Thursday, December 28, 2017


আমার অনুভুতিগুলো আমি ঠিক বোঝাতে পারিনা কখনোই, অনুভুতিগুলো আমার কাছে অদ্ভুত সব রঙের মিশ্রণ । শব্দ দিয়ে বোঝানোর চেয়ে আমি বোধহয় রঙ জড়িয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি বেশী ।
তোমার সাথে দেখা হওয়ার সময়গুলো আমার কেমন যেন বেগুণী রঙের লেকে ছোট ছোট হালকা গোলাপী ফুল ভাসার মত মনে হয়। সময়টা যখনই হোক আমার আকাশ জুড়ে তখন অদ্ভুত নীল জ্যোৎস্না । হাত দিয়ে পানি নেড়ে দেই, কাচের ওপারটায় তোমার ছায়া। আমার জগত জুড়ে নেমে আসে স্নিগ্ধ চাঁদের আলো। চাঁদের আলো আমার যে কি ভীষণ প্রিয় তুমি কি জানো ?

সেদিন ক্লাসে জিজ্ঞেস করেছিল তোমার হোমল্যান্ডে সবচেয়ে সুন্দর কি? আমি বলেছি মুনলাইট নাইটস। খুব অবাক হয়ে বলেছে চাদতো পৃথিবীতে সেমটাই, এটা আলাদাভাবে সুন্দর হয় কি করে! আমি বলেছি না আমার হোমল্যান্ডের চাঁদের আলো অন্যরকম, এটা পৃথিবীর আর কোথাও নেই। ওখানে চাঁদ খুব আলতো করে আমাদের ছুয়ে যায়, আর কোথাও চাঁদ নেমে আসেনা ঘরের চালে। জেজ্ঞেস করেছে এরচেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই? না এরচেয়ে সুন্দর কিছু পৃথিবীর কোথাও নেই।

অথচ সেই আমারই তোমার সাথে দেখা হলেই আমার চারপাশটা জোছনা হয়ে উঠে, আমার সাধারণ পৃথিবীটা হয়ে উঠে অন্যভুবন। আমি জানি আমি ঠিক করে ভালবাসতে পারিনা, ভালবাসার কথাও বলা হয়না আমার হুটহাট তারপরো হঠাৎ হঠাৎ তোমায় ছড়ে দূরে থাকার কষ্টটা সব এলোমেলো করে দেয় আমার। আমার অন্যভুবনটায় তুমি ছাড়া আর কেউ নেই ।
তোমার অন্যভুবনটায় কে থাকে?





Tuesday, September 26, 2017

আকাশের আয়নায় মুখ

কারণে অকারণে তার ঘরে উকি দেয়ার অভ্যাস,  অযথাই বারবার তার বইগুলো হাতড়ানো সবই ঠিক ছিল। তখনো জানিনি আমি, ওই অদ্ভুত হাসির ছেলেটার জন্যই সর্বনাশের ঘন্টা একদিন বেজে উঠবে আমার....

তার দুঃখগুলো কিছু জানা ছিল, ছিল অনেক অজানাও - তার দুঃখ ছুয়ে দেখার ওই বেয়াড়া  কৌতুহলটাই পায়ে পায়ে এগিয়ে সব ফেরার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল আমার। কে জানতো, ওই নিঃস্ব মানুষটার কাছ থেকেই একদিন ফিরতে হবে আমার রিক্ত হাতে।

সারাক্ষণ কথা বলি আমি, এ নিয়ে তার হাসির অন্ত ছিলনা। আমার ঠিক উলটো সে, আমি সারাক্ষণ কথা বললেও তার মুখে মৃদু হাসি আর মাথা ঝাকানো ছাড়া উত্তর আসতো খুব কম। অথচ এই চুপচাপ মানুষটাই একটু একটু করে দখল করে নিয়েছিল আমার হ্রিদয়ের সবটুকু। হুট করে সামনে এসে যেদিন আমায় অপমান হতে বাঁচালো, আমি সেদিনই জানলাম তার জালে আটকা পড়ছি আমি একটু একটু করে।

সেদিনের পর থেকেই কেন যেন, সব বিপদেই ফিসফিস করে তাকে ডাকার অভ্যাসটা হয়ে গেল আমার। সবাই বলতো স্লানের পর অপূর্ব সুন্দর দেখায় আমাকে- তাই স্লানের পর লম্বা চুলগুলো ছড়িয়ে দিয়ে নানা এক্সিউজে হাজির হতাম তার সামনে। তার একটু মুগ্ধ দৃষ্টি দেখবো বলে,কিন্তু কোথায় কি তার মুগ্ধ দৃষ্টি আটকে থাকতো মোটা মোটা বইয়ের পাতায়। এত রাগ হতো আমার, প্রায়ই ভাবতাম বইগুলো ছিড়ে কুটি কুটি করে নালায় ফেলে দিয়ে আসবো।

একবার কি নিয়ে রাগ করে কেঁদে ফেলেছিলাম তার সামনে। সে বই ফেলে খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল অনেক্ষণ। আমি ছুটে বেরিয়ে এলাম। পুরো শরীর জ্বলছিল আমার। সারারাত প্রচন্ড অস্থিরতায় ছটফট করেছি। পরের দিন দেখা হতেই বুঝলাম তার মনে নেই আমার গতদিনের কান্নার কথা।

নিজেকে ভীষণ ছোট মনে হতে থাকলো আমার- তার সাথে দেখা হলেই রেগে যাই। তারপর নিজের উপর রাগ হয়। এমন কেন আমি? তারপর এক মেঘলা দুপুরে কেমন যেন কি ঘটে গেল আমার মাঝে। কি ভেবে চোখে কাজল পরলাম, ঠোটেও রঙ লাগিয়ে ছিলাম বোধকরি। চুলে বিশাল সাদা মালতীর থোকা, দু হাতে রূপালী চুড়ি। অপটু হাতে শাড়িও পরেছিলাম কি ভেবে, তারপর ছুটে গেলাম তার কাছে। কি অদ্ভুত ব্যাপার সে ভয় পেয়ে গেল আমায় দেখেই। কেমন যেন কাপা গলায় আমায় ফিরে যেতে অনুরোধ করলো। আমি তীব্র গলায় বললাম" না আমি ফিরবো না"।

সে আর কিচ্ছু বলেনি, বাইরে ঝমঝম বৃষ্টি। হাটুতে মাথা রেখে পুরো সময়টা চুপচাপ বসে ছিলাম আমি। এতোটা ঝড় বুকে নিয়েও উচ্চারণ করতে পারিনি একটি শব্দও । সে হয়তো বুঝতে পেরেছিল, আচ করতে পেরেছিল কিছু তাইতো একটু একটু করে দূরে সরিয়ে নিয়েছিল নিজেকে।

বাবার কাছে কি বলেছে জানিনা, পরদিন বাবা আমাকে ডেকে অনেক্ষণ তার মানসম্মান নিয়ে জ্ঞান দিলেন। বললেন এমন যখন তখন কারো ঘরে যেতে হয়না। তারা খারাপ ভাবে।

নিজের মাত্রাহীন অভিমানের কাছে হেরে গিয়েছিলাম অনেকটা- আর ফিরে যাইনি মোটা মোটা বইয়ের ছোট্ট ঘরটায়। 

Wednesday, June 28, 2017

#An_Women's #heart   (1)

Why do you love me? The answers were always because you understand me very well/you are so cute/you always listen to me.
It was never "because I understand you the most/you are you/I cant breath without you by side...

I have always longed to hear someone saying "you cant live without me or I understand you more than anyone else that's why I cant let you go..it was always the other way around. I felt so incredibly lonely each time I heard those words... There was no one who thought  I am a girl who needs to be loved just for being who I am...

They don't love me for who I am, they loves the me who tries to be what they want...
I feel so lonely,ugly and ever so unwanted...

Tuesday, June 20, 2017

অর্ককে নিয়ে আমার গল্পটা দুঃখের, অনেকগুলো রঙের...

সেবার ক্লাসে এক ছেলেকে নাম্বার দিয়েছিলাম বলে ওর সেকি রাগ। ওর রাগটাও ছিল ভালবাসার মত ভীষণ তীব্র। আমার যে লম্বা চুল ওর সবচেয়ে প্রিয় ছিলো, সেটাই কাটতে চাইলো । সব কেটেছে যে তা কিন্তু না, একটু কাচি লাগাতেই ওর চোখ ভর্তি জল। (পরে জেনেছিলাম ছেলেটার আমার প্রতি ইন্টারেস্ট ছিল বলেই অর্ক এত ক্ষেপেছিল)

ওর রাগ পড়ে গেল, কিন্তু আমার রাগের তখন মাত্র শুরু।  এর পরের এক সপ্তাহ ওর সাথে কথা বলাতো দূর থাকুক ওর চেহারা দেখতেও রাজী ছিলাম না আমি। কিন্তু সত্যি বলতে কি রাত হলেই আমার ভীষণ কষ্ট হতো। ওকে একবার দেখার অদম্য ইচ্ছেটা ভয়াবহ কষ্টে চেপে রাখতাম। শুধু মনে হতো আমরা দুজন বুঝি পৃথিবীর দু প্রান্তের মানুষ হয়ে গেছি।
এক সপ্তাহ পর দেখি অর্ক ন্যাড়া মাথায় বাসার সামনে ঘুরঘুর করছে। ওকে কাছ থেকে একবার দেখার ইচ্ছেটা কিছুটেই চেপে রাখতে পারলাম না। খুব যত্ন করে চোখে কাজল দিলাম, কালো পাড়ের সাদা শাড়ির প্রতিটা কুচিই গুণে গুণে বসালাম। ব্যাগটা কাধে ঝুলিয়ে গেটের বাইরে রাখতেই অর্ক ছুটে এসে হাত চেপে ধরলো। বললো দেখ তোর চুলে কাচি ছোয়ানোর শাস্তি আমি নিজেই নিজেকে দিয়েছি। তুই আমার দিকে তাকা, আর একদিন এমন থাকতে হলে আমি কিন্তু মরে যাবো বলছি। সত্যি বলছি আমি মরে যাবো।

জল ছলছল চোখে আমি মুখ তুলতেই অর্ক আমার হাত ধরে ঝরঝর করে কাঁদতে লাগলো। এই পাগলকে নিয়ে আমি কোথায় যাবো?!  আমার চোখে একটু জল দেখলেই অর্ক পাগল হয়ে উঠতো। আমি শুধু ভাবছিলাম আমার কিছু হলে পাগলটাকে দেখবে কে! কেমন করে বাচবে ও? আমার কিছু হয়নি। আমি দিব্যি বেচে আছি, শুধু ও নেই কোথাও। অর্ককে ছাড়া আমি বেচে আছি, কতগুলো দিন, কতগুলো বছর। কেমন করে মানুষ নিজের আত্মা ছাড়া বেচে থাকে নিজেকে না দেখলে কখনোই বুঝতে পারতাম না আমি।

অর্ক আমার অর্ক...  অর্ককে নিয়ে লিখতে গেলে হাজারো গল্প হাহাকার  হয়ে আমার সামনে ভেসে থাকে। চলে যাওয়ার এতগুলো দিন পরও আমার সবটা জুড়ে শুধু অর্কই বাঁচে।

Wednesday, June 7, 2017

জাহিন একবার বলেছিলোআমি বড় হয়েছি পাহাড়ে আর সাগরে আমার যে কি ভীষণ হিংসে হয়েছিলো খুব ইচ্ছে হয়েছিলো জানতে সমুদ্রের একটা বাড়ি  নিতে কি লাগে ! আমার প্রায়ই মনে হয় সমুদ্রের কাছে বড় হওয়া, নদীর কাছে / পাহাড়ের কাছে বড় হওয়া মানুষগুলো অন্যরকম হয় আমি নিজে বড় হয়েছি চার দেয়ালে বন্দী হয়ে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি থাকা কখনো হয়নি আমার- তবুও সমুদ্র আমার কাছে নেশার মত কে জানে হয়তো সবার কাছেই সমুদ্র নেশার মত , আমার ছোট ভাই টাকে দেখি পাগলের মত সমুদ্রের কাছে ছুটে যেতে চায়

সমুদ্র কি আমাদের বুঝতে পারে ? আমার কেন যেন মনে হয় সমুদ্র বোধহয় বুঝতে পারে আমরা কি বলি সমুদ্রকে চিৎকার করে জানাতে হয়না সব, কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললেই হয় সমুদ্র মন দিয়ে সব কথা শোনে ঢেউয়ের গর্জনে জানিয়ে দিতে চায়হে মানব সম্প্রদায় যুগযুগ  ধরে আমি তোমাদের সব দুঃখ নিজের বুকে ধারণ করেছি , এখনো করবো    
শান্ত হও মেয়ে, পৃথিবীর কোন দুঃখই চিরস্থায়ী না


অদ্ভুত শোনালেও সত্যি সমুদ্রের কাছে গেলে জাগতিক সব দুঃখ অর্থহীন মনে হয়  
She was so fragile, yet so very precious …
I was scared of holding her tight, scared of letting her go ……
She seemed breakable, but her mind was stronger than mine…
She stood alone and proud, without looking away…
Drowned in her eyes, I decided to play ..
But…  
Her fate was bound to me, and my soul to hers …
She was me, I was her ..

the broken pieces together …

Friday, April 7, 2017

 মনের দূরত্ব দিন দিন বাড়তেই লাগলো। ওর অনুভুতি কি ছিলো আমি জানিনা, নিজে দিন দিন দূরে সরে যাচ্ছি জানি। হয়তো ওর অনুভুতিগুলোও একই, থেমে গেছে ভালোবাসার ভয়ংকর আবেগ। এখন আর হুটহাট ভালোবাসী ভালোবাসি বলে আগের মতো চমকে দেয়না।
সীমাহীন আবেগ, ভালোবাসার উষ্ণ বিকেলগুলো হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন আর ব্যাথার গল্প সুখের গল্প কোনটাই বলা হয়না ওকে আর। ও নিজেও বলেনা আমাকে আর কিছু।

আমি ধীরে ধীরে ঝুকে পড়ছি অন্য কারো উপর।  যে মানুষটা এখন শুনছে আমার সব গল্প, থাকছে পাশে ব্যাথার সময়গুলো। অস্বীকার করতে পারবোনা, একসময় পাগলের মতো ভালোবেসেছি আমি ওকে। কিন্তু পাশে চাইতে চাইতে আর না পেতে পেতে আমিও ক্লান্ত। এখন আর আবেগটা আগের মত ঝড় হয়ে ছড়িয়ে পড়েনা। তবে আমি জানি আমার শীতল নদীর পাশে এখন বসে থাকে অন্য কেউ, শান্ত একজন মানুষ। হুটহাট করে ছুয়ে দেয় জল। নিজের অজান্তেই কখন এই ছুয়ে দেয়া  মুহুর্তগুলোর অপেক্ষা করতে শুরু করেছি জানিনা।

ওর পাশেও কি অন্য কেউ!  মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ জানতে ইচ্ছে করে খুব। আমাকে একটু একটু করে দূরে যেতে দেয়ার মুহুর্তগুলোয় কি বুকের ভিতরটা একবারও কেপে ওঠেনি ওর?! ভালোবাসা কি বদলে যায়?  হারিয়ে যায়?  ঠিক বুঝতে পারিনা। তবে আমার প্রায়ই মনে হয়,একিভাবে দুজন মানুষকে ভালবাসা যায় না।
আমরা যখন দ্বিতীয় জনকে ভালবাসী তখন ভালবাসা অনেক্ষানি বদলে যায়। যে  হাতে তার আঙুল ধরে নির্ভরতা খুজে পেতাম একসময় সেই আঙুলের স্পর্শে এখন শুধু অস্বস্তি। সুখ কল্পনা আর গানের সুরেও গুনগুনিয়ে উঠছে অন্য কারো প্রতিচ্ছবি।

অথচ ভালোবাসা ভীষণ পবিত্র হওয়ার কথা ছিলো, আমরণ আবেগ হওয়ার কথা ছিলো। ভালবাসার কখনো বদলে যাওয়ার কথা ছিল না।  ভালবাসা শুধুই ভালবাসা হওয়ার কথা ছিলো।

(সব মিথ্যে... ছেড়ে যাওয়া বা বদলে যাওয়ার জন্য কখনো কোন এক্সিউজ থাকেনা। এক্সিউজগুলো আমরাই বানিয়ে নেই নিজের সুবিধার্থে।)

আমাদের ভালবাসাটা কেমন যেন,
অন্য সবার মত হয়না।
আমাদের দেখা হয়না বহুদিন,
কথা হয়না অনেকগুলো রাত...

হঠাৎ করেই একদিন কথা হয়ে যায়,
পতঙ্গের মতো আগুণে ঝাপ দেয়া ছাড়া উপোয় নেই আমরা জানি।
তাও ছুটে আসি, উড়ে আসি...

আমাদের ভালবাসাটা কেমন যেন,
ভালবাসী বলা হয়না কখনোই।

তারপরো আমরা জানি-
আর কেউ নেই এতোটা কাছে,
আর কারো প্রবেশে বিন্দুমাত্র অনুমতি নেই।

Tuesday, February 21, 2017

আমার যত গল্প আছে,
তোমার কাছে রেখে দিও,
জোছনাতে সাজিয়ে নিও,
আমায় তোমায় করে নিও....

আমার যত কথা আছে,
তোমার কাছে লুকিয়ে রেখো,
ভালবাসায় জমিয়ে রেখো,
অনুভবে ছুয়ে থেকো....

আমার যত কথা  গল্প,
তোমার শুধু,  শুধু তোমার করে,
মনের ভুলে হঠাৎ হঠাৎ
ভালবেসে আমায় ডেকো.... 

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...