Friday, February 21, 2014

ওকে আমার অনেক কিছুই আর কখনো হবে না বলা...
ওকে আমার কখনো বলা হয়নি একদিন ওর সাথে কথা না হলে আমার মনে হত আমি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মরে যাবো...
ওকে আমার বলা হয়নি অল্পক্ষণ ওকে ছাড়া থাকলেই আমার আমার পৃথিবীটা অসহ্য কষ্টে নীল হয়ে যেত, ওকে আমার কখনো হয়নি বলা ওর মন খারাপ দেখলেই আমার মরে যেতে ইচ্ছে করতো...
ওকে আমার কখনো বলা হয়নি প্রচন্ড অভিমান নিয়ে প্রতি মুহূর্ত ওর জন্য অপেক্ষা করার কথা ...
ওকে নিয়ে আমার ছোট ছোট স্বপ্নগুলোর কথাও কখনো বলা হয়নি, ওর সাথে ছোটখাটো খুনসুটি মুহূর্তগুলো আমার কি যে প্রিয় ছিল ওকে আমার কখনো বলা হয়নি ...
বলার আগেই সব শেষ ... আমাদের একসাথে থাকার সময়গুলো খুব তাড়াতাড়ি শেষ ...
বলতে না পারার কষ্টগুলো হয়তো সারাজীবন থাকবে ...
চোখের জলগুলো হয়তো সব মুহূর্ত জুড়েই থাকবে ...

তারপর ও কেন যেন মনে হয় আমার এই ধুসর পৃথিবীতে ওকে ঢুকতে না দেয়াটাই ঠিক ছিল...
আমি ভুল করিনি কোথাও ...
অন্ধকার বিষের জগতটা ওর কাছ থেকে লুকিয়ে আমি ঠিকই করেছিলাম... 

Thursday, February 20, 2014

কতদিবস আসে যায় কিন্তু আমার কাছে সব দিনই একি রঙহীন ধুসর মনে হয় ...
দিনগুলো বদলায় না , স্বপ্নগুলো সত্যি হয় না ।
ধ্বস যখন নামে চারদিক থেকেই নামে হয়তো ...
অন্ধকারের পর শুধু অন্ধকারই আসতে থাকে ... আলোর দেখা পাওয়া যায় না ...
মাঝখান থেকে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেটাই খুব গাঢ় হয়ে উঠে ...
মনের ভিতর ভাঙ্গন ধরেছে আমার সেই ভাঙ্গনের সুর পুরো শরীর জুড়ে বাজছে...
ভাঙছি আমি এই সত্যিও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে  আমার ...


Sunday, February 16, 2014

মাঝরাতে হঠাৎ হঠাৎ কখনো ওকে ভীষণ মিস করি, বুকের ভিতর উথাল পাতাল ঝড় । 
পৃথিবী ঠিকই থাকে শুধু আমার ভুবনটা ভিজে যায় অঝর বৃষ্টিতে ... 
সব ভুলে ছুটে আসি ওকে খুজতে । 
কোথাও মনের কোন কোণে এখনো হয়তো ছোট্ট একটু আশা থেকে গেছে , হয়তো... হয়তো... সেও ভাবছে আমায় । আমার মতই তীব্রভাবে অনুভব করছে শূন্যতা । অস্থির হয়ে দুহাত বাড়িয়ে খুজছে কোথাও আমায় ...
কিন্তু না...
ওর হাত ধরার যে অনেক হাসি এখনো ওর চারপাশে আছে ... এত আলোর মাঝে অন্ধকার আমি ওর ভুবনে অদৃশ্য ... আমার হাহাকারগুলো বেচে থাকে আমার মাঝে, একটু একটু করে বাড়ে লতানো গাছের মত জড়িয়ে আমার চারপাশটা... 
তারপরও আমি আবার ভালবাসার মিথ্যে জগত সাজাই ... আবারো ওর ছোয়া হাতড়ে বেড়াই ভীষণ যত্নে লুকিয়ে রাখা অন্য কোন ভুবনে ...
বেচে থাকি হঠাৎ হঠাৎ অকারণ ছোট্ট হাসিগুলোর জন্য । বেচে থাকি সব ভুলে খানিক সময় জলের মাঝে দাপাদাপি করার জন্য ... বেচে থাকি পথে পাশে অবহেলায় পড়ে থাকা ছোট্ট ঘাসফুল দেখে মুগ্ধ হওয়ার জন্য । বেচে থাকি খুব কষ্টেও আশার আলো এখনো আছে ভাবার জন্য ... বেচে থাকি কারো শুভ্র হাত ধরে শুদ্ধ হওয়ার জন্য ... বেচে থাকি অঝর বৃষ্টিতে প্রান খুলে কাদার জন্য....বেচে থাকি কান্নার পরের একমুঠো শান্তি অনুভব করার জন্য ... বেচে থাকি অপরিচিত কারো হাসিমুখ দেখে মাথা ব্যাথা ভুলে যাওয়ার জন্য...
বেচে থাকি একবার ওর হাতদুটো ছুঁয়ে দেখার জন্য ... 

বেচে থাকার এত কারণ থেকেও মরে যেতে হয় কেন !
তীব্র আবেগে লিখা ভালবাসার চিঠিগুলো কখনোই প্রাপকের কাছে পাঠানো হয় না ... ভালবাসার চিঠিগুলোয় পুরোটা জুড়েই থাকে ভালবাসার মানুষটিকে কাছে পাওয়ার হাহাকার, তাই হয়তো ভালবাসার নীল চিঠি নামেই পরিচিত এই অদ্ভুত কষ্ট মাখানো মায়ার পত্রগুলো ।
অথচ চিঠিতে থাকা  বিষাদের করুন হাহাকার লিখক ছাড়া আর কেউ অনুভব করতে পারেনা ।  

কোন এক নক্ষত্রের রাতে মানবী এসেছিল আমার কাছে ... শুভ্র সেই মানবী উপড়ে ফেলে দিয়েছে আমার ভিতরের সমস্ত পাপ ... পরম মমতায় শুদ্ধ করেছিল আমার আত্মা ... 
মানবী নেই, চলে গেছে ... কিন্তু তাতে কি! প্রতি নক্ষত্রের রাতে মানবী ফিরে আসে সেই মুহূর্ত হয়ে ... ভীষণ ভালবাসায় মুছতে থাকে আমার সব পাপ ... ছায়া হয়ে উপচে ফেলে সব পাপের ছোয়া আমার ভিতর থেকে...
আমি দাড়িয়ে থাকি নশ্চুপ নিস্তব্ধ হয়ে , থাকে মানবীর চোখের বিন্দু বিন্দু জল ... সে জলে মানবী পবিত্র করে আমার সমস্ত স্বত্বা ... আমি হারিয়ে থাকি , মানবীর গভীর ভালবাসা ভরা চোখের মায়ায় ... 
আবারো ফিরে আসে মানবী , অপেক্ষার সব প্রহর পুরিয়ে , আবার সেই নক্ষত্রের রাতে ... সেই নক্ষত্রের মুহূর্তটায় ...
সাদা মেঘের দেশটার প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণটা আমার হয়তো কখনোই কমবেনা, দেশটা যে একান্তই আমার । আমার মত করেই দেশটা বদলাতে থাকে বেলা অবেলায় । কখনো ওখানে ঝরে পড়ে মুক্তো দানার মত সাদা তুষারের বৃষ্টি আবার পাগ্লাটে ঝড়ো হাওয়া এসে এলোমেলো করে দেয় গুছিয়ে রাখা সব সাজ । অথচ ঝড়ের পরের এই এলোমেলো রূপটাও যে আমার ভীষণ ভাললাগে ! 

ওখানে শিশিরের বিন্দুরা হঠাৎ হঠাৎই জড়ো হয়, জড়ো হয়ে ফিসফিস করে গল্প করে –প্রাচীন সব ভাললাগার গল্প । আবার কখনো খিলখিল করে হেসে উঠে লাল নীল বেগুনী ছোট্ট ঘাসফুলদের দল । মেঘের ভেলায় ভেসে নদীর উপর আড্ডা বসায় শুভ্র ডানার দেবশিশুদের দল। সেই কোলাহলের আনন্দে হালকা গোলাপী আকাশটা মিষ্টি মিষ্টি হেসে বিলায় ভালবাসার আলো...

প্রায় বিকেলেই আমি তোমার হাত ধরে ঘুরতে যাই অপূর্ব সেই দেশটা, চাঁদের নৌকায় তোমার সাথে ভেসে বেড়াই অদ্ভুত সুন্দর সব মুহূর্তের মাঝে। তোমার হাত ধরে ক্লান্তিহীন আমি হেটে যাই দূর থেকে অনেক দূরে...
সবার জীবনেই আলাদা আলাদা সূর্য থাকে । পৃথিবী যেমন চক্রাকারে সূর্যের চারপাশে ঘুরে - আমরাও তেমনি চক্রাকারে আমাদের সূর্যের চারপাশে ঘুরি । আমার সূর্যটা ক্ষনে ক্ষনে রঙ বদলায় । বুঝতে পারিনা আমি < সবকিছুই কেন যেন ভালবাসার সবুজ অথবা লাল রঙটার সাথে কানেক্টেড >

ভালবাসার অনেকগুলো প্ৃষ্ঠা আছে , কিছু পৃষ্ঠায় হাসি কিছু পৃষ্ঠায় কান্না । জীবন নামের বিশাল বইয়ে ভালবাসা দুই ভাগের একভাগ জায়গা জুড়েই থাকে , বাকীটা অন্য সব অনুভুতি । ভালবাসার সব মুহূর্ত যে আনন্দের তা না অনেক বেশী মুহূর্ত কষ্টের তারপরও ভালবাসতেই ভাল লাগে । ভালবাসাটা হয়তো আমি এখনো বুঝিনা তারপরও আমার প্রায় মনে হয় ওর সাথে হাসতে পারা , ছোট্ট দুষ্টামি করতে পারা । অথবা ওর মায়ার মিশেল কথাগুলো শুনাই হয়তো ভালবাসা । 

Thursday, February 13, 2014

আমি ভালবাসা বুঝিনা এই কথা প্রায় শুনি, কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় ভালবাসা না বুঝাই ভাল। বুঝলে হয়ত আমার কাছে ভালবাসা এতোটা নির্মল থাকতো না ।


প্রচন্ড মাথা ব্যাথার সময় কেন যেন আমার ঘুমাতে ইচ্ছে করেনা :O
ঘোরের মাঝে থাকি সেই জগতটাও ভাল লাগে , মাথা ব্যাথায় কষ্ট পাই তাও কষ্ট করে জেগে থাকি ।
পাগল হয়ে যাচ্ছি :( 

Tuesday, February 11, 2014

আমার নিজের একটা বৃত্ত আছে ...
কে জানে সব মানুষেরই হয়তো থাকে , সেই বৃত্তের চারপাশে কিছু সীমারেখা টানা আছে  ।
সেই সীমা পেরিয়ে আমার কাউকে ভিতরে আসতে দিতে ইচ্ছে করে না।
এক্সেপশান হচ্ছে আমার আপু আর ছোট ভাইটা ।
এরা আমার বৃত্ত ভেঙ্গে ভিতরে চলে এলেও আমার খারাপ লাগে না কিন্তু এর বাইরে কেউ সেই সীমায় হাতে দিলেও আমার রাগ হয় ।
কেউ একজন আমাকে আম্মাজান ডাকছে, পাগলের মত ভালবাসছে ।
কি জানি ইদানিং মনে হয় ওকেও আমি বৃত্তের মাঝে ঢুকতে দিতে মাইন্ড করবো না ।
ওর ভালবাসাগুলো আমার এখন ভাল লাগে ।
আমার একটাই ছেলে♥

ভালবাসা হয়তো সবকিছু চেঞ্জ করে ফেলে , আমি পাথরকেও ও ধীরে ধীরে কাদামটি করে দিচ্ছে আমি খুব বুঝতে পারি নিজের ভিতরের পরিবর্তনটা । ওকে আমার এখন নিজের ফেমেলীর কাছাকাছি কেউ মনে হয় ।
আমার পিচ্চি বাজান♥
ভালবাসার লাল সুতোয় ঘুনে ধরেছে । কুটকুট করে কাটছে পোকায় সম্পর্কের সব বেড়াজাল ।

বদলে যাচ্ছি আমি, আবারো বদলাবো আমি ...
ফিরে যাবো নিজের আগের রুটিনে ...
আবার আগের মতই সবকিছু হেসে উড়িয়ে দিবো আমি...

আমি যে মুক্ত পাখি, কেমন করে ভুলে গিয়েছিলাম !
বাধা পড়ার নেশায় ওর দিকে পাগলের মত ছুটেছি , সব মিথ্যে লাগছে এখন ।
ভুলে গিয়েছিলাম আমি শুধু শিকল কাটতেই জানি, কাউকে শিকলে আটকাতে না ।
এখন সব ঠিক হয়ে আসবে , ফিরবো আমি আবার আমাতে...

Monday, February 10, 2014

they says girls who falls in love becomes cuter ..

Cuter My Foot >_<
কিউট না কচু হচ্ছি :/ ছাগলের মাথা একটা -_- 
I probably can only ever love you......
ভালবাসা আর কষ্ট দুটোই হয়তো একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ ...
কোনটা কষ্ট আর কোনটা ভালবাসা বুঝার বোধটাও হয়তো এতদিনে আমার চলে গেছে ।
বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেছে ...
যখন বুঝতে পারলাম তখন নিজেই মোমের পুতুলের মত ওর সংকেতে নাচছি ...
ইচ্ছেটাই অথবা নিজের আলাদা কোন স্বত্বা সব হারিয়ে শূন্য আমি এখন আমার অনুভূতিগুলো ছুড়ে ফেলে ওর অনুভুতিতেই বাঁচছি /
ওর জন্যই অনুভূতিগুলো জ্যান্ত হয়ে উঠে আবার ওর কথাতেই বরফ ...
আমার মাঝের সব অন্ধকার এখন ওর হাতেই বন্দী ...
ও চাইলেই আলো ছড়ায় ...
চাইলেই ডুবিয়ে দেয় অন্ধকারে ...  

Sunday, February 9, 2014

প্রচন্ড হতাশার সময়গুলো বাইরের আবহাওয়াটা পর্যন্ত ভীষণ ভারী লাগে ...
কষ্টের সময়গুলো এত কঠিন কেন !
বারবার ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আমার কাছ থেকে , ভাবছি এবার আমার পালা কিনা !
হারানোর সময়টা কি আমার চলে এসেছে ?

অনুভুতিগুলো গলা টীপে মেরে ফেলতে পারলে খুবি ভাল হতো , মুল্যহীন কষ্টগুলোও মেশে যেত শুন্যে । 

Saturday, February 8, 2014

আত্মহত্যার বিচ্ছিরি ইচ্ছেটা মাঝে মাঝে আমার ভিতর এত প্রকট হয়ে উঠে যে বাকী সব আমার অসহ্য লাগে ... মানুষ কেন বেচে থাকে !
পৃথিবী সত্যি এই মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে গেলে কি খুব বেশী খারাপ হতো !
অস্থির লাগছে সব কিছু ... 

Friday, February 7, 2014

প্রজাপতি ভালবাসা

সাতসকালে উঠে টুথ পেস্টের টিউব নিয়ে গুতাগুতি করতে কার ভাল লাগে ! ভাল না লাগলেও সপ্তাহখানেক ধরে তমাল সেটাই করছে, প্রতিদিনই ভাবে দোকান থেকে ফিরতে নতুন পেস্ট নিয়ে আসবে, কিন্তু ভাবনা পর্যন্তই, ঘরে ফেরার আগে ব্যাপারটা ওর কখনো মনে পড়েনা  । নানা কসরতে খানিকটা পেস্ট বের করে ব্রাশ শেষে বিরক্ত মেজাজে দোকানের দিকে পা বাড়ায় সে।

সাধের ঘুমটা বাদ দিয়ে সকাল সকাল দোকানে বসে থাকা পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য কাজগুলির একটা এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই ওর , এই সাতসকালে কোন কাস্টমারও আসেনা, কিন্তু বাবার ধারণা ভোরে ভোরে দোকান না খুললে দোকানের বরকত কমে যায় । বিরক্ত মুখে দোকান খুলতে খুলতে মেয়েটাকে চোখে পড়ল ওর । মুখ নিচু করে দোকানের পাশে দাড়িয়ে, গায়ে লম্বা চাদর জড়ানো, এত মগ্ন হয়ে কিছু ভাবছে যে তমালের আগমনও টের পায়নি। মেয়েটার মুখও দেখা যাচ্ছে না ভালভাবে , মেজাজ সামলে তমাল ভদ্রভাবেই জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করে - কিছু লাগবে আপনার আপু ?

চমকে উঠে মেয়েটা মুখ তুলে তাকালো । তমালের পৃথিবীটা হয়তো সেই মুহূর্তেই বদলে গিয়েছিল। মেয়েটার চোখ দুটো ফোলা ফোলা , সারারাত কেদেছে বোধহয়  । কান্নার জল খানিকটা এখনো জমে আছে চোখে , মনে হচ্ছে টোকা দিলেই শিশির বিন্দুর মত গড়িয়ে পড়বে অশ্রুকণা । মেয়েটার চেহারা আহামরি কিছু না তবে এই মুহূর্তে তমালের মনে হচ্ছে মেয়েটার চোখের চেয়ে সুন্দর বোধহয় পৃথিবীতে আর কিছু নেই ।

জি একটা পেন্সিল কাটার আর দশটাকার মিঃম্যাঙ্গো দিন । আবারো চমকালো তমাল, চোখের মতই মেয়েটার কন্ঠটাও ভীষণ মিষ্টি । জিনিসগুলো তুলেই আগের মত মাথা নিচু করে বেরিয়ে যায় মেয়েটা, দুদিন পর আবার এলো সেই চাদরের ঝুল টানতে টানতে , তারপর থেকে প্রায় আসা হতো মেয়েটার নানা ছোটখাটো দরকারে। পাশের ছাত্রী হোস্টেলটাতেই উঠেছে জিনাত ।  হুম জিনাত ওর নাম, চিটাগাং কলেজে ইতিহাসে ভর্তি হয়েছে ও । এতদিনে তমালের সাথে মোটামোটি পরিচয় হয়ে গেছে জিনাতের, প্রতিবারই কিছু কিনলে মিষ্টি হেসে থ্যাঙ্কিউ বলে ও । তমালের মনটা খুশীতে ভরে যায় ।

দোকান খোলার বিরক্তিকর কাজটাও এখন আর বিরক্তির মনে হয়না তমালের, বরং জিনাতের অপেক্ষায় থাকতে ভালই লাগে তার কাছে । বিকম পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয়ে গেছে , বাবা এবার তাড়া দিচ্ছেন দোকান বাদ দিয়ে এমবিএ তে তাড়াতাড়ি ভর্তি হতে । কিন্তু দোকানে না এলেতো জিনাতের সাথে যোগাযোগ থাকবেনা আর, গড়িমসি করে ভর্তির সময় দেরি করতে লাগল তমাল। শেষমেশ বাবা বাধ্য হয়ে নিজে গিয়েই ভর্তি করালেন ওকে ।

জিনাতের সাথে আর দেখা হবে না ভাবতেই অসহ্য লাগছে সব, সামনেই ভালবাসা দিবস"সেদিন জিনাতকে ভালবাসি বলবোই" মনে মনে ভেবে নেয় তমাল । কিন্তু ভালবাসি বলার সাহসটা আর হয়ে উঠে না ওর , শেষমেশ নিজের অনুভূতিগুলো চিঠিতে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ও । যেই ভাবা সেই কাজ ১৪ ফেব্রুয়ারীর দিন হোস্টেলের দারোয়ানকে কিছু টাক দিয়ে জিনাতকে চিঠি দিয়ে আসতে রাজী করিয়ে ফেলে তমাল । তারপর পাঠিয়ে দেয় ওর বুকের জমা করা সব আবেগ দিয়ে লিখা ভালবাসার প্রথম নীল চিঠি ।


তারপর শুরু অপেক্ষার পালা, কিন্তু জবাব আসে না । দারোয়ান চাচা হলফ করে বলেছেন চিঠিটা উনি নিজেই জিনাতের হাতে দিয়েছেন । অস্থিরতায় পাগল হওয়ার অবস্থা ওর । আজ দুদিন পার হয়ে গেল, জিনাতের পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র সাড়াশব্দ নেই । তারপর দিন বিকেলে ডিসি হিলের পাশের নার্সারিটায় হঠাৎ দেখা হয়ে গেল জিনাতের সাথে, আগের মতই মিষ্টি হেসে ও কেমন আছে জানতে চায় জিনাত। সম্ভাষণ শেষ হতেই আচ্ছা এবার আসি বলে  পা বাড়াতেই তমাল মরিয়া হয়ে  জিজ্ঞেস করে - আমার চিঠিটা ? থমকে দাড়িয়ে জিনাত মাথা নিচু করে বলে আমি পাঠিয়ে দিবো ।

হতভম্ব তমাল কিছু ভাবার আগেই ওর জিনাত চলে যায় । উদ্দেশ্যহীনের মত কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে তমালও বাসায় ফিরে । তারপর আবার দিন কাটতে থাকে, জিনাতের পক্ষ থেকে কোন সাড়াশব্দ নেই । হঠাৎ করেই চারদিনের মাথায় একটা বাচ্চা এসে ওর পাঠানো চিঠিটাই ওর হাতে দিয়ে যায়, জিনাত আপু দিয়েছেন বলে । মুহূর্তে পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে আসে ওর, গলার কাছে পাকিয়ে থাকা কান্নাগুলো গিলে নিয়ে চিঠিটা ডাস্টবিনে ফেলতে গিয়েও কি মনে করে খুলে তমাল । অবাক হয়ে দেখে ভিতরে কোন চিঠি নেই । শুধু খামের ত্রিকোন কোণটায় লিখা ঃ- হুম । 

বিশ্বাস হতে চায়না ওর বারবার খাম উলটে পাল্টে দেখে, নিজের মনে পাগলের মত হেসে উঠে তমাল। চোখের জলে ঝাপসা হয়ে উঠা চারপাশটায় শুধু রঙ্গীন প্রজাপতির মেলা । 

সেদিনের পর ১৪বছর পার হয়ে গেছে, পাশেই মেঘাকে জড়িয়ে ধরে এলোমেলো চুলে ঘুমাচ্ছে পাগলীটা । সেই চিঠি আর খাম দুটোয় অতি যত্নে তোলা আছে আলমারির ছোট্ট গোপন বক্সটায় । সেদিকে পা বাড়ায় তমাল। মৃদু হেসে হাজার বার পড়া চিঠিটা আবার পড়ে ফিরে আসে রুমে ও। জিনাতের গালে হাত ছোয়াতেই ও ঘুম ঘুম চোখ মেলে প্রশ্ন করে- কোথায় গিয়েছিলে তুমি ? জানোনা ঘুম ভেঙ্গে তোমাকে সাথে সাথে দেখতে না পেলে অস্থির লাগে আমার ! মুচকি হেসে- এইতো আমি পাশেই আছি পরী বলে জিনাতের কপালে চুমু খায় তমাল । 

এই গল্পের কোন শেষ নেই, ওদের ভালবাসাবাসির গল্পটা চলতেই থাকে। ভালবাসার চার বছরের মাথায় নীল খামে - Will you Marry me লিখা ছোট্ট একটি চিরকুট পাঠায় জিনাত ।সাথে দুটো আংটি । সেই থেকে শুরু দুজনের স্বপ্নের সংসার গড়ার গল্প । বাকী সবার মত ওদেরও করতে হয়েছে স্বপ্নছোয়ার যুদ্ধ কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে এখন মেঘাকে নিয়ে দুজনের ভালবাসার ছোট্ট নীড়টা মায়াময় হাসিতে ভরে গেছে ।  

পাঠকের সুবিধার্থে তমালের চিঠিটা তুলে দেয়া হলো -    

প্রিয় জিনাত,

ভালবাসা অথবা তার সংজ্ঞা কোনটাই আমার জানা নেই , তারপরও তোমাকে দেখার পর আমার ছোট্ট একটা সংসার গড়ার স্বপ্নটা দিন দিন সব সত্যের চেয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠছে । তোমার সাথে বারান্দায় দাড়িয়ে দিনের প্রথম চা খাওয়া ... হঠাৎ হঠাৎ তোমাকে নিয়ে অনেক দূরে লং ড্রাইভে যাওয়া । 

তোমার সব ছোট্ট ছোট্ট চাওয়াগুলোর পূর্ণতা শেষে তোমার মিষ্টি হাসিতে আমার ভুবনটা ঝলমল করে উঠা । সবগুলো স্বপ্ন শেষে তোমার মায়াময় চোখে চোখ রেখে ভালবাসি বলা । জ্যোৎস্না রাতের রূপালী আলোয় তোমার পাশে সারারাত বসে থাকা । আবার নক্ষত্রের রাতগুলোয় দুজন একসাথে তারা দেখতে দূরে কোথাও ছুট দেয়া । 

চাইলেই তোমার হাত দুটো ধরতে পারা, তোমার কন্ঠে পরীর মত রিনিঝিনি শব্দে ভালবাসি শুনতে পাওয়া । সবই এখন আমার ছোট্ট জীবনটার বড় বড় অংশ হয়ে গেছে । একবার কি আমার হাত ধরবে তুমি ? হবে শুধু আমার পরী ?

ইতি
তোমার তমাল  


Wednesday, February 5, 2014

২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত পাঁচটা বছর একজন মানুষ পাগলের মত আমাকে ভালবেসেছে , কাছে চেয়েছে । আর আমি বারবার ফিরিয়ে দিয়েছি , মানুষটাকে উনার বাবা মা জোর করে ধরে বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন কিন্তু এরপরও মেবি আমার জন্য আকর্ষণ কোথাও থেকে গেছে ।
আমি যখন বললাম আপনি আমার চেয়ে অনেক সুন্দর ভাল কাউকে জীবনসঙ্গীনি হিসেবে পেয়েছেন, তখন খুব হতাশার সাথে বলছিলেন - হ্যা আঙ্গুর ফল টক ।

এই মানুষটা আমার সবকিছু পছন্দ করতো , আমার খুতগুলোও । সব খুতই জানতো এরপরও আমার খুতগুলোকেও ভালবেসেছে ... আমি মোটা হয়ে যাওয়ার পর দাত সব বের করে বলেছেন আমার মোটা মেয়ে বেশী পছন্দ এখন ... শুধু এটা না, আমার সব ছোট ছোট খুত ভালবাসতে শিখেছিলেন ...
আমি না না করতাম আর উনি ছায়ার মত আশেপাশে ঘুরতেন । দেশ থেকে ফিরবো যখন উনাকে আমি আমার ফেরার সময়টা বলিনি , শুধু তারিখ জানতেন উনি প্রচন্ড শীতের মাঝে সারারাত এয়ারপোর্টে দাড়িয়ে ছিলেন । আমার ফ্লাইট ছিল শেষরাতে , এয়ারপোর্টে গিয়ে হতভম্ব হয়ে দেখি শীতের মাঝে দাড়িয়ে দাড়িয়ে কাপছেন । তাও এয়ারপোর্টের বাইরে, গাড়ী খেয়াল রাখছিলেন। আমার সাথে শেষবার দেখা করার জন্য ।

কিন্তু এই মানুষটার জন্যও আমার বিন্দুমাত্র সহানুভুতি কখনো হয়নি, কতটা কষ্ট নিয়ে পাঁচ পাঁচটা বছর আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন খুব নিষ্ঠুরের মত অবহেলা করেছি আমি :( গতকাল প্রথমবারের মত যখন অনুভব করলাম , প্রথমবারের জন্য উনার জন্য চোখে জল এসেছিল । ও আমার জন্য তিনমাস কষ্ট পেয়ে আমাকে ছেড়ে দিতে চলেছে আর এই মানুষটা বার বার ফিরিয়ে দেয়ার পরও সরতে পারেননি । যে কষ্ট ও তিনমাস সহ্য করতে পারেনি সেই কষ্ট উনি পাঁচটা বছর কেমন করে সহ্য করেছেন !
সত্যি ভীষণ খারাপ লাগছে মানুষটার জন্য , কোনভাবে সম্ভব হলে উনার ক্ষত আমি মুছে দিতাম ।

এখন শুধু মন থেকে প্রার্থনাই করতে পারি, আল্লাহ্‌ উনাকে এর পরে আর কখনো কোন কষ্ট না দিন । উনাকে উনার বউটাকে আল্লাহ্‌ অনেক অনেক সুখে শান্তিতে রাখুন , কোন কষ্ট যেন কখনো না ছুঁতে পারে ।
শুদ্ধ শুভ্র ভালবাসা ঘিরে রাখুক উনার জীবন ।  
আমি জানি উনার বউটা অসম্ভব ভাল, সারাজীবন এমন ভাল থাকুক । উনাকে প্রচন্ড ভালবাসায় আঁকড়ে রাখুক এই কামনাই থাকল ।

সবকিছু জীবনে শিক্ষা হিসেবে আসে, গতকালটাও আমার জন্য তাই ছিল । আমি ভালবাসে এমন কাউকে আর অবহেলা করবোনা । অন্যের অনুভুতি বুঝা খুব কঠিন , নিজে না অনুভব করলে বুঝা সম্ভব হয় না :( 
ও ফিরে এসেছে , খুব জানতে ইচ্ছে করছিল এরকম নিষ্ঠুরের মত কেমন করে পারল ও ! এতটা সময় আমার সাথে একদম কথা না বলে কেমন করে থাকতে পেরেছে ? কিন্তু না । নিজের সত্যি অনুভুতিগুলো ওকে আর না দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি । 
কিছুই বল্বোনা । চোখে জল নিয়ে ওর আসা যাওয়া দেখবো , দেখি আমার অনুভূতিগুলো আমার মাঝে কতদিন বেচে থাকে । 
গতকাল আমার বারবার মনে হয়েছে এই কষ্ট নিতে পারবোনা এরচেয়ে মরে যাওয়া ভাল , তারপরও আজ আমি বেচে আছি । 
কে জানে এভাবে হয়তো সব সহ্য করা শিখে নিবো ।
শিখে নিবো ওর অন্য কোন কিউট মেয়েকে ভালবাসার গল্পটাও । তখন সবি মেনে নিতে পারবো আমি । 

Tuesday, February 4, 2014

she never said anything with her words but the promises were written in her eyes ..
the moment she stood silently by my side ..
the moments she holds my hand I can feel her heart saying..
I HERE ..I am with you ...
I knew I fell for him, but i couldn't admit it ..
Admitting my love for him would bring the disaster ..
i couldn't do that ..

Now I am also hoping , to meet someone new ..
To meet  someone special, Who will love me and wait for me ...
who will love me for a very long time .. 
দূঃখের সময় শুরু হলে আর শেষ হতে চায়না ...
দুঃখ চলতেই থাকে অনবরত ...
কষ্টগুলো হানা দেয় যখন তখন ...
চারপাশে এত মানুষ তারপরও তোমাকে ছাড়া আমি ভীষণ একা... 
তারার দেশের রাজপুত্র , তারার মত চোখ ...

He who was never mine , left a souvenir of pain in my heart........
http://24.media.tumblr.com/tumblr_m4vu3jNuxc1rt8ohzo1_500.gif
শীতকাল আর ঠান্ডা পানি দুটোই আমার কাছে ভয়ঙ্কর ভয়ের কিছু , কিন্তু গতরাতে ঘন্টাখানেক বরফ ঠান্ডা পানিতে গোসল করার পর আমার মনে হচ্ছে আসলে ঠান্ডা পানি তত ভয়ঙ্কর কিছু না ।
জীবনটাও হয়তো তেমন , যে মানুষটা আমাকে ছেড়ে গেলে আমি একদম ভেঙ্গে পড়ব ভেবেছি, ও চলে যাওয়ার পরও আমার জীবনটা খুব বেশী ভিন্ন হয়ে যায়নি ... 
আমার এখন নোটিফিকেশান চেক করতে ক্লান্ত লাগে, ইনবক্সের মেসেজ খুলতে ক্লান্ত লাগে...
আমি সত্যি ভীষণ টায়ার্ড সব কিছু নিয়ে ...
ঘুমাতে চাই , শান্তির ঘুম অনেক লম্বা সময় ধরে ঘুম, যুগ যুগান্তর শেষ হয়ে যাবে কিন্তু ঘুম শেষ হবে না এমন ঘুম ...
আর পারিনা আর পারিনা আমার ভীষণ ক্লান্ত লাগে ... 

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...