Sunday, March 29, 2015

চৈত্র মাসের জোছনায় আমার ভাল লাগেনা কিছু
বেলী ফুটলে গাছে নেবো তোমার পিছু ...
আকাশ জুড়ে জমেছে মেঘ... বৃষ্টি কেন আসে না ?
যারে আমি ভালবাসি সে কেন বাসে না ... !

ভীষণ সরল দুটো প্রশ্ন , এই প্রশ্নগুলো আমাদের সবার জীবনেই অসংখ্য বার মাথায় এসেছে... কিন্তু এত্তসুন্দর করে প্রকাশ করতে এর আগে কখনো আমি শুনিনি ... এলোমেলো ছন্দ, ভুল কিছু শব্দ দিয়ে গানটা এত আবেগে গেয়েছে, খুব সহজেই হাহাকারটা অনুভব করা যায়, কাছে না পাওয়ার কষ্টটা একটু হলেও ছুঁয়ে যায় এই কণ্ঠে ... মুগ্ধ হয়ে শুনছি গানটা ... আমার বোধের জগত পুরোটাই নাড়িয়ে দিয়েছে এই গান ...

বৃষ্টি কাব্য -ঢাকা মেট্রো ।


জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ,
বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে,
বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মত তুমি..
তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়
তোমার জানালার বাইরে শূন্যে দূরের স্বপ্নঘর,
ঝুলে আছি নির্জনতায়,
মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর?
সবুজ দীঘিতে বড় বড় পদ্ম , জলকন্যার চুলের ছোয়ায় হঠাৎ হঠাৎ গোলাপী আলো ছড়ায় ... জলকন্যা ভীষণ মায়ায় ছুঁয়ে দেয় একটি দুটি কুড়ি, সেই কুড়ি থেকে জন্ম নেয় ভালবাসা ... 
চারপাশে হাজার হাজার পদ্ম ফোটে, কিন্তু বিশাল সেই দীঘিতে একলা জলকন্যা মৃদুসুরে গান গাইতে গাইতে একটি দুটি করে গোলাপ বুনে... হয়তো দেখা পাবে জলকুমারের কোন এক ভালবাসার প্রহরে ...
জলরঙে আকা ছবিগুলো খুব অদ্ভুত হয় ... ছবিতে কষ্টের কোন ছোয়া না থাকলেও কেমন যেন জলরং কথাটা শুনতেই চোখভর্তি জলের কোন মায়াবতীর কথা মনে পড়ে ... সেই জলে মেশানো থাকে গাঢ় ভালবাসা ... 
নিজের জীবনের সাদা ক্যানভাসটায়, আমিই জলরঙ আমিই অকারণে কেঁদে ফেলা সেই তরুণী ... অথবা হঠাৎ হঠাৎ তার দেখায় বৈশাখী ঝড়ের পর সাত রঙে রংধনু হয়ে আকা জলছবি ...।
মধ্যরাতের চাঁদটা খুব অদ্ভুত হয় ... 
চাঁদ যত উপরে উঠে প্রিয় মানুষটাকে কাছে পাওয়ার ইচ্ছে ততটা বাড়তে থাকে .....
চাঁদ আর মেঘের লুকোচুরি খেলার মুহূর্তগুলোয় মেঘের ভাজে ভাজে লুকিয়ে থাকে একের পর এক চমক ... কেউ জানেনা এরপরের মুহূর্তে কি ঘটবে ... 

আমি জানিনা তবে এই সময়গুলোতে আমার মনে হয় ঘোরের মাঝে আমি আমার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষগুলোকে দেখতে পাই , ছুঁতে পারি এক মুহূর্তের জন্য ...
আবার মেঘের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে রূপালী আলোর চাঁদ ...
হারিয়ে যায় , হঠাৎ আছে আসা অপূর্ণ ভালবাসার পূর্ণ রূপটা ...
অনেকদিন ধরে না বলতে পারা সব ইচ্ছে গুলো একটু একটু দেয়াল হয়ে ঘিরছে আমায়, চারপাশটা ঘোলাটে লাল রঙে ঢেকে যাচ্ছে ... এলোমেলো স্বপ্নগুলো সব সাদা রঙের চেরির কুড়ি হয়ে ঝরছে ... আবারো হারাচ্ছি আমি আমার একলা ভুবনটায় ... 
ডুবছি আমার ধুসর ক্লান্তি আর ধোয়াটে সব স্মৃতির মাঝে , সময়গুলো ছুটছে পাগলা ঘোড়ার মত... বয়সের ভারটা বইতে আজকাল বড্ড কষ্ট কেন মনে হয় ! আবারো কিছু করা না করাতেই শেষ হয়ে গেল আরেকটা সাদাকালো বছর ... 
কিছুই করা হচ্ছেনা কিন্তু সময়গুলো শুধুই পুরিয়ে যাচ্ছে আমার ...
রাতজাগা দীর্ঘশ্বাস কেন যেন আমাকে একদমই মানায় না ।
তারপরও হঠাৎ হঠাৎ রাত্রিগুলো ভীষণ লম্বা হয়ে আমারও বিষণ্ণতার রঙে ধুসর হয়ে যায় ...
আমি আমার মত রাত জাগাপাখিগুলো খুজতে থাকি ...
একটু কি সময় হবে কারো দাড়াবার ?
আমি খুব বেশী বিরক্ত করবোনা সত্যি, শুধু একটুক্ষণ গল্প করবো ।
হবে কি কারো একটু সময় আমার পাশে হাসবার ?
অকারণ সব কথা শুনে আদরের বকা দেবার ?
হবে কি একটু খানি সময় কারো আমার পাশে থাকার ? 
তুমি আমার নক্ষত্র নও
তুমি আমার শেষ রাতের তারা

তুমি আমার প্রভাতের প্রথম কিরণ নও
তুমি আমার সারাদিনের রোদে ঝলমল সূর্যটা

তুমি আমার বৃষ্টি ফোটা নও
বৃষ্টির ক্ষনের আধার কালো মেঘ

তুমি আমার অলস সব


ছোট্ট কিছু স্বপ্ন সত্যি হওয়ার প্রতিক্ষায় কাটিয়ে দেয়া এই জীবনটাও মাঝে মাঝে খুব ছোট মনে হয়।
আর একটু , আর একটু অপেক্ষাতে হয়তো স্বপ্নটা সত্যি হয়ে ফিরতো , অনেক্ষানি তোমার মাঝে একটুখানি আমার ছায়া পড়তো... 
তোমার জন্য লিখা চিঠিগুলোতে সবসময় কিছু কথা বাকী থেকেই যায়, তোমাকে বলা সব হেয়ালী কথার কিছু অর্থহীন কিছু বাক্যের অর্থও মনের মাঝে থেকে যায় ... 
তোমাকে নিয়ে লিখা ভালবাসার কবিতাগুলো আমার এখনো অপূর্ণ থেকে যায় । 
তবুও তুমি আমার অনেক্ষানি কাছে, দুরের চেয়েও দূরে আবারো কাছের ভিতর অনেক্টুকু কাছে ...
অদ্ভুত কিছু ভালবাসায় আমি তোমাকে একেছি, 
সূর্যের লাল রঙটায় সাজিয়েছি ভাল লাগার সব মুহূর্ত । 
মাঝে মাঝে নীল তুলির রঙে আর সবুজের খেলায় বানিয়েছি রঙধনু , সেই রঙধনুতে এখনো লিখছি তোমাকে নিয়ে ছন্দহীন সব কবিতা । 
গড়ছি নতুন সব স্বপ্ন- 
আবারো পালাবো আমি তোমাকে নিয়ে অনেক দূরে কোথাও অচীন কোন মায়াপুরীতে।
ভালবাসবো তোমাকে ভীষণভাবে,একলাই আমার করে।
ভালবাসা হয়তো খুব সহজ, খুব শুদ্ধ ।
 স্নিগ্ধ আলোর চাঁদটার মত ।
অথবা  হয়তো খুব কঠিন, ভীষণ অন্ধকার ।
আলোহীন কোন কারাগারের মত। 

ভালবাসা হয়তো ভীষণ দুঃখী 
অথবা কিঞ্চিত সুখের প্রার্থনা ।
ভালবাসা হয়তো ক্ষনিক মায়া,
আবেগের কিছু প্রহর ।

 তারপরও ভালবাসা থাকুক ভালবাসা হয়ে,
ভালবাসা বাচুক আমার মাঝে- সবটুকু আদর নিয়ে।   
একটা সময় কি যে পাগল ছিলাম, তার অল্প কিছু কথায় আমার বুকের ভিতরটায় কাপন ধরতো । Jealous হয়ে ও যখন বলতো, কারো সাথে তুমি Flirt করলে খুন করে ফেলবো – অদ্ভুত অনুভুতিতে বুকের ভেতরটা ছেয়ে যেত ।
কি ভীষণ ভাললাগায় হার্টবিট বেড়ে যেত আমার, আমি আবারো নতুন করে প্রেমে পড়তাম। কয়বার যে প্রেমে পড়েছি আমি জানিনা, বারবার নিজেকে প্রশ্ন করেছি কেন ভালবাসি? প্রেমে পড়ার মত কি আছে!

আমার আদর্শ বরের কিছুইতো মিলছেনা! সারাজীবন যা চেয়েছি, তার সাথে ওর কোন মিল নেই । কোন প্রশ্নের জবাব ছিলনা, খুব অদ্ভুত ব্যাপার হতো ভাবতে গেলেই আরো বেশী প্রেমে পড়েছি। দূরে যাওয়ার সব চেষ্টায় ব্যারথ হয়ে আমি আবারো ফিরে এসেছি ।

নাহ আমি আবারো ভুল বলছি আসলে বুকের ভেতর কাপন ধরতো যে তা না, এখনো পুরনো মেসেজগুলো চোখে পড়লে ঠিক আগেরমতই আমার বুকের ভিতর কাঁপন ধরে । ভালবাসা নামের কালো ছায়া আবারো আঁকড়ে ধরে আমাকে চারপাশ থেকে ।
আমি সব ভুলে ওকে না পাওয়ার তীব্র হাহাকারে আকুল হয়ে কাঁদি, কিন্তু না এখনো ওর মাঝে আমি কোথাও নেই, ওর বিশাল জগতটার কোথাও আমার কোন অস্তিত্ব নেই । কিন্তু আমার সবটুকু জুড়ে এখনো শুধু ওর ছায়াই বাচে। এখনো হৃদয় নিংড়ানো সব ভালবাসা নিয়ে আমি ওর অপেক্ষায় থাকি , যদি কখনো ভুল করে ফিরে আসে ওর ফেলে যাওয়া পথটায় ।  


আমার সূর্যটা হয়তো আবার হাসবে তখন, অন্ধকার পৃথিবীটা আবার আলোয় ঝলমল করবে। তাই এখনো আমি থাকি তোমার প্রতিক্ষায়, আর একটিবার ফিরে এসো, নতুন করে তোমার প্রেমে পড়তে চাই আমি বারবার অথবা আবার ।  
গোধুলীর আলোয় একাকী খেলে
অবেলার ছায়াবীথি।
ঘরের কোণে ভাঙ্গা ফ্রেমে
অতীতের মায়াছবি।
তোমার কোন নিষ্পাপ ভুলে
বদলে যাওয়া কুৎসিত আমি।
বারবার হাহাকার মেখে জীবন ঝেড়ে
ফেলার খেয়ালে মাতলামী।

তবুও জীবন একপা দু’পা করে হাটে,
তোমার জন্য মলিন হয়ে কান্নার হাসি হাসে,
সুখগুলো সব ছিন্নভিন্ন-

আমি একাকী। 
জলপরী আর নীলপদ্মের গল্পটার শুরু কোন এক রিমঝিম বৃষ্টির দিনে, তারপর কিছু অর্থহীন আলাপচারীতাঃ 

- পরী তোমার চোখে এত মায়া কেন? 
- ভালবাসার অস্তিত্ব মায়াতেই যে তাই । 
- তাহলে ভালবাসার জন্ম কোথায় পরী ? 
- ভালবাসাতো এখানেই জন্ম নেয় , এখানেই বেচে থাকে পদ্ম । 

- নীল নাকি বিষাদের রঙ, তোমার নীলে কোন বিষাদ পদ্ম ? 
- ভালবাসার বিষাদগুলো আমার পাপড়ী ।
- ভালবাসায় কি বিষাদ থাকে পদ্ম ? ভালবাসাতো স্বপ্নময় কিছু সুখের নাম ।
- হারিয়ে যাওয়া ভালবাসা যে বিষাদেই বাচে পরী ।

- ভালবাসার শেষ যাত্রা কোথায় পরী?
- নীলপদ্ম হাতে দুটো মানুষের পদ্মবিনিময়টাইতো ভালবাসার শেষ ।
- তবে কেন কিছু নীল পদ্ম অকালেই ঝরে পড়ে পরী ?
- কিছু ভালবাসা যে হারিয়েই বেচে থাকে চিরকাল, অন্য কারো হয়ে- অন্য কারো মাঝে...
কিছুটা পথ দূরে থাকুক, 
কিছুটা হোক কাছের ... 
ভালবাসা বন্দী থাকুক, 
হঠাৎ হোক মুক্ত পাখী মেঘলা কোন সাঝের । 

বিশাল আকাশ, তারার মেলা
অপেক্ষার সব পথ চলা।
হারিয়ে যাক অন্ধকারে,
আবেগগুলো মুক্ত করে............
কেন তুমি আমাকে ভালবাসবে না? আমি কি করেছি বলো!
মেয়েটার আহত চোখের দিকে তাকিয়ে ছেলেটা ভীষণ বিব্রত বোধ করা ছাড়া আর কোন উত্তরই খুজে পায়না।

কেমন করে মেয়েটাকে সে বুঝাবে কোন কিছু না করলেও এই পৃিথবীতে সবাই সবাইকে ভালবাসতে পারেনা।

মেয়েটাও সব কিছুই বুঝে, তবুও আজকে সে অবুঝ হবে, আজকের দিনে এই একটা মানুষের কাছে সে ভীষণ ভীষণ অবুঝ হবে ।
একবুক হতাশা নিয়ে আবারো জানতে চাইবে "কেন? কেন তুমি আমায় ভালবাসবে না বলো?! 
প্রিয় আকাশ

তুমি ভাল থাকো, ভাল থেকো তুমি। তোমার ভাল থাকাতেই যে আমিও ভাল থাকার চেষ্টা করতে পারি।

আমিহীন তোমার সব আনন্দ হাসির কাব্য দেখে দেখে, আমিও সব দুঃখের দরজায় তালা দিয়ে যখন ডানা মেলার চেষ্টায় ব্যাস্ত তখনি কেন আবার তুমি একলা বিষাদের ঘরে!

তুমি জানোনা, যতবার তোমার একলা বিষাদের ছবিটা দেখি আমার বুকের ভিতরটা কেমন হুহু করে উঠে। আমারো বন্দী হতে ইচ্ছে করে তোমার সাথে সেই বিষাদের ঘরে। সুখের পৃিথবীটা যে ভীষণ অর্থ হীন লাগে তখন আমার।

তাই,তুমি ভাল থেকো। বেশ থেকো শুধু আনন্দগুলো নিয়ে। তাহলেই সব কষ্ট লুকিয়ে রেখে আমিও পারবো তোমার আমিহীন ভাল থাকার অপরাধটা ক্ষমা করতে।

ইতি
তোমার বুক থেকে ঝরে পড়া তারা

(বিঃদ্রঃ প্রিয় বিষাদ আনন্দ হও, আমি তোমায় ভালবাসী না যে...)



পাপ

আমার হাতের রেখায় পাপ,
নির্লোভ পাপে পৃথিবী একটু একটু করে মোহগ্রস্থ করার অকৃত্রিম বাসনায় সময় পুরিয়ে যায়।
কিন্তু আমার হাতের রেখায় থাকা পাপ কমেনা-  তিলতিল করে বাড়তেই থাকে ।
রেখা ছাড়িয়ে আঙুল ছুঁয়ে যায় এক পৃথিবী পাপ-
মুছে ফেলি সব পূন্য- আমার ছোয়াতেই পাপ !

আমার পাপে আধার হয়ে যায়, দূর থেকে দুরান্তর
জলের মতো গড়িয়ে আচ্ছন্ন করে ডুবন্ত পৃথিবীর শেষাংশ ..
আমিও অবাক হয়ে পাপ দেখি, নিজের পাপে হাতড়ে বেড়াই পূন্যের অবশেষ ,
আলো ছায়ার মত পাপ পুন্যের অবস্থান দেখি মুগ্ধ হয়ে-
পাশাপাশিই থাকে শুদ্ধ আর অশুদ্ধ।
কে না জানে পাপ ছাড়িয়ে হাত বাড়ালেই যে পূন্য ছুয়ে দেয়া যায় ! 
তিস্তায় ডুব দিয়ে এলে যে পবিত্র স্বপ্ন মায়া জাগায় সেই অনুভুতি টুকু বন্দী করার ইচ্ছেয় বালিকা পথের পর পথ অনন্তপুরের খোজে হেটে যায় । মেঘের দেশ হারিয়ে পা বাড়ালেই যে অনন্তপুর, কখনো কেউ তার দেখা পায়নি । সেই অনন্তপুরের সমুদ্র ঢেউ গণার মায়া আজ বালিকাকে দু হাত বাড়িয়ে ডাকে – বছর মাস সপ্তাহ গায়ে মেখে সময়হীন পথ শেষ হয়না ।
ঘাস ফুলদের করুণ আবেদন শুনে হঠাৎ থমকে গেলেও বালিকার মন একটুও টলে না। আংগুলের ফাক বেয়ে ছুইয়ে পড়া জোছনা বিলাসও আজ একরোখা হয়ে ডেকে যায়। কিন্তু বালিকা শুনেও শুনতে চায় না, জোছনা মাড়িয়ে ঘাসফুল ছাড়িয়ে বালিকা হাটতেই থাকে মাঠের পর মাঠ। মাঠগুলো ফিসফিস করে বলে ‘একটু দাড়াও বৃষ্টি ডাকি। কিন্তু বালিকা মাথা ঝাকায়, না ভাই আজ যে বড্ড তাড়া আছে।”
ধুমকেতুর মতো হুট করে আসা যে যুবক বালিকাকে কখনো খোপায় তারার ফুল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পথ হারায় তারার দেশেই। তাকে ভেবেই দুফোটা জল গড়ায়,চিকচিক করে বালিকার নাকের ছোট্ট নাকফুলে। বালিকা তখন মৃদু কণ্ঠে ‘আমিতো শুধু তোমার অনঙ্গ বউ হতে চেয়েছিলাম-তবে কেন!
বাতাসের শব্দে দীর্ঘশ্বাস মিলিয়ে যায়। মাঝরাতের হাহাকার হয়তো কাপন ধরায় অদৃশ্য কোন পথিকের বুকে। নিঃসঙ্গ বালিকা আবারো এগিয়ে যায় অনন্তপুরের মায়া রাখালের দেশে।

মাঝরাতের প্রলাপ

রাত জাগা সব মানুষের নিঃসঙ্গতার ভাষাগুলো হয়তো এক, সবটাতেই হাহাকার আর তীব্র বিষাদময় আক্ষেপ । সব কষ্টগুলো এক হয়না কিন্তু রাতের অনুভুতিগুলো একি থাকে। একলা রাতে উষ্ণ হাতের ভালোবাসার ছোয়া পেতে মুখিয়ে থাকে সবাই ।
মধ্যরাতের গল্পগুলো পাওয়া না পাওয়ার হিসেব ছাড়িয়ে আকাশ সমান হতাশার হয় । ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নগুলো অন্ধকারের রংএ নতুন ছবি আকতে শুরু করে । জানালার বাইরে নিয়ন আলোর শহরটাও অপরিচিত হয়ে উঠে ।
অথচ দুরের মানুষগুলোকেও তখন হঠাৎ করেই ভীষণ আপণ মনে হতে থাকে-দুরের মানুষগুলোই ভীষণ কাছের হয়ে উঠে । খুব গোপনে লুকিয়ে রাখা ব্যাথার গল্পগুলো বলে ফেলা যায় কোনরকম পিছুটান ছাড়াই।
দুরের আকাশে তারা হয়ে থাকা কোন প্রিয়জন অথবা হঠাৎ হাত ছেড়ে দেয়া কোন প্রিয় মুখ বার মনের আয়নায় ভেসে উঠে । ভাবনাগুলো সরলরেখার মত শুধু কষ্টের সীমারেখাতেই মিলিত হয় । একাকীত্ব আর নিঃসঙ্গতা মাখামাখি হয়ে গাড় বিষাদ অন্ধকারের সৃষ্টি হয় ।
সেই মুহূর্তে কেমন করে যেন বদলে যেতে থাকি আমিও। যন্ত্রের মুখোশে থাকা আমি একটু একটু করে টলে যাই- ভুলে যাওয়া অনুভুতিগুলো জাগতে শুরু করে। নিঃসঙ্গ রাতগুলো অদ্ভুত এক ধারণার জন্ম দেয় “আমি আবার হয়তো একটু একটু করে মানুষ হয়ে যাচ্ছি।
রাতগুলোকে আমারো ভীষণ রকমের আপন মনে হতে থাকে ।
জলের ভিতর আমার প্রতিবিম্ব, আর তুমি বারবার হাত দিয়ে নাড়ায়ে দাও ।  ঘুঘু ডাকা দুপুরের কোন কোলাহল আর আমার কানে আসে না  ।  আমি শুধু জল দেখি আর জলের ভিতর তোমার আমার ছবি ।    ঘুম ভাঙ্গে অচেনা কারো হাতে ঝাকুনি খেয়ে " ভাই আপনি ঠিক আছেন তো ? হত-বিহব্বল হয়ে তাকাই ।  চারপাশে জল নাই ।
আস্তে আস্তে বলি "আমি ঠিক আছি ভাই- কিন্তু আমার কিচ্ছু ভাল্লাগে না । নতুন লোকটা অবাক হয়ে তাকায়ে থাকে, তারপর উটকো ঝামেলা এড়ানোর তাগিদে দ্রুত সটকে পড়ে ।  

বেখায়ালে বসে থাকি স্ট্যাশানের লম্বা টুলটায়, চারপাশে কত লোক হেটে যায়, কিন্তু আমার সময় থমকেই থাকে। গাড়ির হর্ন আর কুলির সাইড দেন, সাইড দেন চিৎকারের কোনটাই আমার মাথায় ঢুকেনা। আমি বরাবরই নিজের জুতা আর উড়ন্ত চিলের দিকে তাকাই থাকি।   

একুশ নাম্বার প্ল্যাটফর্মে দুটার মেইল থামে, আমি তোমার শাড়ির আচল দেখার আশায় বসে থাকি । তুমি আসো না । আমার ভাল্লাগে না রোগ একটু একটু করে ছড়ায়ে যায় । মায়া মায়া মুখের হাসি আর কিশোরীর মত কন্ঠে "এই উঠো উঠো " শোনার অপেক্ষায় একটু পর পর চোখ ঘষি । সূর্য ডুবে যায় -তোমার দেখা নাই । আমি খালি অবাক হয়ে ভাবি আমার ক্যান কিচ্ছু ভাল্লাগে না !


আকাশে কত রঙ আমার ক্যান ভাল্লাগে না ! রঙ গুলো ছড়ায়ে যায়, প্রজাপতি উড়ে আমার একটুও ভাল্লাগেনা ! মেঘমালার নিচে টলটলে জল আমার দেখতে ভাল্লাগেনা । টুপ করে ডুব দিয়ে আসি, বিন্দু বিন্দু জল গড়ায়, তুমি আসো না আমার কিচ্ছু ভাল্লাগে না !   
অন্ধকার ঘরে একলাই জেগে থাকি, হাত বাড়িয়ে আলো ছুয়ে দেয়ার ব্যার্থ চেষ্টা।
নিয়ন আলোর শহরটাকে ভীষণ দুরের মনে হয়। অন্ধকারের রঙে আকা মুহুর্তগুলোর হিসেব মেলাতেই দেখি-না পাওয়ার অংকে ভরে আছে জীবন খাতা।
তবুও আধারের হ্রদয় ঘেষে আলো ছুয়ে দেয়ার ইচ্ছেটায় বেচে থাকি। সাদাকালো স্বপ্নগুলো ক্লান্ত হয়ে আবারো গুনতে থাকি। মেঘের ছায়া থেকেই জন্ম নিক নতুন আলো-শুভ্র শুদ্ধ নতুন জন্ম হোক আবার ।

Thursday, March 26, 2015

একেকটি সূর্যাস্ত আমার কেটেছে গাঢ় বিষাদে

গোধুলীর আলোয় আকাশ যখন কুসুমি আবীরে রাঙিয়ে যায়- আমি তখন তোমার অপেক্ষায় থাকি ।
অপেক্ষায় থাকি অচেনা এক মুহূর্তের-
ডুবন্ত সূর্যের আলোয় তোমার ছায়া একটু একটু করে বাড়ছে।
তোমার চোখে কমলা সূর্যটা ধীরে ধীরে ডুবছে ।
প্রতিক্ষায় থাকি হঠাৎ-
অলীক কোন সুখের মত আমার ছায়াও পড়বে তোমার চোখে...
কমলা সূর্যের বুকে তোমার চোখে আমার চোখ থাকবে...
তুমি জানোনা-
তিন হাজার সাতশো সূর্যাস্ত আমার কেটেছে, তোমার চোখে নিজেকে খোজার শখে ...
তিন হাজার সাতশো রাত আমার জেগেছে তোমার উপস্থিতহীনতার কষ্টে ।
একেকটি সূর্যাস্ত আমার কেটেছে গাঢ় বিষাদে ...
তবুও আমার সময় কাটে অন্তহীন প্রতিক্ষার- তোমার চোখে আমার প্রতিচ্ছবি দেখার।

Monday, March 23, 2015

ভাংগা কাচের চুড়ি

রাগ করে তুমি সেদিন পথের উপর নীল চুড়িগুলো ফেলে দিলে। কি সুন্দর টুংটাং শব্দে ভেংগে গড়িয়ে পড়ছিলো সব। কান্ডজ্ঞান হারিয়ে আমিও ঝাল উড়ালাম। ভালো হয়েছে চুড়িগুলো এমনিতেই তোমার হাতে মানায় না। অথচ তোমার হাতে চুড়িগুলো দেখে কতলক্ষবার যে মনে মনে বলেছি, ইশ! চুড়িগুলোয় মেয়েটাকে এত মানায় ক্যান! মনে হয় হাত ভরতি নীল জলের আকাশ।
তোমার পাশে বেখাপ্পা শুধু আউলাঝাউলা আমিই ছিলাম। তুমি আমার পাশে হাটলেই মানুষের মুগ্ধ দৃষ্টি আমাতে এসে অবাক হয়ে থেমে যেত। আর এই বাউলা চুলের আমিটাকে তুমি কি গভীরভাবেই না ভালোবাসতে!
সারাক্ষণ কানের কাছে ঘ্যান ঘ্যান করে গেছ 'তুমি সিগারেট ছাড়োনা কেন? তুমি অল্প বয়সে মরে গেলে কিন্তু আমি আরেকটা বিয়ে করে ফেলবো"। আমি হাসতে হাসতে তোমার কাধ জড়িয়ে বলতাম "পাগলী একটা! তখন তুমি ভিষণ রকম গম্ভীর হয়ে বলতে 'হাসছো কেন?! আর যদি সিগারেট খাও আমি কিন্তু এক্ষুনি চলে যাবো।
জীবন কি অদ্ভুত তাইনা! সেই কবে আমি সিগারেট ছেড়ে দিলাম - অথচ তুমিও আমার রইলেনা। আগের সেই সেলাই করা জুতা আর তালি দেয়া পকেটের পাঞ্জাবীতেই আমি এখনো পথে পথে ঘুরি। আর তুমি কোন রাজপুত্রের সংসারে খাচার ময়না হয়ে দিব্যি সংসার করছো।
আজ রাস্তায় টুকটুকে লাল বল হাতে আপেল গালের এক বাবু দেখে মনে পড়লো "তুমি প্রায়ই বলতে আমাদের লাল লাল আপেল গালের বাবু হবে কিন্তু। ওকে তুমি একটা টুকটুকে লাল বল কিনে দেবে হ্যা! কে জানে এখন হয়তো তোমার সত্যি টুকটুকে আপেল গালের বাবু আছে।
তোমাকে আমার কিন্তু একদমই মনে পড়ে না। আমার এই ছন্নছাড়া জীবনে কি দুঃখ বিলাস করা মানায় বলো! আজ নাহয় বাবুটাকে দেখে ভেবেছি কাল থেকে আর ভাববো না। তবুও হঠাৎ হঠাৎ জানতে ইচ্ছে করে সত্যিই কি তোমার এখন টুকটুকে আপেল গাল বাবু আছে? সবুজ লনের বারান্দায় লাল বল হাতে কি তুমি এখন বাবুর পিছপিছু ছুটে বেড়াও!

Wednesday, March 18, 2015

বুকের ভিতর জন্ম নেয়া নীল রঙের গভীর ক্ষতটা কম হলেও তিন ইঞ্চি পুরো। ঘুণে ধরা কাঠ কীটের মত একগুচ্ছ জাদুর জোনাক বাসা বেধেছে সেখানটায়। তাড়িয়ে দিলে ফিরে ফিরে আসে। ক্ষতটা কিছুতেই মিলিয়ে যায়না।
বরঞ্চ কালো জাদুর মতো জোনাকগুলো নীল রক্তের ব্যাপ্তি বাড়িয়েই চলে। অভিমানের দীর্ঘ ছায়া আরো দীর্ঘতর হয়। ক্ষতের জন্ম দেয়া তোমার জন্যও বুঝি আর কোথাও একফোটা জায়গা নেই।
একটু একটু করে ক্ষতটা জায়গা করে নিচ্ছে বুকের সবটাতেই। দুঃখী নীল আলো ছড়ানো জোনাকগুলোও এখন শুধু আমার। এই আলো ছুয়ে দেয়ার অধিকারটাও একান্তই আমার।
জোনাকগুলো শুধু আমারই ভাল না লাগা - সত্যি বলছি কোথাও তোমায় আর এতটুকু ছুতে দেয়ার মতো জায়গা অবশিষ্ট নেই।

Saturday, March 7, 2015

I believe i am not alone ...

Park Jung Min - Not Alone Translation (English)
That tired expression in your eyes always remain in me
Other than your breathe, I can’t see your image and too can’t make you stay
More exhausted now stop stop stop
Get out of everything step step step
There is no return even though ending it will cause tears
so I can believe I’m not alone
Not alone now, not sad anymore
and I can feel it I’m not alone
Definitely not alone, never be exhausted again
Now again down down down down no! no! no! no!
down down down down no! no! no! no!
Even if more time passes by, I’m not alone
Because of you alone I can believe.
As time passes by, memories of you still remain..
Still living within that traces even if I hate it
Time gradually stop stop stop
Get out again step step step
There is no return even though ending it will cause tears
so I can believe I’m not alone
Not alone now, not sad anymore
and I can feel it I’m not alone
Definitely not alone, never be exhausted again
Now never again down down down down no! no! no! no!
down down down down no! no! no! no!
Even if more time passes by, I’m not alone
Because of you alone I can believe.
Cannot even breathe in this gloomy night
Again I’m not afraid because of you
so I can believe I’m not alone
Not alone now, able to return again
and I can feel it I’m not alone
Definitely not alone, never be exhausted again
Now never again down down down down no! no! no! no!
down down down down no! no! no! no!
Even if everything collapses I’m not alone
Just you alone is enough I’m not alone.
You’re not alone....

https://www.youtube.com/watch?v=m_1CdlWKhmQ

Thursday, March 5, 2015

পথের পর পথ, রাত্রি আর অন্ধকার-
শূন্য মাঠ একলা তেপান্তর আমি তোমার অপেক্ষায় থেকেছি ।
অভিমান ছিড়ে কষ্ট নিয়ে ভীষণ কেঁদেছি ।
তোমার জন্য পাহাড়সম অভিযোগের বোঝা বন্দী করেছি/
তোমাকে আমি কাল, মূহুর্ত ভীষণ ভেবেছি ।
মাঝরাতের কান্না, সমুদ্র প্রলাপ ছুইয়ে তোমাকে ডেকেছি - তুমি ফিরবে বলে জোনাকীর গুঞ্জন ।
আমি রাতের পর রাত একলা তারা গুনেছি- তুমি আসবে বলে একলা চাঁদের ক্রন্দন ।
তোমার প্রতিক্ষায় ছিলো হৃদয় স্পন্দন,
অনন্তকাল তোমাকে আমি আমার হবে বলে ডেকেছি ।/

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...