Tuesday, April 28, 2015

ভালোবাসা ও তারপর

সাদিকের হাত ধরে এতটা পথ আসাটা আমার জন্য মোটেও সহজ ছিলনা,  সেই প্রথম থেকেই সাদিক একটু মুডি আর ভীষণ লাজুক । নিজের জড়তা কাটিয়ে ওর সাথে কথা বলবো এই সাহস আমার হয়নি কিছুতেই তাই , তাই সব ভাললাগা লুকিয়ে রেখে দূর থেকে তাকিয়ে থাকাতেই তৃপ্ত ছিলাম আমি ।

প্রথম যেদিন সাদিক আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করলো- আপনি প্রায় আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন তাই না ? লজ্জা ভয় দুটোই একসাথে আচ্ছন্ন করেছিল আমাকে । মাটির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে অজান্তে কখন কাঁদতে শুরু করেছি নিজেও বুঝতে পারিনি । বিব্রত সাদিক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলার মত খুজে পাচ্ছিলনা কিছু। একি কথাই বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলছিল- আমি অত্যন্ত দুঃখিত, সরি সরি ।

তারপর নিজে থেকেই স্বীকার করলো আসলে ও আমার সাথে কথা বলার এক্সিউজ খুজতেই এই কথাটা বলেছে । ওর এই কথা শুনে কান্নার মাঝেই হেসে ফেলতে বাধ্য হয়েছি আমি, আমাকে হাসতে দেখেই ও জিজ্ঞেস করলো - আমি কি ক্যান্টিনে আপনার সাথে এক কাপ চা খেতে পারি ?
আমি মাথা নেড়ে হ্যা বললাম।
চা খেতে খেতে হুট করে বললো " তোমার যে সাদা জামাটা আছে ওটা পরলে তোমাকে একদম পরীর মত লাগে । মনে হয় চারপাশ থেকে একগুচ্ছ শুভ্রতা স্বর্গের কোন পরীকে জড়িয়ে রেখেছে ।  প্রথমবার তোমাকে আমি ওই সাদা ড্রেসটাতেই দেখেছিলাম ।

আমি মনে মনে বলছিলাম " তোমার কিচ্ছু মনে নেই সাদিক । আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিলো এডমিশান টেস্টের দিন । প্রশ্ন দেখেই ভয়ে কিচ্ছু লিখতে পারছি না। তুমিই তখন বললে " এত ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই । আপনি নিশ্চয় পাস করবেন ।
সেই তখন থেকেই আমার চোখ দুটো তোমাকে সারাক্ষণ অনুসরণ করেছে । নিজের অজান্তে কখন মায়ায় আবদ্ধ হয়েছি ঠিক জানিনা । তুমি কবে কোন রঙের টি-শার্ট পরেছ , কবে একলা ক্যান্টিনে এসেছ । কখন কোন মেয়ের সাথে কথা বলেছ সব আমার ডায়রীতে আছে । এতগুলো দিন প্রতিক্ষার পর তুমি আমার দুয়ারে এলে  তোমাকে আমি কিছুতেই ফিরতে দেবো না ।

তারপর শুরু একসাথে পথ চলার । একসাথে ঘুরতে যাওয়া ফ্রেন্ড সার্কেলের দুষ্টামিতে গাল লাল করে ফেলা । প্রথমবার ভুলের ভান করে হাত ধরা । তারপর অভ্যস্ততার এক্সিউজ । কয়েকমাসের মাথায় হঠাৎ একদিন সাদিক হঠাৎ করেই বলে বসলো "চলো মুনা আমরা বিয়ে করে ফেলি । তোমাকে ফেলে বাসায় গেলে সারাক্ষণ শুন্য লাগে । একসাথে বাসায় ফিরবো এখন থেকে ।

কোনভাবে মাথা নেড়ে সায় দিলাম । সত্যি বলতে তখন শুধু ভেবেছি সাদিককে আমি ভালোবাসি , ভীষণ ভালোবাসী । আর কিচ্ছু মাথায় আসেনি, ভবিষ্যত পরিবার কোন কিছুই মাথায় আসেনি । আর ভেবেছি একসাথে থাকবো ।  এই আনন্দের কাছে বাকী সব তুচ্ছ লাগছিলো ।

তারপর কয়েকজন বন্ধু নিয়ে কাজী অফিসে গিয়ে দুজনে বিয়ে করে ফেললাম । সব শেষে সাদিকের হাত ধরে তার বাসায় । যা হবার তাই হলো -তার পরিবার কিছুতেই মেনে নিলো না আমাদের । সাদিকের হাত ধরে পথে নেমে এলাম । চন্দ্রাকে কল দিতেই জানলাম - সাদিকের পরিবার আমার বাসায় কল দিয়েছিলো ।

আরেকদফা ঝড় বয়ে গেছে ওখানেও, ফিরে যাওয়ার জায়গা নেই আর । রাতটা কোনভাবে এক হোটেলে কাটিয়ে পরেরদিন ছোট্ট একটা বাসা ভাড়া নিলাম আমরা । সাদিক পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে এক বন্ধুর ব্যাবসায় সাহায্য করতে লেগে গেল । আমিও বসে না থেকে পাড়ার দু একটা বাচ্চাকে পড়াতে শুরু করলাম ।

সাদিকের বন্ধুর ব্যাবসায় অল্প যা কিছু লাভ হয় সাথে আমার টিউশানীর কিছু টাকা মিলিয়ে  সংসার চালানোটা কষ্টকর নয় শুধু অসম্ভবের কাছাকাছি ছিলো । মাসের প্রথম কয়েকটা দিন পার হতেই হাত খালি , বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাজার করার টাকা আর থাকছে না । এটা ওটা নিয়ে সাদিকের সাথে রোজ আমার ঝগড়া হতে লাগলো । তার পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার দোষে বারবার আমাকেই দায়ী করতে লাগলো । আমিও দায়ী করছি আমার জীবনটা নষ্ট করে দেয়ার জন্য । হুট করে শুনতে পেলাম আমাদের এক ফ্রেন্ড ওকে অন্য  মেয়ের সাথে রিকশায় যেতে দেখেছে । বেচে থাকার ইচ্ছেই নষ্ট হয়ে গেলো আমার ।

তিক্ততা সীমা ছাড়িয়ে গেলো । এক পর্যায়ে আমরা কেউ আর কাউকে সহ্য করতে পারছি না ।  বারবার মনে হতে লাগলো বিয়ে করার সিদ্ধান্তটাই ছিলো সবচেয়ে বড় ভুল জীবনের । ব্যাবসায় লসের পর লস দিতে দিতে ক্লান্ত  সাদিক একদিন বললো আমিই নাকি অপয়া, তার জীবনে এসে সব নষ্ট করে দিয়েছি ।  বাবাকে ফোন দিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছি । বাবা খানিক্ষণ গম্ভীর থেকে জানতে চাইলেন ফিরে আসবি ?  

কাঁদতে কাঁদতে বললাম "বাবা আমাকে নিয়ে যাও । আমি আর পারছি না । সে রাতে সাদিক ফিরলো , রোজকার মতো দুজন দুদিকে ফিরে শুয়ে আছি । বললাম আমি কাল বাবার কাছে ফিরে যাচ্ছি, এবার তোমার জীবন তুমি গুছিয়ে নিয়ো। সাদিক কিচ্ছু বলেনি তবে কেপে কেপে উঠা পিঠ দেখে বুঝতে পারছিলাম - কাঁদছে ও ।
দুজন দুদিকে মুখ করে কাঁদছি । ছোট্ট রাতটা খনিকেই পুরিয়ে গেলো ।

সকালে উঠে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে গেলাম। ও একবারো বাধা দেয়নি । আমরা দুজনেই তখন জানতাম বাধা দিয়ে লাভ নেই, এভাবে হয় না । দিন যত যাবে এই পরিস্থিতিতে শুধু তিক্ততাই বাড়বে । মানুষের জীবন শুধু ভালোবাসা দিয়ে চলে না । ফিরে গেলাম বাবার কাছে , আবার কলেজে ভর্তি হলাম । কিন্তু দিন কাটেনা আর ।

চারদিকে অসীম শুন্যতা । দিনদিন বিষন্ন হয়ে পড়ছি আগের চেয়েও বেশী । নিজের নিঃশ্বাসকে বোঝা মনে হতে লাগলো । কিভাবে একবছর কেটে গেলো নিজেও জানিনা । সাদিকের ব্যাপারে কেউ আমার সাথে কথা বলে না। বাবাই নিষেধ করেছেন হয়তো । উড়ো উড়ো শুনতে পাই সাদিকের বন্ধুর ব্যাবসা খুব ভালো চলছে । সাদিক এখন প্রচুর টাকা আয় করে । একবার শুনলাম বিয়েও করেছে ।

ততদিনে আমার আর কিচ্ছুতে কিছু যায় আসেনা , নিজেকে জীবন্মৃত মনে হতো । পড়াশুনাও ছেড়ে দিয়েছি । কলেজ যেতে ভালো লাগে না আর ।  পাপের ভয়ে আত্মহত্যা  করিনি । শুধু চলছে জীবন নিস্তব্ধতায় ।

সেদিন সকাল থেকেই ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি হচ্ছিলো । রোজকার মতো জানালার গ্রীল ধরে শূন্য চোখে বাইরে তাকিয়ে আছি । বাবা ডাকলেন "মুনা বসার ঘরে একটু আয়তো মা । বসার ঘরে ঢুকেই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি - চকলেট কালারের ডাবল সোফাটায় সাদিক বসে আছে । কঠিন দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকালাম । বাবা হড়বড় করে বললেন তোরা দুজনে কথা বল - আমি আসছি ।

বাবা চলে যেতেই সাদিককে বললাম "তুমি চলে যাও - তোমার সাথে আমার কোন কথা থাকতে পারে না।
সাদিক অনুনয় করে বললো "মুনা প্লিজ একটা কথা শুনো আমার। আমি বেশীক্ষণ সময় নিবো না ।
পরিষ্কার বুঝতে পারছি মুখে বিদ্রুপের হাসি ফুটে উঠেছে আমার । সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলাম "নিজের ওয়াইফকে জানিয়ে এসেছতো ? নাকি তার সাথেও প্রতারণা করার ইচ্ছে ?!
সাদিক অবাক হয়ে জানতে চাইলো "কিসের ওয়াইফ ?কার কথা বলছো !
আমিও এবার অবাক হয়ে জানতে চাইলাম "তুমি না বিয়ে করেছ ?
সাদিক আরো অবাক হয়ে উত্তর দিলো " কি সব বলছো ? আমার ওয়াইফতো তুমি । আমাদেরতো এখনো ডিভোর্স হয়নি । আমি আবার বিয়ে করবো কি করে !
উত্তরে কিছু বলার খুজে না পেয়ে চুপচাপ অন্যদিকে তাকিয়ে আছি । সাদিকই পায়ে পায়ে এগিয়ে এলো । আমার হাত ধরে বললো "প্লিজ ফিরে চলো মুনা । গত একবছর আমি একটা রাতও ঠিক করে ঘুমাতে পারিনি ।  সারাক্ষণ তোমাকে ভেবেছি । নিজেকে তৈরী করে কবে তোমার কাছে ফিরবো প্রতিদিন সে দিনের অপেক্ষা করেছি । তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না মুনা । আর অপেক্ষা করতে হলে আমি সত্যিই মরে যাবো ।

চোখের জল কিছুতেই বাধ মানলো না । সাদিককে ছাড়া আমারো যে কিছুতেই চলবেনা তা আমার চেয়ে ভালো আর কে জানবে ! দুহাতে আমার গাল ধরে ঠোটে ঠোট বসালো সাদিক । আমাদের দুজনের অশ্রু এক হয়ে মিশে যাচ্ছে  । অশ্রুজলে পবিত্র হোক এ ভালোবাসা । 
গোধুলীর আলোয় আকাশ যখন কুসুমি আবীরে রাঙিয়ে যায়- আমি তখন তোমার অপেক্ষায় থাকি ।
অপেক্ষায় থাকি অচেনা এক মুহূর্তের-
ডুবন্ত সূর্যের আলোয় তোমার ছায়া একটু একটু করে বাড়ছে।
তোমার চোখে কমলা সূর্যটা ধীরে ধীরে ডুবছে ।
প্রতিক্ষায় থাকি হঠাৎ-
অলীক কোন সুখের মত আমার ছায়াও পড়বে তোমার চোখে...
কমলা সূর্যের বুকে তোমার চোখে আমার চোখ থাকবে...
তুমি জানোনা-
তিন হাজার সাতশো সূর্যাস্ত আমার কেটেছে, তোমার চোখে নিজেকে খোজার শখে ...
তিন হাজার সাতশো রাত আমার জেগেছে তোমার উপস্থিতহীনতার কষ্টে ।
একেকটি সূর্যাস্ত আমার কেটেছে গাঢ় বিষাদে ...
তবুও আমার সময় কাটে অন্তহীন প্রতিক্ষার- তোমার চোখে আমার প্রতিচ্ছবি দেখার।
অন্ধকার ঘরে প্রজাপতি উড়ে । প্রজাপতিগুলো ফিসফিস করে বলে "তুমি না এলেই বা কি এসে যায় বলো"! অতীত কি বদলানো যায় ! অতীততো বদলায় না- শুধু রঙ গন্ধহীন অতীতের সব পৃষ্ঠাগুলো একেরপর এক উলটে যায়।
একবছর আগে ঠিক এই দিনটাতেই ছেলেটা মেয়েটাকে কল করেছিলো । ফোন হাতে হতভম্ব মেয়েটা জীবনে প্রথমবারের মতো নিজের হার্টবিট বন্ধ হওয়ার অনুভুতিটা আবিষ্কার করে। চারপাশের পৃথিবী থমকে যায়, চোখ বন্ধ করে মেয়েটা শুধু ছেলেটার কন্ঠে উচ্চারিত শব্দগুলোই অনুভব করতে থাকে। শুনতে পাওয়া বাক্যগুলো বারবার শুনতে চাওয়ার আশায় মিথ্যে করে "শুনতে পাচ্ছিনাতো" শব্দটা বলেই যায় ।
ছেলেটা বলা কথাগুলো আবারো আবারো বলেই যায় আর মেয়েটা চুপটি শুনতে থাকে । উত্তেজনায় হৃদয়টা খাচা থেকে বের হয়ে আসার ভয়েই বুঝি লাল বাটনটা টিপে দেয় মেয়েটা ।দু'হাতে মোবাইলটা বুকের কাছে মিশিয়ে দেয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা । পৃথিবীর রঙগুলো বদলে যেতে থাকে মেয়েটার কাছে। মেয়েটার কাছে জীবনের অর্থ ছেলেটাই হয়ে উঠে । এতদিনের পুরনো পৃথিবীটা কেমন অচেনা হয়ে যায়, শুদ্ধ অশুদ্ধ সব ভুলে আয়নার ওপাশটায় পরিচিত পুরনো জগত রক্তের বন্ধন। আর এপাশটায় শুধু ছেলেটাকে জড়িয়ে মেয়েটা।
অনাকাঙ্ক্ষিত আবেগের প্রবল তোড়ে দিশেহারা মেয়েটা বিস্ফোরিত চোখে এতদিনের যত্নে গড়া জগতটাকে উলোট পালোট হয়ে যেতে দেখে। ভাঙ্গতে থাকে মেয়েটাও নিজের ভিতর অচেনা ঝড়ে। ভয়ে কাতর মেয়েটা ছেলেটার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় "এসো আমরা আয়নার ওপাশের জগতটা ছুয়ে দেই। মিলিয়ে দেই দু'জগতের মাঝখানের ব্যাবধানটুকু।" কিন্তু ছেলেটা মুখ ফিরিয়ে নেয় ।
সেদিন থেকেই মেয়েটা একটু একটু করে মরে যেতে থাকে। অদৃশ্য হতে থাকে অবাক কোন বিষাদে ।কাচের জগতটা ভেঙ্গে যায়। মিলিয়ে যায় মেয়েটা শূন্যে ।
তার ঠিক একবছর পর "মেয়েটা ফিরে আসে হঠাৎ করেই। আবারো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েটা। অদ্ভুত ভাগ্যের খেলা- এবার আয়নার ওপাশটায় ছেলেটাকে দেখা যায়। মেয়েটা হাত বাড়ায় ছুয়ে দিতে কিন্তু কেন যেন ছুয়ে না দিয়ে ফিরিয়ে নেয়।তার বদলে ছুয়ে দেয় নিজের গাল, আঙুলের ডগায় অশ্রুজল।ক্ষণিকের জন্য ফিরে আসা মেয়েটা আবারো অদৃশ্য হয়ে যায়।
Some hides the Rainbow in them,
some hides the Light....
I hide the Darkness of mine,
which is so alive....
Sometimes it screams,
sometimes it flies,
Its a Big scary shadow in depths of nighttt...
It scares me,
drives people away from my side...
its hollow and empty
it screams for life....
I wait and wait
searching for a light...
and cling for hope
with all my might..
অন্ধকারে নিজের ছায়া দেখে চমকে উঠি, নিজের ভিতর লুকিয়ে রাখা আধারগুলো না ছায়া হয়ে সামনে এসে পড়ে। আলোর মুখোশ পরে লুকিয়ে রাখি নিজের অন্ধকার। মিথ্যে আলোর ভালোবাসা ছড়িয়ে বেড়াই অনর্গল। সেখানে হাত বাড়ালেই পুড়ে ছাই। কিছু ব্যাথার প্রলেপ ছাড়া বাকী সব ফিকে।
নিজের পুরো সত্তাকে অপরিচিত লাগে। খুব দ্রুত বদলে যাই। নিজের বদলে যাওয়ার সাথে নিজেই তাল রাখতে পারিনা। ভালোলাগা ভালোবাসা সব পুরাতন অনুভুতি, এখন দিন কাটে ভালো না লাগা নিয়েই। রাত নামে, রাত কাটে। ভবিষ্যতের আমিকে হাতড়ে বেড়াই। কিছু নেই ওখানে, নিরন্তর আধার।
মেঘ আর মেঘ
চারদিকে শুভ্র মেঘের মেলা
তার ঠিক নিচেই ছোট্ট একটা নদী।
নদীতে পা ডুবিয়ে বসে থাকে মেঘলা মেয়ে। নদীর চারপাশ জুড়ে সবুজ ঘাসের ঢেউ।
নদীর নীল জলে মেয়েটির মেঘ কালো চুলের ছায়া, লাল শাড়ি ছোট্ট ফুলের মতো ফুটে থাকে সবুজের মাঝে।
নদীর টীড় ঘেষে ছুটে যায় মায়া হরিণ, মুগ্ধ হয়ে দাড়িয়ে পড়ে এলোচুলের মেয়েটির দিকে তাকিয়ে। মেয়েটিও চোখ তুলে তাকায়, মেয়েটার বড় বড় কালো চোখে এক সমুদ্র জল। হরিণটা পায়ে পায়ে এগিয়ে যায়, মেয়েটাও অসীম আবেগে ছুয়ে দেয় মায়া হরিণের গাল।
ফোটা ফোটা অশ্রু বিন্দুয় শুভ্র মেঘগুলো শুভ্র থেকে শুভ্রতর হতে শুরু করে।
হরিণের গলা জড়িয়ে মেয়েটা বসে থাকে ফুসে উঠা আকাশের নিচে।
উত্থাল পাতাল ঝড় এসে ভাসিয়ে নেয় চারদিক।
ফিসফিস করে মেয়েটা বলে "আমি কখনোই আকাশটা চাইনি। আমার সারাজীবন আমি শুধু তোমার প্রতীক্ষা করেছি.....

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...