Sunday, March 29, 2015

তিস্তায় ডুব দিয়ে এলে যে পবিত্র স্বপ্ন মায়া জাগায় সেই অনুভুতি টুকু বন্দী করার ইচ্ছেয় বালিকা পথের পর পথ অনন্তপুরের খোজে হেটে যায় । মেঘের দেশ হারিয়ে পা বাড়ালেই যে অনন্তপুর, কখনো কেউ তার দেখা পায়নি । সেই অনন্তপুরের সমুদ্র ঢেউ গণার মায়া আজ বালিকাকে দু হাত বাড়িয়ে ডাকে – বছর মাস সপ্তাহ গায়ে মেখে সময়হীন পথ শেষ হয়না ।
ঘাস ফুলদের করুণ আবেদন শুনে হঠাৎ থমকে গেলেও বালিকার মন একটুও টলে না। আংগুলের ফাক বেয়ে ছুইয়ে পড়া জোছনা বিলাসও আজ একরোখা হয়ে ডেকে যায়। কিন্তু বালিকা শুনেও শুনতে চায় না, জোছনা মাড়িয়ে ঘাসফুল ছাড়িয়ে বালিকা হাটতেই থাকে মাঠের পর মাঠ। মাঠগুলো ফিসফিস করে বলে ‘একটু দাড়াও বৃষ্টি ডাকি। কিন্তু বালিকা মাথা ঝাকায়, না ভাই আজ যে বড্ড তাড়া আছে।”
ধুমকেতুর মতো হুট করে আসা যে যুবক বালিকাকে কখনো খোপায় তারার ফুল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পথ হারায় তারার দেশেই। তাকে ভেবেই দুফোটা জল গড়ায়,চিকচিক করে বালিকার নাকের ছোট্ট নাকফুলে। বালিকা তখন মৃদু কণ্ঠে ‘আমিতো শুধু তোমার অনঙ্গ বউ হতে চেয়েছিলাম-তবে কেন!
বাতাসের শব্দে দীর্ঘশ্বাস মিলিয়ে যায়। মাঝরাতের হাহাকার হয়তো কাপন ধরায় অদৃশ্য কোন পথিকের বুকে। নিঃসঙ্গ বালিকা আবারো এগিয়ে যায় অনন্তপুরের মায়া রাখালের দেশে।

No comments:

Post a Comment

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...