Sunday, October 30, 2016

ক্ষুদ্রতায় শেষ সীমায় পৌছে যাওয়া মেয়েটার অনুল্লিখিত অভিযোগগুলো চোখের কোনায় জল হয়ে জমতে থাকে।
বহুদিন সে চোখে সূর্যোদয়ের ছায়া পড়েনা,  হাত বাড়িয়ে ছুতে চাওয়ার ইচ্ছেটাগুলোও বোধহয় মরে যায় হুট করে।
ভাঙনের শব্দটা ক্ষীণ, কান পেতে না শুনলে শোনা যায়না কিছুতেই ..
 প্রতিদিনের দেখা,  ঠোটের কোণে হাসি -বুকের ভিতর মাতাল ঝড়।  কি সহজেই না বদলে দিলো সব। কোন ছন্দ নয়, সহজ একটা বাক্য "ভালো আছেনতো?  না আমি ভালো নেই। একদম ভালো নেই আমি, সব বদলে গেছে আমার। আমার ভিতরটা লন্ডভন্ড করে দিয়েছেন "আপনি"। গলার কাছে দলা পাকিয়ে জমাট হয়ে বিধে একটুকরো কান্না।
কনিষ্ঠায় থাকা লাল রঙের সুতোর ওপাশটায় এখন কার আঙুল?  নতুন কেউ? নাকি পুরনো ভালোবাসার ভুলে থাকা খেয়া?

মনে মনে হাজার কথা হয়, কখনো কখনো লাজুক মুখে তুমি ডেকেই সুর্যটাকে অদ্ভুত কমলা হয়ে উঠতে দেখা।  আপনি,তুমি,আমি আমরা সব ভীষণ গোলমেলে....

কি যেন নেই, কি যেন নেই এর উত্তরটা হঠাত করেই বদলে গেল, কি যেন নেই না ওখানে শব্দটা তুমি নেই হবে। আধবেলার চোখের আড়াল, পৃথিবীটা অসহ্য লাগে আমার। তুমি নেই মানে আমার কোথাও কেউ নেই জানো? 

Friday, September 16, 2016


সময়টা বোধহয় বেশ আগের। হলদেটে ডাইরীর আধভাঙা পৃষ্টাগুলোও হারিয়ে ফেলছে স্মৃতি। আমিও একটু একটু করে ভুলতে বসেছি সব।
ফেলছির মতো সহজ বানানগুলোও আজকাল আর মাথায় আসেনা আগেরমতো।  সব মুছে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।

ওর চেহারাটা ঠিক মনে করতে পারিনা আর। কি ভালো লাগতো?  কি জানি! তখনও চোখ বন্ধ করে ওর চেহারাটা ঠিক আকতে পারতাম না মনের ভিতর। শুধু এইটুকু মনে পড়ে ওর হাসি, ওর চুল সব আমার বুকের ভিতর কোথাও যেন খুব গভীরে ক্ষত তৈরী করে দিতো।  খুব করে চাইতাম ওই মাথাটা শক্ত করে বুকের ভিতর চেপে ধরে ওর সব শূন্যতা দূর করে দিতে?নাকি নিজের শূন্যতা পুরণ করতে!! ওকে কখনো বলা হয়নি , বলতে পারিনি এইসব অদ্ভুত আবেগের কথা।  তাই বোধহয় এতোটা ফাকা লাগে নিজের ভিতরটা। কি যেন নেই।  কোথাও বিশাল এক ব্ল্যাক হোল। ওর দিকে আমি ঠিক করে কখনো তাকাতে পারতাম না। দু চোখ ভিজে উঠতো আমার অকারণেই। বিকেলের কমলা রোদ গাছের পাতা ছুয়ে ওর চুলে নেমে আসতো। আমার শুধু অকারণেই ভীষণ কান্না পেতো। রোদ কেন ছোঁবে ওকে আমার আগে!!

আজ এতোগুলো সময় পেরিয়ে এখনো আমার যত একাকীত্ব,বিষন্নতা সবটা জুড়েই কোথাও যেন ও থেকেই যায় । আমি যত দুরেই পালাই, আমার মুক্তি নেই।

Friday, September 2, 2016

সেদিন না আমার সন্ধ্যারাত হঠাৎ করেই কেমন যেন বদলে গেলো....
তারাগুলো বিশাল বড় আর রুপোর মতো আলো জুড়ে পুরোটাই তুমি....
বর্ষার বাধভাঙা বৃষ্টি ভীষণ আস্তে করে কানে কানে বলতে শুরু করলো তোমাকে তাদের কি ভীষণ দেখতে ইচ্ছে। আমিতো কিছুতেই রাজী হলাম না, শুধু কেদেই গেলাম-কেদেই গেলাম। তোমার কথা ভাবলেই চোখে জল জমে আমার, লালনীল বেগুনী দারুণ সব আলো।  প্রিথিবীটা অদ্ভুত হয়ে গেলো। এই রঙ এই ধুসর, সবুজ রঙের গাছগুলো আরো ঘাঢ় সবুজ হয়ে উঠলো।  আকাশটা কি আগেও এতো নীল ছিলো!

হুট করে এতো প্রজাপতি এলো কোথথেকে!  রঙ্ধনুর সাতরঙ অথচ আমার কি আবেগেই না  সাত এর বদলে সব ১৭ হয়ে উঠলো। প্রেমিকের ডাকে ছুটে আসা কোন জলকন্যা বাশীর শব্দ নাকি ঝড় তোলা সমুদ্রের উত্তাল ভালোবাসার অতৃপ্ত ক্রন্দন- কোনটা আমার বেশী চাই বুঝতে পারিনা।  শুধু আমার দেহের সব রক্তকণিকা চিৎকার করে বলে " তাদের তোমাকে চাই-তোমাকে চাই। তোমার পুরোটাই সব আমার চাই।  তোমার কথা, তোমার সুর, তোমার চোখ, তোমার ঠোট।  সব আমার সব আমার।

কেউ জানেনা সে সব অনুভুতির কথা, কেউ জানেনা তুমি চুলে হাত দিলে আমার বুকের ভিতরটা খিচড়ে উঠার কথা, কেউ জানেনা তুমি হাসলে আকাশের তারা সব মাটিতে নেমে আসার কথা। শুধু আমিই জানি, আমি একলাই জানি তোমার জন্য আমার সব মাতাল ভালোবাসার কথা...

Wednesday, August 31, 2016

সবকিছুতেই আমার ভীষণ ভয় ।
একলা আমার ঘরে থাকার ভয়, নদীর জলে ছায়া দেখার ভয় ।
জোনাক আলোর স্পর্শতে ভয়- দখিন হাওয়ার বিকেলটাতেও ভয় ।
সব ভালোলাগা হুট করে পুরিয়ে যায় কেন !
আমরা বাহিরটাকে এতো ভালোবাসী ভিতরটাকে ভালোবাসী না কেন !!
আঘাতে আমার ভয়াবহ ভয় কিন্তু অপরিচিত তোমাতে আমার তারচেয়ে অনেক বেশী ভয় ...  

Saturday, July 23, 2016

কবে থেকে আমার গল্পগুলো হারিয়ে যেতে শুরু করলো জানো? ঠিক যেদিন উজ্জ্বল নীল আলোর বদলে অন্ধকার ঘরে র জানালায় চুপচাপ বসে থাকার অভ্যাসটা কঠিনভাবে ভিতরেগেথে গেলো।
সেদিন থেকে ভালবাসাগুলোও একটু একটু করে মিইয়ে গেলো বোধহয়।

 বাসতামতো, তখন বোধহয় খুব ভালবাসতাম।উত্থাল পাথাল আবেগও ছিলো ঝড়ের মতো। এখন না সব শুকিয়ে গেছে।
তোমার গল্প,তার গল্প- এর গল্প,ওর গল্প সব এক, সব গৌণ।শুধু আমার গল্পটাই মুখ্য। টুকরো টাকরা স্মৃতি।  ক্ষণিক ভালোলাগা,কিন্তু ফিরতে চাইনা আমি। আমার না এখন এই একলা জীবনটাই বেশ।

এইতো আছি মুক্ত পাখির মতো,দোতলা বাড়ির জানালার পাশে বসে  থাকা। উদ্ভট চিন্তাও আসেনা যে তা কিন্তু না-হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় লাফ দিয়ে নিয়ে পড়ে গেলে কেমন হয়। বকুলতলা খড়ের মাঠ, ঘণ কুয়াশা কিচ্ছু আর আমার ভাললাগেনা।
আমার শুধু ঘুমাতে ইচ্ছে করে, অনন্তকালের ঘুম। সব ভুলে যাওয়ার মতো ঘুম,সব দূরে যাওয়ার মতো ঘুম...

Tuesday, June 21, 2016

প্রবল আনন্দের মুহুর্তগুলো আর ভীষণ দুঃখ পাওয়ার বোধটা বোধহয় অনেকটাই এক।দুটোই বুকের ভিতর টা ফাকা করে দেয়। অদ্ভুত এক শুন্যতা ঘিরে ধরে চারদিক থেকে। মরে যাওয়ার ইচ্ছেটা হঠাৎ করেই প্রবল হয়ে উঠে....

চারপাশে এতো এতো মানুষ হেটে যায়, রঙবেরঙ এর ছোট বড় সব গাড়ি।  কেউ জানেনা বুকের ভিতর ফুসলে উঠা প্রবল ঝড়ের কথা। ছোট্ট বুকটা জুড়ে ধীরে ধীরে কুৎসিত হয়ে উঠার স্মৃতিগুলোও খাচায় বন্ধী থাকে অলিখিত নিয়মের আঙিনায়।

কেউ জানেনি মরে যাওয়া স্বপ্ন গুলোর এক এক করে অসম্ভব হয়ে উঠার গল্পটাও। দু চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করতে করতে তরুণীর ভেঙে পড়ার সময়টাও পাশে থাকেনি কেউ।

তুমি পাথর, অনুভুতিহীন - কি সহজেই না ছেলেটা সব বলে যায়।  মেয়েটাও শুকনো চোখে মাথা পেতে নেয় সব অভিযোগ। জানালার ওপাশে বিশাল নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে  থাকে শুন্য চোখে....

 হঠাৎ করেই মেয়েটার মানুষ থেকে যন্ত্র হয়ে উঠার গল্পটা কাউকে খুব বলতে ইচ্ছে করে।   
ধুলো জমতে থাকা পুরনো বক্সটা খুলে নেড়ে দেখা.... স্মৃতির আকাশ জুড়ে কাকগুলোর চিৎকার, সবুজ গাছগুলো সব ধুসর হয়ে উঠা সময়গুলো অস্থির হয়ে উঠে...পথিক তুমি কার? জুতোয় লেগে থাকা ধুলোর গন্ধের নাকি রোজ বিকেলে হেটে যাওয়া পথটার?  টাকাকে বিয়ে করা মেয়েটারো প্রশ্নটা খুব সরল ছিলো আমি কার?  অনেকগুলো দুঃখ ছিলো না পাওয়ার,  বুঝি তার? নাকি পরিচিত মুখগুলো চোখের সামনে বদলে যেতে দেখার আক্ষেপগুলোর। খুব সাধারণ কারো হাতের ছোয়া লেগে থাকা উপহার ঘিরে মিষ্টি কল্পনাগুলোর হওয়ার ইচ্ছেও ছিলো খুব । সব গেছে আজ ওটাও যাক না, স্বপ্নগুলোর অর্থ কি সবসময় এক থাকে!

বদলে যায় কদিন পরে থাকা জামার রঙও আর আবেগগুলো বদলাবে না কি করে ভেবেছিলো বোকা মেয়েটা! আংগুল ফুটো হওয়া মুজার দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে-আকাশের রঙওতো বদলে যায়। এতোটা দুঃখ পাওয়ার কি আছে? দুঃখগুলো জমা থাকুক নাহয় টিনের কৌটায়। শুধু ভালোবাসা লেগে থাকে সাদাকালোছবি, পথের ধারে চানাচুরওয়ালা, ছবিতে দেখা পাহাড় সমুদ্র, টুংটাং টুংটাং জলনুপুরের শব্দে. 
ভালবাসার অনুভূতিগুলো এত তীব্র হয় যে এই পথ ভুল বুঝার পরও ফিরে আসা যায় না । ভালবাসা দিন দিন বাড়তেই থাকে । জানি এখানে কিছুতেই না । কিছুতেই এখানে ঠিক হবে না । এই মানুষটার কাছে যাওয়া আমার কিছুতেই চলবে না । এই মানুষটার সাথে জীবন বাধলে জীবন এলোমেলো হয়ে যাবে , তারপরও সব ভাগ্য বদলে এই মানুষটার সাথেই জীবন কাটাতে ইচ্ছে করে ... 
মনে হয় ভাগ্য যা লিখে রেখেছে তাই হোক তারপরও এই মুহূর্তে পাশে থাকার চেয়ে আর বড় কিছু নেই ... মনে হয় পরে কি হবে জানিনা কিন্তু এখন এই সময়টা আমি ওর সাথেই পাশেই থাকতে চাই, ওর হাত ধরে ভালবাসি শব্দটা বারবার শুনতে চাই... 
আমরা এত অদ্ভুত কেন !

Monday, February 15, 2016

অর্কের জন্য গাওয়া গানটা আমার শেষ গান হলেও অনুভুতিগুলো শেষ হয়নি কখনোই।

জমাট বরফের মতো স্যাঁতস্যাঁতে অন্ধকারে থমকে থাকা আমার অনুভতিগুলো বরাবরই অদ্ভুত উষ্ণ।
অর্ক জানে না সে আমার কোথায় ছিলো, প্রতিটি রক্তকণায় অর্কের নামা গাথা হাহাকার আমার অজ্ঞ নিয়তি হয়ে উঠেছে। আমি পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখে যাই অথচ সব  ছন্দহীন, অন্তহীন।  শেষ হয়না আবারো কোন ছন্দ তাল মিল কিচ্ছু থাকেনা পৃষ্ঠা জুড়ে।  থাকবে কেমন করে কয়েক হাজার শব্দ প্রিষ্টা জুড়েই অর্ক শব্দটা লিখা ক্লান্তিহীন লয়ে। 

ডাইরির জগতটায় হারিয়ে থাকার সময়টা  শুন্য আশায় হঠাৎ হঠাৎ চমকে উঠি,  এই বুঝি অর্ক আমার চুলে মুখ ডুবিয়ে ফিসফিস করে বলবে ভালোবাসী....    চারদিকটা শূন্য, কোথাও কেউ নেই। চলে যাওয়া কারো পায়ের শব্দ শোনার অপেক্ষা অথবা তার স্মৃতির  জগতটায় ডুবে থাকাটাই বোধহয় এখন জীবন আমার।

মেপে মেপে দু কাপ পানি দিয়ে চা বানানো শেষ হলেই দু চোখ ভেঙে টপটপ নোনা জল মিশতে থাকে হাতে ধরে থাকা কাপে। 
অর্ক নেই এই সহজ সত্যিটা কিছুতেই বুঝি আমার মাথায় ঢুকেনা,চা বানানো শেষে প্রিথিবীর সেরা চা আখ্যা দেয়ার মানুষটা আমার হারিয়ে গেছে বহু আগেই।

এখন আমার সময়গুলো জুড়ে শুধু স্তব্ধ শুন্যতা, চারদিকে তাকাতে আমার ভীষণ ভয় করে রে অর্ক....

The crushing sound of my heart made me realize once again,I am not over it. I still love him... His pain is killing me,. How can i calm h...