আমার অতিরিক্ত প্রিয় বান্ধবীটির নাম নীলু । ওর সাথে আমার প্রথম পরিচয় ক্লাস ফোরে , কিন্তু ক্লাস টেন পর্যন্ত আমরা মোটামোটি একজন আরেকজনকে দুচোখে দেখতে পারতাম না :P কে জানে ক্যারেক্টারে অনেক মিল ছিল বলেই হয়তো । এরপর কেমন করে যেন হঠাৎ খুব কাছে চলে এলাম, আমি নিজেও জানিনা আমার বন্ধুত্বের শুরুটা ঠিক কোথায় । এরপর শুরু দুজন একসাথে ক্লাস পালানো । ফ্যক্টরির পিছনে লুকিয়ে আইস্ক্রিম খাওয়া, কাছে দূরে সব রাস্তায় একসাথে সারাদিন ঘুরে বেড়ানো । ক্লাস বন্ধতো কোন জায়গা ঠিক করে দেখা করা , সব মিলিয়ে স্মৃতিগুলো এতো মধুর মনে হয় যে খুব অল্প সময় বুঝি কাছে ছিলাম ওর । ক্ষনিইকে যেন আমাদের পাশে থাকার সময়টা পুরিয়ে এলো।
ইন্টার পরীক্ষা শেষ দুজনেই ঢাকা ভর্তি হবো খুব স্বপ্ন নিয়ে বসে আছি । একসাথে থাকার জন্য হোস্টেলে সিট নিয়ে নীলু ঢাকায় চলে গেলো কিন্তু বেকে বসলো আমার পরিবার, কিছুতেই রাজি নেই আমাকে ঢাকা পাঠাতে । সপ্তাহ ক্ষানেক কান্নাকাটি চেঁচামেচি সব শেষে আমি বুঝতে পারলাম কিছুতেই লাভ নেই, হাল ছেড়ে দিলাম । খুব অদ্ভুত ব্যাপার হলো ১৫ দিনের মাথায় নীলু কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা থেকে ফিরে এলো । বলল যে কিছুতেই থাকতে পারবেনা আমাকে ছাড়া । আমিতো খুশীতে লাফাচ্ছি ও যে নিজের সমস্যা করে ফিরে এসেছে এটা আমার মাথায়ই ঢুকলোনা । একসাথে থাকবো এরচেয়ে বড় কিছু নেই ভেবে সারাক্ষনই দুজন ফোনে কথা বলছি আর হাসছি ।কিন্তু আবারও সমস্যা বাধালো আমারি পরিবার । আমাকে চিটাগাং পাঠিয়ে দিল কোচিং করতে, একদিকে বাবুন ময়না অন্যদিকে নীলু সব ছেড়ে আমাকে যেতে হয়েছে কাঁদতে কাঁদতে গেলাম। ভাগ্যটা ভালই ছিল যেখানে ভর্তি হলাম রুমমেট , পাশের রুমের আপু সবাই মানুষ হিসেবে অসাধারণ ভাল। অনেক বেশী আপন করে নিলেন আমাকে প্রথমবারেই, ওদের কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে নিজেকে শান্ত করতে পারলাম । দেখা হলো তমার সাথে , প্রথম বারেই বন্ধুত্ব হয়ে গেল আমাদের । এরপর শুরু নীল পাখি আর মেঘবালিকার ক্লাস মিস করে সারাদিন বাইরে ঘুরাঘুরি - পারলাম নিজেকে মানিয়ে নিতে । নীলু আর বাবুন ময়নার জন্য কষ্টটা কখনোই কমেনি তারপরও সব সহ্য করতে পারতাম তমা, ববি আপু, মুন্নী আপু - থিনথিন ময়না আরো দু একটা ছোট বোন পাশে থাকায় । অনেক ভালবাসী এই মানুষগুলোকে এখনো, একসাথে না থাকলে নাকি বুঝা যায়না কে কেমন কিন্তু আমরা অনেকদিন একসাথে ছিলাম এরপরও জোর গলায় বলতে পারি এত্ত অসাধারণ মানুষ কমই আছে ।
তারপর নীলু আবার ফিরে গেল ঢাকায় । ও পড়ালিখা শুরু করলো, আমি বাড়ি গেলেও আমাদের আর আগেরমত দেখা হয়না । ভীষণ মিস করতাম সবকিছু - এরমাঝেই ফিরে এলাম আমি কুয়েত দূরত্বটা আরো বাড়লো ।কিন্তু সত্যি বলতে মনের দূরত্বটা কখনোই ছিলনা আমাদের মাঝে - ইন্টারের সময়কার মত হয়তো সারারাত জেগে কথা হতোনা, আড্ডা দেয়া হতোনা এরপরও অদৃশ্য কোন বাধন আমাদের মাঝে সবসময়ই ছিল, এখনো আছে । আমি রাগ করি ওর উপর আবার ওর ছোট্ট একটা মেসেজ পেলে মন এতো ভাল হয়ে যায় - ক্লাসে যখন একসাথে ছিলাম আমি কোন দুষ্টামি করলে যখন কেউ অভিযোগ করতো যে ও এমন করেছে, নীলু দেখলেও সাথে সাথে দাঁড়িয়ে বলতো যে অসম্ভব ও এমন কখনোই করেনি আমি নিজে ওর সাথে বসে ছিলাম ^_^ সব শাস্তি থেকে বেচে যেতাম আমি । এখন ক্লাসে গেলেই এতো বেশী মিস করি, মনের অজান্তেই চোখের কোণে পানি জমে। ও অন্য কোন মেয়ের সাথে একটু হেসে বন্ধুত্ব করতে গেলে খুব বিরক্ত হতাম আমি, ওর বেলায়ও সেম ছিল । রাগে গা জলতো :P পরে বলতাম একজন অন্যজনকে , তোমারত খুব ভাল লেগেছে নতুন বান্ধবী পেয়ে। আমার কথা কি আর তোমার মাথায় আছে !
এই কয়েকদিন ওকে তুলনায় একটু বেশীই মিস করছি। মনে হচ্ছে আমি দেশে যেতে যেতে যদি ওর বিয়ে হয়ে যায় তাহলে আমাদের এমন একসাথে মজা করা আর কখনোই হবেনা। এত্তো দূরে চাইলেও চোখের দেখাও দেখতে পাইনা আমার অসম্ভব ভালবাসার এই বান্ধবীটাকে । এখনো আগের মতই ভালবাসি আর মিস করি প্রতিমুহূর্তে ।
ইন্টার পরীক্ষা শেষ দুজনেই ঢাকা ভর্তি হবো খুব স্বপ্ন নিয়ে বসে আছি । একসাথে থাকার জন্য হোস্টেলে সিট নিয়ে নীলু ঢাকায় চলে গেলো কিন্তু বেকে বসলো আমার পরিবার, কিছুতেই রাজি নেই আমাকে ঢাকা পাঠাতে । সপ্তাহ ক্ষানেক কান্নাকাটি চেঁচামেচি সব শেষে আমি বুঝতে পারলাম কিছুতেই লাভ নেই, হাল ছেড়ে দিলাম । খুব অদ্ভুত ব্যাপার হলো ১৫ দিনের মাথায় নীলু কাঁদতে কাঁদতে ঢাকা থেকে ফিরে এলো । বলল যে কিছুতেই থাকতে পারবেনা আমাকে ছাড়া । আমিতো খুশীতে লাফাচ্ছি ও যে নিজের সমস্যা করে ফিরে এসেছে এটা আমার মাথায়ই ঢুকলোনা । একসাথে থাকবো এরচেয়ে বড় কিছু নেই ভেবে সারাক্ষনই দুজন ফোনে কথা বলছি আর হাসছি ।কিন্তু আবারও সমস্যা বাধালো আমারি পরিবার । আমাকে চিটাগাং পাঠিয়ে দিল কোচিং করতে, একদিকে বাবুন ময়না অন্যদিকে নীলু সব ছেড়ে আমাকে যেতে হয়েছে কাঁদতে কাঁদতে গেলাম। ভাগ্যটা ভালই ছিল যেখানে ভর্তি হলাম রুমমেট , পাশের রুমের আপু সবাই মানুষ হিসেবে অসাধারণ ভাল। অনেক বেশী আপন করে নিলেন আমাকে প্রথমবারেই, ওদের কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে নিজেকে শান্ত করতে পারলাম । দেখা হলো তমার সাথে , প্রথম বারেই বন্ধুত্ব হয়ে গেল আমাদের । এরপর শুরু নীল পাখি আর মেঘবালিকার ক্লাস মিস করে সারাদিন বাইরে ঘুরাঘুরি - পারলাম নিজেকে মানিয়ে নিতে । নীলু আর বাবুন ময়নার জন্য কষ্টটা কখনোই কমেনি তারপরও সব সহ্য করতে পারতাম তমা, ববি আপু, মুন্নী আপু - থিনথিন ময়না আরো দু একটা ছোট বোন পাশে থাকায় । অনেক ভালবাসী এই মানুষগুলোকে এখনো, একসাথে না থাকলে নাকি বুঝা যায়না কে কেমন কিন্তু আমরা অনেকদিন একসাথে ছিলাম এরপরও জোর গলায় বলতে পারি এত্ত অসাধারণ মানুষ কমই আছে ।
তারপর নীলু আবার ফিরে গেল ঢাকায় । ও পড়ালিখা শুরু করলো, আমি বাড়ি গেলেও আমাদের আর আগেরমত দেখা হয়না । ভীষণ মিস করতাম সবকিছু - এরমাঝেই ফিরে এলাম আমি কুয়েত দূরত্বটা আরো বাড়লো ।কিন্তু সত্যি বলতে মনের দূরত্বটা কখনোই ছিলনা আমাদের মাঝে - ইন্টারের সময়কার মত হয়তো সারারাত জেগে কথা হতোনা, আড্ডা দেয়া হতোনা এরপরও অদৃশ্য কোন বাধন আমাদের মাঝে সবসময়ই ছিল, এখনো আছে । আমি রাগ করি ওর উপর আবার ওর ছোট্ট একটা মেসেজ পেলে মন এতো ভাল হয়ে যায় - ক্লাসে যখন একসাথে ছিলাম আমি কোন দুষ্টামি করলে যখন কেউ অভিযোগ করতো যে ও এমন করেছে, নীলু দেখলেও সাথে সাথে দাঁড়িয়ে বলতো যে অসম্ভব ও এমন কখনোই করেনি আমি নিজে ওর সাথে বসে ছিলাম ^_^ সব শাস্তি থেকে বেচে যেতাম আমি । এখন ক্লাসে গেলেই এতো বেশী মিস করি, মনের অজান্তেই চোখের কোণে পানি জমে। ও অন্য কোন মেয়ের সাথে একটু হেসে বন্ধুত্ব করতে গেলে খুব বিরক্ত হতাম আমি, ওর বেলায়ও সেম ছিল । রাগে গা জলতো :P পরে বলতাম একজন অন্যজনকে , তোমারত খুব ভাল লেগেছে নতুন বান্ধবী পেয়ে। আমার কথা কি আর তোমার মাথায় আছে !
এই কয়েকদিন ওকে তুলনায় একটু বেশীই মিস করছি। মনে হচ্ছে আমি দেশে যেতে যেতে যদি ওর বিয়ে হয়ে যায় তাহলে আমাদের এমন একসাথে মজা করা আর কখনোই হবেনা। এত্তো দূরে চাইলেও চোখের দেখাও দেখতে পাইনা আমার অসম্ভব ভালবাসার এই বান্ধবীটাকে । এখনো আগের মতই ভালবাসি আর মিস করি প্রতিমুহূর্তে ।
No comments:
Post a Comment