাঙ্গনের শব্দ খুব ক্ষীণ কিন্তু শুনতে পাই , এক এক করে আমার সব কিছুই ভেঙ্গে যাচ্ছে । একটু একটু ভাঙছি আমি । নষ্ট হচ্ছি কষ্ট পাচ্ছি জমছে ধুলো আমার মনে 

নিজেকে আমি জানি বলেই নিজেকে আমি ভালবাসতে পারিনা , নিজের ভিতরটা নিজে দেখতে পাই বলেই নিজেকে আমার এত অপছন্দ । আর নিজেকে ভালবাসতে পারিনা তাই হয়তো নিজের উপর নিজে রেগে থাকি । নিজেকে নিজের কাছেই ভীষণ তুচ্ছ আর ক্ষুদ্র মনে হয় ।  

মাঝরাতগুলো আমার ভীষণ অন্যরকম লাগে । প্রতিটি মাঝরাতই নতুন লাগে কেমন যেন - নিজেকেও আমার ভীষণ এলোমেলো লাগে । রাতের অন্ধকার আকাশে নিজের অচেনা প্রতিবিম্ব পাশে তোমার দেখিয়ে দেয়া তারার পথ আমি চুপটি করে শুধু তোমাকে ভাবি, তোমার চোখের অদ্ভুত আলোটা নিয়ে ভাবি - যে চোখে স্বপ্ন খেলা করে মায়ার বিভ্রম। সেই এক মুহূর্তের ভুলটাকে আমি নিজের ভেবে কষ্টগুলো জুড়ে তোমাকে আকি , চুপি চুপি ভালবাসি বলি ।

তোমার ওই সমুদ্রের মত নীল চোখে কখনো আমার ছায়া কখনো পড়েনা আমি অসহায় মনে বার বার অবুঝের মত একি প্রশ্ন করি -
                           
                                   একটাই আমার তুমি কেন বুঝোনা !

ভালবাসার অনুভুতিগুলো এত মিষ্টি অথচ কেন জানি আমার ভালবাসি কথাটা শুনলেই পালাতে ইচ্ছে করে । পালিয়ে বেড়াই আমি দূর থেকে দূরে - আমাকে ভালবাসে এমন মানুষগুলোর কাছ থেকে । তারপরও আমার ছুতে ইচ্ছে করে ভালবাসা আর তার মাঝের মায়াবী সব অনুভুতি কে ,

                                  "ভালবাসা তারপর দিতে পারে গত বর্ষার সুবাস
                                 বহুদিন আগে তারাদের আলো শূন্য আধার আকাশ"
ভালবাসার গন্ধটা অদ্ভুত, জ্যোৎস্নার রঙ আর ঝুম বৃষ্টির মাখামাখিতে নেশা ধরানো নস্টালজিক একটা গন্ধ। আবার কখনো শীতের ভোরের কুয়াশার গন্ধ অথবা পাতার উপর জমে থাকা ছোট্ট কোন শিশিরের কণা। তখন সবকিছুতেই সুরের ছোয়া আর নুপুরের রিনিঝিনি ছন্দ। চারপাশের সবি যেন নিজের খেয়ালে নাচে দুলে দুলে, আবার সবকিছুই বড় অসহ্য রকমের সুন্দর।

তারপরও ভয় লাগে ভালবাসা, পালিয়ে বেড়াই আমি ভালবাসার ছোয়া থেকে। ভালবাসি শুনতে ভয় লাগে শুধু মনে হয় এখনি বুঝি থেমে যাবে মিষ্টি এই গান। রাজ্যের যত পাগলামি এসে ভর করে মাথায়। সব কিছুই কেমন যেন এলোমেলো আর হিজিবিজি –
                                 তোর জন্য আমি বন্য মাতাল অনুভব জুড়ে
                                 সব শূন্য শুধু বন্য, তুই নিখোজ অচিনপুরে...

তুমি এতো অনেস্ট কেন ? এতোটা পেইনফুলি অনেস্ট কেন ! তুমি বুঝতে পারোনা , তোমার সবসময়ের সত্যি বলার অভ্যাসটা মাঝে মাঝেই আমায় কতটুকু কষ্ট দেয় ! মিথ্যে করেও কেন তুমি একবারো বলতে পারোনা ভালবাসি ?

( কথাগুলো আমার  কিন্তু ভীষণ কষ্টে মাখানো এই অনুভুতিগুলো অন্যকারো ) 

আমি চাইলেই আকাশ ভর্তি মুঠো মুঠো রোদ , আবার আমি চাইলেই আকাশটা মেঘলা ।
আবার মাঝেই যেন নিতে পারি আমি দুরের ওই বিশাল চাঁদ আমার ছোট্ট হাতের মুঠোয় ।

 এই ছবিটা আমার রুমের জানালায় দাঁড়িয়ে তোলা । জানালার কাচ খুললেই দেখি ঝকঝকে রোদ , আর কাচ লাগালেই মেঘলা আকাশ । আমার এই দেশটাতে বৃষ্টি হয়না, শুধু শীতকালেই মাঝে মাঝে দেখতে পাই- কিন্তু তাই বলে মেঘলা আকাশের অভাব আমার কখনো হয়নি। ভালবাসি আমার এই ছোট্ট রুম আর রুমের জানালাটা এই জানালায় দাঁড়িয়ে প্রায় আমি চাঁদটা হাতের মুঠোয় লুকিয়ে ফেলতে পারি , আবার মুঠো খুলেই দেখতে পারি যখন ইচ্ছে ।

আমি খুব দ্রুত বদলে যাই, তাই নিজেকে আমার ভয় লাগে । সময়ের সাথে বদলানো না, সময়ের সাথে রেস করে বদলানো। সময় পিছনে থেকে যায় আমি আমারমত বদলাতে থাকি। আমার সব ভাল লাগাগুলোই খুব ক্ষণস্থায়ী হয়- কিছুই আমার বেশীদিন ভাল লাগেনা - তাই এই আমার আমিকে আমার ভীষণ ভয় লাগে। নিজের ভাল লাগাকে ভয় লাগে- ভালবাসতে ভয় লাগে। সত্যি যদি ভালবাসা আমার কয়কদিনের মাঝেই বদলে যায় তাহলে নিজেকে ক্ষমা করার কোন পথ কি আমার সামনে খোলা থাকবে ?
থাকবেনা আমি জানি ।

তাই ভালবাসাগুলো পেতেও ভয় লাগে , এড়িয়ে চলি ভালবাসা । ফিরিয়ে দেই নিজের অন্ধকার রুপটা সামনে আসার আগেই ।  

মানুষ কত রকমের স্বপ্ন দেখে নানান রঙের নানান ঢঙ্গের স্বপ্ন । সেই স্বপ্নগুলোর কোন আগা নেই, মাথা নেই, শেষ নেই শুরু নেই   । স্বপ্নগুলো থাকে অন্তহীন সীমানা ছাড়া ।

কিছু কিছু স্বপ্ন একদম বুকের কাছটা ঘেঁষে থাকে আবার কিছু কিছু অনেক দুরের ওই তারাগুলোর মত, ছুতে চাইলেও ছোয়া যায়না এমন।

তবে স্বপ্নগুলো যেমনি হউক স্বপ্ন হচ্ছে তার মালিকের মনে প্রতিচ্ছবি মাত্র । কিন্তু আমার স্বপ্নগুলো এমন অচেনা হয় কেন ? প্রতিবারই মনে হয় এই সপ্নগুলো বুঝি আমার না । অন্য কারো স্বপ্ন আমার চোখের তারায় ভাসছে তাই দেখছি ।

আমার স্বপ্নগুলো এতো এলোমেলো কেন ! 

আসলেই কিন্তু মেঘেদের একটা দেশ আছে, সে দেশে কোন মাটি নেই তার বদলে আছে মিহি জরীর মত রুপালী বালি। ষে বালিতে পা দিলে পা দেবে যায়না, উলটো কেমন যেন শীতল শান্তি শান্তি একটা ভাব হয়। তবে সেখানে ঝর্নার পাশের, দীঘির পাশের, নদীর পাশের আর সাগরের কিনারাটার বালি একদমি সোনালী রঙের। সে দেশে লাল রঙের সোনালু ফুল ফুটে রাতের বেলা- সেই ফুলের নেশা ধরানো গন্ধে ফুলপরীদের মেলা বসে। তারার মালা গাথতে গাঁথতে তারা মিষ্টি সুরে গান গায়। সে গানে আছে শুধু মোহময়ী আবেগের ঝড় আর ভালবাসা।

সে দেশের পানির রঙ হালকা গোলাপি। আর আকাশটা হালকা বেগুনী রঙের। আকাশের বুকজুড়ে ভেসে থাকে হালকা সবুজ রঙের মেঘের দল আর অনেকগুলো চন্দ্র সূর্য। সূর্যটা সবসময়ই ঝকঝকে নীল আর চাঁদটা শুভ্র সাদা। দূর থেকে দেখলেই মনে হয় শুভ্র লিলিফুলের ঝাড়। চাঁদটাকে ঘিরে থাকে অদ্ভুত এক আলো, আলোটা ঠিক সাদাও না আবার নয় কালো- মাঝামাঝি কোথাও কালো সাদার আলোর খেলা ।

সে দেশে আছে তারাদের গাছ, আর আছে অসময়ের বৃষ্টি। মনে মনে চাইলেই সে বৃষ্টি শুরু হয়। অদ্ভুত সে বৃষ্টি মাঝেই মাঝেই তুলার মতো চারপাশে উড়াউড়ি করে, হাতে নিলেই কেমন জানি নীল জল। মাঝে মাঝে আকাশটা গান গায় ওখানে তখনি রাত্রি নামে শঙ্খচিলের ডানায় ভর করে। ভালবাসার স্বপ্ন বুনে আনমনে।

(এলোমেলো বকছি জানি, তবে আমার প্রায় মনে হয় এমন একটা দেশ থাকলে মন্দ হতোনা। যে দেশ ভর্তি থাকবে আইসক্রিম চকলেট চিপসের গাছ)

আমার মাঝে একধরণের ঘোর সৃষ্টি হয়েছে, প্রচলিত ভাষায় যাকে বলা হয় ভালবাসা। আমি নিজে প্রচণ্ড যুক্তিবাদী একজন মানুষ, তাই যুক্তিবাদী মানুষের মতই নিজেকে বলেছি- এটা কিছুই না মনের বিভ্রম এবং বিষয়টাকে কোনরকম কোন গুরুত্ব যেন না দেয়া হয়। যতবার ব্যাপারটা মাথায় আসছে মনে মনে বলছি এটা আবেগের খেলা মাত্র, যে কারো জন্যই এমন হতে পারে।

মাঝে মাঝেই আমার তাকে ভেবে চোখে পানি আসে, চোখের পানি মুছতে ইচ্ছে করেনা- শান্ত মুখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার নিজের কাজে মনে দেয়ার চেষ্টা করি। কেন যেন ওকে আমার কচুর ফুল দিতে ইচ্ছে করে- ধবধবে সাদা রঙের কচুর ফুল, সে ফুলে নেশা ধরানো গন্ধ। আমি কখনো কচুর ফুল দেখিনি তারপরও কল্পনায় দেখি হাত ভর্তি সাদা ফুল নিয়ে ও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। 

আধাঘন্টার নিউজ আর বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনাঃ

#ফেলানী_হত্যা_মামলায়_দায়ী_বিএসএফ_সদস্যদের_বেকুসুর_খালাসঃ নিউজ দেখতে গিয়ে যে ঘটনাটায় প্রথমেই মনে আলোড়ন তুলেছে তা অবশ্যই ফেলানীর হত্যা মামলা। নিউজটা দেখার পর নিজেকে সত্যিকার অর্থে ভীষণ ছোট লাগছে- মনে হচ্ছে আমরা যে দেশের মানুষ আমাদের আসলেই বোধহয় কোন মুল্য নেই, আমাদের মুল্য বোধহয় ইন্ডীয়ার বর্ডারে থাকা ইন্ডীয়ান গরুটার চেয়েও কম- আমাদের চেয়ে হতভাগা আর কেউ আছে কিনা জানিনা। কেন বেকুসুর খালাস পাবে কোন যুক্তিতে ! ইচ্ছে করছিল টিভির ভিতরে ঢুকে জিজ্ঞেস করি।
যে গালি কখনো মুখে নিবো ভাবিনি সে গালি নিজের অজান্তে মুখে চলে এসেছে- কিন্তু গালি দিবোই বা কাকে ! এই হায়েনাগুলতো আমাদের বাংলা মায়ের বুকেই জন্মেছে, আরে বিএসএফ গুলাতে অন্য দেশের মানুষ কিন্তু তোরা কেন আমাদের দেশের হয়েও #ফেলানীর_আমাদের সবার এই অপমান করলি! আমার ক্ষমতা থাকলে অবশ্যই এই মানুষরুপী হায়েনাগুলোকে চিরতরে ইরেজার দিয়ে মুছে দিতাম। থুথু দেই এই নোংরা রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের মুখে।

#শাপলা_চত্তরে_হেফাজতে_ইসলামীঃ খুব জানতে ইচ্ছে করছে আসলেই শাপলা চত্তরে সেদিন কি হয়েছিল। কে সত্যি বলছে আর কে মিথ্যে। প্রথমে কেন বললেন নিহত কেউ হয়নি! এখন কেন বলছেনঅল্প কয়েকজন মারা গেছে! যাই হউক উপরে আল্লাহ সবি দেখছেন, সত্যিই যদি সেদিন প্রানহানী হয়ে থাকে তার বিচার নিশ্চয় আল্লাহ করবেন।

#প্রেমের_প্রস্তাবে_প্রত্যাখ্যাত_হওয়ায়_সহপাঠীকে_কুপিয়ে_হত্যাঃ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন- আসলেই নিষ্প্রয়োজন। এগুলা মানুষ না এককথায় দানো- রক্তলোভী দানো। ভালবাসা?! চরম কৌতুক!!

এবার একটা আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ............
যুক্তরাষ্ট্রর সিরিয়ায় হামলার প্রস্তুতি। ইরাক আফগানিস্তান শেষে এখন সিরিয়া ! আর কত জীবন দরকার আমেরিকার পেট ভরাতে ? আসলেই ভাবতেই অবাক লাগে। আর এই আক্রমনে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আক্রমন করবে রাশিয়া। ভয় লাগছে খুব ভয় লাগছে আরেকটা বিশ্বযুদ্ধ কি শুরু হতে যাচ্ছে !!

পাদটিকাঃ এখন আর হরর দেখতে হরর মুভি দেখা লাগেনা। কিছুক্ষন নিউজ দেখাই যথেষ্ট । শুধু জানতে ইচ্ছে করছে মানুষ এত অসহায় কেন ! R দানবগুলো সব ক্ষমতার শীর্ষে কেন !!

প্রিয় বাবুন,

গতকাল আবার আরেকটা বছর কেটে গেল আমার তোমার কন্ঠ না শুনে, তোমাকে না দেখে তোমার মুখে মাম মাম ডাকটা না শুনে। আবারো পার হলো আমার আরেকটা বছর তোমার জন্মদিনে তোমার কপালে চুমু না দিয়ে ।

প্রতিবছরের মত এই বছরো আমি তোমার জন্মদিন আরেকটা ছোট্ট বাবুর সাথে কাটিয়েছি, প্রচন্ড মন খারাপ থাকা সত্ত্বেও রাত ১২টা পর্যন্ত সারাক্ষনি হেসেছি। বাবুটাকে জড়িয়ে ধরে বার বার আদর করেছি আর মনে মনে কল্পনা করেছি তোমাকে আদর করছি ঠিক সেই আগেরমত । প্রতিবছরের মত এবারো আমার সারাদিনটা জুড়ে শুধু তুমিই ছিলে, একটু পর তোমার ছবি দেখেছি আর চোখের কোনায় জমে থাকা জলটা মুছেছি। আমার চারপাশের সবাই খুব রাগ করে জানো বলে আমি কারো জন্মদিনটা কেন মনে রাখতে পারিনা , অথচ কি আশ্চর্য আমি না চাইতেও অগাস্টের ঠিক শেষদিনগুলো থেকে আমার মাথার ভিতর টেপ রেকর্ডারের মত বাজতে থাকে নেক্সট ছয় তারিখ সীফাত ময়নার জন্মদিন, ছয় তারিখে বাবুন ময়নার জন্মদিন। চাইলেও ভুলতে পারিনা।

বাবুন ময়না তোমাকে যে আমি কি ভীষণ মিস করি তা তুমি জানোনা। হঠাৎ হঠাৎ আমার মনে হয় দরজার বাইরে থেকে তুমি যেন মাম মাম বলে ডাকছো, মনের ভুলে ছুটে যাই দরজার কাছে- তারপর মনে আসে ও এখানে কেমন করে আসবে, এটাতো ইম্পসিবল। মাঝে মাঝে রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে মনে হয় এখনো বুঝি আমার হাতের মুঠোয় তোমার ছোট ছোট আঙুলের ছোয়া পাচ্ছি। এখনো খেতে বসলে কারো মুখে ভাত তুলে দেয়ার জন্য এদিক ওদিক তাকিয়ে খুজতে থাকি। বাইরে থেকে ঘরে ঢুকার সময় মনে হয় এই বুঝি তুমি দৌড়ে এসে বলবে মাম তুমি আতছ? আমি তথা বলবে না লাগ কত্থি। কিন্তু নাহ কোথাও তুমি নেই সব কিছুই ভীষণ নীরব এখন।

Happy Belated Birthday Babun Moyna.... অনেক অনেক ভালবাসি তোমাকে আমার ছোট্ট পাখি, যেখানেই থাকো সবসময় ভাল থেকো। আর অনেক বড় হও, মানুষের মত মানুষ হয়ে এই দোয়াই করি।

তোমার
"মাম"

আমার জীবনে তুমি যখন এলে, সবকিছুই দু হাত ভরে নিয়ে এসেছিলে-ভালবাসা, সুখ আনন্দ স্বপ্ন আশা সবি- শুধু বুঝি কষ্টটা আনতে ভুলে গিয়েছিলে। আমার জীবনটা তুমি ভরিয়ে দিয়েছিলে তুমি রংধনুর সাত রঙে। পূর্ণ করে দিয়েছিলে আমার জীবন, এরবেশী চাওয়ার কিছুই ছিল না আমার। তাই বুঝি তোমার মাঝের শুন্যতাটুকু আমি কখনোই বুঝতে পারিনি!

দিনরাত তোমার পাশে থেকে যে পূর্ণতার আলোতে আমার জীবন ভরে উঠছিল, ঠিক তার বিপরীত শুন্যতায় অন্ধকার হচ্ছিল তোমার জীবন। আমার সুখ নিয়ে আমি এতই ব্যাস্ত ছিলাম যে কখনো দেখতে পাইনি তোমার দুচোখের শূন্যতা অন্ধ এই আমি ।

মাঝে মাঝেই তুমি চুপচাপ তাকিয়ে থাকতে দূরের ওই তারাগুলোর দিকে, আমি পাশে গিয়ে দাড়ালেই সোনামাখা আলোয় যেন ঝিকমিক করে উঠতে তুমি- তোমার খুশীর বৃষ্টি ভরা চোখদুটো দেখে আমারো রাতের পৃথিবীটা হঠাৎ করেই ভোরের শুভ্রতায় পবিত্র হয়ে উঠতো। তুমি পাশে আছো জেনেই আমি আমার ব্যাস্ততায় ডুবে থাকার শক্তি পেতাম। অথচ আজ যখন তুমি আমার পাশে নেই আমি এই ব্যাস্ততায়ও ডুবতে পারছিনা। যাওয়ার আগে তোমার অভিমান ভরা বড় বড় সেই দুচোখ যেন তীর হয়ে আমার হৃদয়ে বিধে আছে। যেখানেই যাই পিছু পিছু যেন তাড়া করে- আমার সবকিছু নিয়ে গেছো তুমি তোমার সেই অভিমান ভরা চোখের জলে। এখন আর কোথাও নেই তোমার ছায়া শুধু আমার কস্টে তুমি...

সীমাহীন সেই শূন্যতাকে আমার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে দিয়ে চলে গেছো তুমি অন্যকোন আলোর জগতের মানুষ হয়ে আমার ছোয়ার বাইরে। এখন হাত বাড়ালেও তোমাকে ছুতে পারিনা আমি তারপরও কেন তুমি আছো আমার সবটা জুড়ে, আমার স্বপ্ন জুড়ে আমার সব কষ্টগুলো জুড়ে। 

To Love Myself...but how ? 
how do i discover good sides of myself?
I only know my ugly side, and that's why i hate myself... 
That's not it,that's isn't it..
I get to love myself for the first time, when someone else tells me I love you..
By being accepted and being liked by someone, finally i get to forgive myself a little..
I get to like myself a little..
That's how i feel...

অতি প্রাকৃতঃ

কিছু কিছু অতিপ্রাকৃত অভিজ্ঞতা হয়তো আমাদের সবারি আছে । আমি যখন দেশে গেলাম তখন নানা কাহিনী শুনেছি, কে জানে আসলেই কতটুকু সত্যি আর মিথ্যে। বাসার পাশে একটা তুলা গাছ ছিল অনেকেই নাকি সেই তুলা গাছে সাদা কাপড় পরা কোন মেয়েকে বসে থাকতে দেখেছে। শুধু তাই না আমাদের বাসায়ও নাকি ভুত দেখা যেত। ভাড়া থাকতেন যারা তারা মাঝেমাঝেই কম্প্লেইন করতেন ভুতের ব্যাপারে। ভুত নাকি ছাদে উঠে নাচানাচি করে  আমি অবশ্য অনেক রাত পর্যন্ত একা ছাদে বসে থাকতাম, কিন্তু ছাদে কখনো কিছু দেখিনি ।

আমার ভুতের অভিজ্ঞতা বলতে আমি যখন রাতে ঘরে একা ঘুমাচ্ছিলাম হঠাৎ করেই মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়, ভাঙার পর আমি পানি খেতে উঠলাম রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছি, বাইরে থেকে শুনতে পাচ্ছি ভিতরে কেউ আম্মুর সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করছে। অথচ আমার আম্মু তখন কুয়েতে, পুরো বাসায় একদম কেউ নেই, আম্মুর রুমের দরজা তালাবন্ধ। ভয়ে দৌড় দিয়ে রুমে চলে আসলাম, এসে দুইচোখ টাইট করে বন্ধ করে শুয়ে আছি- কি মনে হতেই একটু খুললাম সাথে সাথে মনে হলো রুমের দরজায় দোয়াটে লম্বা ঝুল জুব্বা পরা দাঁড়িয়ে আছে। ভীষণ ভয় পেয়েছিলাম তখন। এরপর থেকে পানির বোতল খাটের পাশেই থাকে আমি যেখানেই থাকিনা কেন।
আরেকবার ঘুম ভাঙার পর মনে হলো আমার রুমের মেঝেতে অনেক লম্বা কেউ নামাজ পড়ছে। ভয়ে কম্বল দিয়ে মুখ ঢেকে সারারাত শুয়ে ছিলাম।

একবার আপু ছুটিতে বেড়াতে আসলেন দুবোন কি নিয়ে যেন ঝগড়া করলাম- তারপর আমি ঘুমাচ্ছি ফ্লোরে রাগ করে আর আপু সোফায় শুয়ে আছেন একটু পর আপু এসে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বললেন আমি নাকি খেজুর গাছেরপাতার কান্ড দিয়ে উনার গায়ে গুতা দিয়েছি আমি ঘুম অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি, খেজুর গাছের পাতার কান্ড কোথায় পাবো তাও বুঝলাম না। আপু বললেন আপু ঠিকি ফিল করতে পেরেছেন খসখসে পাতার কান্ড দিয়ে খোচা দেয়াআমার কাজ ছিল, বাসায় আর কেউ নাই সো আর কেউ করার প্রশ্নই আসেনা  অথচ আমি বেচারী ঘুম থেকেই জাগিনাই 

আরেকটা কাহিনী শুনেছিলাম মাস্টার দাদার কাছ থেকে- দাদা নাকি একরাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর দেখতে পেলেন কেউ একজন রুমে হাটাহাটি করছে। ইংরেজ মহিলাদের মত হাই হিল পর ঠুকঠুক করে হাটা। দাদা তাই ইংলিশে জিজ্ঞেস করলেন কয়েকবার হু আর ইউ,হু আর ইউ? কিন্তু কোন জবাব আসেনা তাই দাদা ভয় পেয়ে দোয়া দরুদ যখন পড়ছিলেন তখন দেখেন যে অদৃশ্য হয়ে গেছে। দাদা যে রুমটাতে থাকতেন তার পাশের রুমের জানালা আমরা প্রতিরাতে বন্ধ করে ঘুমালেও সকালে উঠে দেখতাম ঠিকি খোলা। কতযে আলোচনা করতাম সেই সময়টায় সবাই মিলে এসব নিয়ে।

মেয়েদের হোস্টেলে জীন থাকার কথা প্রায় শুনতাম, কি জানি আসলেই থাকতো কিনা তবে মনে হয় এসব শুনার কারণেই জীবনের প্রথম হোস্টেলে রাতে ঘুম ভাঙলে আমি আমার পাশে কেউ দাঁড়িয়ে আছে এমন ফিল করতাম। একরাতেতো মনে হয়েছে কিছু দেখেছি, ভয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার অবস্থা। সকালে উঠে যখন রুমমেটদের বলার পর শুনলাম ওরাও নাকি এমন দেখে। কিন্তু এরপরের আর কোন হোস্টেলে আমার এমন ফিল হয়নি ।

জীনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের বিল্ডিংয়ের চার পাশে বেশকয়েকবার বোতল গেড়ে দেয়া হয়েছিল। আমার এখনো কানে ভেসে আসে বিল্ডিং এর চার কর্নার থেকে আজান দিচ্ছে বোতল গেড়ে দেয়ার সময় আমরা সবাই ঘরে বসে দোয়া দরুদ পড়ছি। সেই সময়টায় কিছু খাওয়াটা নিষিদ্ধ ছিল, শেষ হওয়া পরযন্ত অপেক্ষা করতে হতো কিছু খেতে হলে। তবে খুব অবাক ব্যাপার হলো বোতল গেড়ে দেয়ার পর এসব ব্যাপার অনেক শান্ত হয়ে যেত, এটাকি আসলে বোতলের কারনে না ব্যাপারটা পুরোটাই আমাদের মাইন্ডের খেলা ছিল আজো বুঝতে পারিনা।

আজ ও চলে গেলো আমার না শুনে , ভীষণ খারাপ লাগছে - তবে খারাপ লাগার মাঝে একটু হাফ ছেড়ে বাচার স্বস্তিও আছে । কেন যেন হাফ ছেড়ে মনে মনে বলেছি যাক ও আর কষ্ট পাবেনা আমাকে ভেবে । আমার কস্ট হবে আমি জানি - একটু না হয়তো অনেকখানিই কষ্ট হবে । নাহ আসলে খুব কষ্ট হবে জানি , তারপর আবার সহ্য হয়ে যাবে তাও জানি । আমিতো কষ্ট পেয়ে অভ্যস্ত । তাই আমি ভাল থাকবো , চোখের জল লুকিয়ে ভাল থাকবো সবার সাথে আর দোয়া করবো ও ভাল থাকুক ।


বিদায় আমার কিছুক্ষনের প্রেম ।

ভালবাসা তুই তোর মত থাক
-
ভালবাসা তুই তোর মত থাক
ঘাসফুলদের চোখে
ভালবাসা তুই তোর মত থাক
নিস্তব্ধ নদীর বাকে

ভালবাসা তুই তোর মত থাক
নীল সাগরের জলে
ভালবাসা তুই তোর মত থাক
পাখিদের কোলাহলে

ভালবাসা তুই তোর মত আঁক
স্বপ্ন কারো চোখে
ভালবাসা তুই তোর মত থাক
আদরে আদরে মেখে

ভালবাসা তুই তোর মত থাক
অন্য কারো ভুলে
ভালবাসা তুই তোর মত থাক
নীল সাগরের জলে ...

ভালবাসা তুই চাঁদ হয়ে থাক
অচেনা কারো মনে
ভালবাসা তুই আলো হয়ে থাকিস
ঘরের কোন কোণে

ভালবাসা তুই থাক পালিয়ে
আমার থেকে দূরে
ভালবাসা তুই শেষ হয়ে যাস
অশ্রু হয়ে ঝরে    ...

কাউকে ভালবাসতে যে সাহস লাগে সে সাহস আমার নেই :-(